ঝালকাঠি: গতবছরের ২৩ ডিসেম্বর ঢাকার সদর ঘাট থেকে বরগুনার উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসা অগ্নিদগ্ধ ‘অভিযান-১০’ লঞ্চটি মালিকের জিম্মায় দেওয়া হয়েছে। নৌ-আদালতের নির্দেশে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও সদর থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক (এসআই) নজরুল ইসলাম শনিবার (১৩ আগস্ট) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে জিম্মানামা চূড়ান্ত করে লঞ্চটি মালিক হামজালাল শেখের কাছে হস্তান্তর করেন।
জিম্মানামায় উল্লেখ করা হয়, গত বছরের ২৩ ডিসেম্বর লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় স্বজনহারা মনির হোসেন ঝালকাঠি সদর থানায় ২৭ ডিসেম্বর ২৮০/২৮৫/২৮৭/৩০৪-ক/১৯ ধারায় মামলা (নং-১২) করেন। মামলার আলামত হিসেবে ঝালকাঠি ডিসি পার্ক সংলগ্ন সুগন্ধা নদীর তীরে ভাসমান অবস্থায় লঞ্চটি নোঙর করে রাখা হয়। মামলার জব্দকৃত আলামত এমভি অভিযান-১০ লঞ্চ ঢাকার নৌ আদালতের স্মারক নং-১৪৫/২২, তারিখ-২৪-০৭-২২ইং অনুযায়ী আদেশ মূলে পুলিশের হেফাজত থেকে মালিক হামজালাল শেখের কাছে জিম্মা দেওয়া হলো (যার পিআর নং-১৫৬/২১)।
উল্লেখ্য ওই অগ্নিকাণ্ড ও হতাহতের ঘটনায় চারটি মামলা হয়েছে। তার মধ্যে দুটি হয়েছে ঝালকাঠি থানায়। বরগুনার আদালতে হয়েছে আরেকটি মামলা। আর সমুদ্র পরিবহন অধিদপ্তর থেকে ঢাকার নৌ-আদালতে হয়েছে অন্য মামলাটি। গত বছরের ২৪ ডিসেম্বর রাতে পোনাবালিয়া ইউনিয়নের গ্রাম পুলিশ সদস্য মো. জাহাঙ্গির হোসেন বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে অপমৃত্যু মামলা ও ২৭ ডিসেম্বর সকালে স্বজনহারা মনির হোসেন নামে এক ব্যক্তি বাদী হয়ে পুড়ে যাওয়া এমভি অভিযান-১০ লঞ্চের মালিক হামজালাল শেখসহ আট কর্মচারীর নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাত পরিচয় ২০ কর্মচারীকে আসামি করে একটি মামলা করেন। বাদী মনির হোসেন ঢাকার ডেমরা থানার বক্সনগর এলাকার বাসিন্দা। তার বোন তাসলিমা আক্তার, ভাগ্নি সুমাইয়া আক্তার, সুমনা আক্তার তানিসা ও ভাইয়ের ছেলে জুনায়েদ ইসলাম পুড়ে যাওয়া লঞ্চের মধ্যে ছিল। তারা সবাই নিখোঁজ রয়েছেন। ঝালকাঠি থানার দুটি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই নজরুল ইসলাম বলেন, তদন্তে দগ্ধ এমভি অভিযান-১০ হেফাজতে নেয় পুলিশ। তাছাড়া লঞ্চ থেকে দুটি পোড়া মটরসাইকেলও আলামত হিসেবে থানায় নেওয়া হয়। নৌ আদালতের নির্দেশে পোড়া লঞ্চটি মালিক হামজালাল শেখের জিম্মায় দেওয়া হয়েছে। আর পোড়া মোটর সাইকেল দুটির বিষয়ে আদালতের কোনো নির্দেশনা না পাওয়া জব্দ রাখা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২০০৫ ঘণ্টা, আগস্ট ১৩, ২০২২
এমএমজেড