শরীয়তপুর: আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে শরীয়তপুর সদর উপজেলার চিকন্দী ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে অহিদ খান (৩০) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। এছাড়া আহত হয়েছেন আরও অন্তত ১৫ জন।
মঙ্গলবার (৯ আগস্ট) দুপুরে চিকন্দীর আবুরা ব্রিজ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। বর্তমানে এলাকাটিতে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে, মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে অনেকদিন ধরেই চিকন্দী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও যুবলীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট আক্তারউজ্জামান খান এবং জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ফরহাদ হোসেন খানের সঙ্গে সাবেক যুবলীগ নেতা মুদাচ্ছের খানের বিরোধ চলছিল। এরই ধারাবাহিকতায় দুপুরে চিকন্দী আবুরা ব্রিজ এলাকায় দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। এতে মুদাচ্ছের খানের ছোট ভাই অহিদ খান গুরুতর আহত হন। পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
সংঘর্ষের ঘটনায় দুই পক্ষের অন্তত ১৫ জন আহত হন। তাদের কয়েকজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকায় পাঠানো হয়। বাকিরা শরীয়তপুর সদর হাসপাতালসহ বিভিন্ন স্থানে চিকিৎসা নেন।
ঘটনার পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় আক্তার ও ফরহাদ গ্রুপের ইদ্রিস খানসহ দুই জনকে আটক করা হয়েছে। তবে এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। আর দুই পক্ষই মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে।
এ ব্যাপারে মুদাচ্ছের খান বলেন, আক্তার খান ও ফরহাদ খানের নেতৃত্বে সন্ত্রাসীরা পূর্বপরিকল্পিতভাবে আমার ছোট ভাই অহিদকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেছে। আমাদের লোকজনকে হামলা করেছে ও বোমা নিক্ষেপ করেছে। আমার ভাই হত্যার বিচার চাই।
অ্যাডভোকেট আক্তারউজ্জামান খান বলেন, আমি নির্বাচন করে ফেল করেছি। আমার মেয়ের বিয়েতে আমি সবাইকে দাওয়াত দিয়েছি। আমি কোনো গ্রুপিংয়ের মধ্যে নেই।
পালং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আকতার হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, এ ঘটনায় দুই জনকে আটক করা হয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেছে। এখন সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। দোষীদের আটক করতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪১ ঘণ্টা, আগস্ট ০৯, ২০২২
এফআর