ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

বাল্যবিয়ে হলে কমবে দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৫৮ ঘণ্টা, আগস্ট ১১, ২০২২
বাল্যবিয়ে হলে কমবে দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী। ছবি: শাকিল আহমেদ

ঢাকা : বাল্যবিয়ে হতে থাকলে দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি কমে যাবে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী।

বৃহস্পতিবার (১১ আগস্ট) রাজধানীর লেকশোর হোটেলে আন্তর্জাতিক সংস্থা ওয়ার্ল্ড ভিশন আয়োজিত শিশু অধিকার বিষয়ক আইনের পর্যালোচনা অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনের সময় তিনি এসব কথা বলেন।

ব্যারিস্টার শামীম বলেন, কম বয়সে নারীর বিয়ে হলে দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি থেমে যাবে। ২০২৫ সালে এসডিজি অর্জনের যে লক্ষ্যমাত্রা বাংলাদেশ নিয়েছে সেটা হবে না।

শিশুদের বয়স তিন ধাপে নির্ধারণ করার পরিবর্তে মাইনর ও মেজর দুই ধাপে করতে হবে বলে এ সময় মন্তব্য করেন তিনি। একই সঙ্গে শিশুর ওপরে যে মেন্টাল-সাইকোলজিক্যাল নির্যাতন হয় সেটি আইনে অন্তর্ভুক্ত করা ও উপজেলায় শিশু কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়ার ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।

শিশু অধিকার কর্মী নাসিমা আকতার জলি বলেন, শিশু সংক্রান্ত মামলার বিচারকার্য ৩৬০ দিনেও শেষ হচ্ছে না। বিদ্যমান আইনে বলা হয়েছে ১৬ বছরের উপর ধর্ষণ হবে না যদি সম্মতি থাকে, অথচ ১৮ বছরের নিচে কারও কি সম্মতি দেওয়ার সুযোগ আছে?

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা রাশেদা কে চৌধুরী বলেন, সমন্বিত শিক্ষা আইন করতে হবে। আমার দেশের মাটিতে চলবে কিন্তু দেশের আইন মানবে না সেটা হতে দেওয়া যাবে না।

মাদরাসার ভেতর কী হয়, গণমাধ্যমে দেখি মাঝেমধ্যে। মূলধারার জন্যে আইন থাকলেও ইংরেজি মাধ্যম ও মাদরাসার জন্যে আইন নেই বলে দাবী করেন সাবেক এ উপদেষ্টা।

বাংলাদেশ যদি পদ্মা সেতু করতে পারে তবে শিশু অধিকার বাস্তবায়ন কেন করতে পারবে না বলেও প্রশ্ন রাখেন তিনি।

শিশু অধিকার বিষয়ক সংসদীয় ককাস সংশ্লিষ্ট সকল মন্ত্রণালয় ও সংসদ সদস্যদের সঙ্গে আলোচনা করে যুগোপযোগী আইন প্রণয়ন করবে বলে জানান সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী টুকু।

প্যানেল আলোচনায় প্রধান অতিথি ছিলেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি শামসুল হক টুকু, আইন ও বিচার বিভাগের সচিব গোলাম সারোয়ার ও গণস্বাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক রাশেদা কে. চৌধুরী।

অনুষ্ঠানে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, শিশু অধিকার বিষয়ক সংগঠনের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

শিশুদের সর্বোত্তম কল্যাণে ওয়ার্ল্ড ভিশন প্রদত্ত সুপারিশসমূহ: শিশুর বয়স নিয়ে বিভ্রান্তি ও অসঙ্গতি দূর করা,  বিয়ের ক্ষেত্রে নারী ও পুরুষের জন্য পৃথক বয়স নির্ধারণ না করা, বাল্যবিয়ে প্রতিরোধে মনিটরিং ব্যবস্থা শক্তিশালী করা, শিশু শ্রমিক নিয়োগকারীদের জন্য শাস্তির মেয়াদ বৃদ্ধি করা, শিশু আইন ২০১৩ এ শারীরিক শাস্তির পাশাপাশি শিশুর মানসিক শাস্তির বিষয়টিকে গুরুত্বের সঙ্গে অন্তর্ভুক্ত করা।

বাংলাদেশ সময় : ২১৫৬ ঘণ্টা, ১১ আগস্ট, ২০২২
এনবি/এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।