ঢাকা, শনিবার, ৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

বাঙালির মুক্তি সংগ্রামে বঙ্গমাতার অবদান অপরিসীম: শিল্পমন্ত্রী

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৫৪ ঘণ্টা, আগস্ট ৮, ২০২২
বাঙালির মুক্তি সংগ্রামে বঙ্গমাতার অবদান অপরিসীম: শিল্পমন্ত্রী

ঢাকা: বাঙালির মুক্তি সংগ্রামে বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের অপরিসীম অবদান রয়েছে বলে জানিয়েছেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন।  

তিনি বলেন, ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ছিলেন শেখ মুজিবুর রহমানের সহধর্মিণী ও বাঙালির স্বাধীনতা অর্জনে নেপথ্যের কারিগর।

তিনি ছিলেন বাঙালির শ্রেষ্ঠ অর্জন দেশের স্বাধীনতাসহ বঙ্গবন্ধুর সব লড়াই-সংগ্রাম-আন্দোলনের নেপথ্যের প্রেরণাদানকারী। তিনি বঙ্গবন্ধুর সমগ্র রাজনৈতিক জীবন ছায়ার মতো অনুসরণ করে তার প্রতিটি রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে অফুরান প্রেরণার উৎস হয়েছিলেন।

সোমবার (৮ আগস্ট) শিল্প মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে শিল্প মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে মহীয়সী বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের ৯২তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিল্পমন্ত্রী এসব কথা বলেন।  

শিল্প সচিব জাকিয়া সুলতানার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার। এতে অন্যদের মধ্যে মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও বিভিন্ন দপ্তর-সংস্থার প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন।  

শিল্পমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু যখন বারবার পাকিস্তানি শাসকদের হাতে বন্দি জীবনযাপন করছিলেন, তখন আওয়ামী লীগের সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা  ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের কাছে ছুটে আসতেন বঙ্গবন্ধুর নির্দেশনা জানতে। তিনি তাদের বঙ্গবন্ধুর বিভিন্ন দিকনির্দেশনা পৌঁছে দিতেন এবং লড়াই-সংগ্রাম চালিয়ে যাওয়ার জন্য অনুপ্রেরণা জোগাতেন।

তিনি বলেন, বিশেষ করে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলায় যখন বঙ্গবন্ধুর প্যারোলে মুক্তি নিয়ে কিছু কুচক্রী স্বাধীনতা সংগ্রামকে বিপন্ন করার ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছিল, তখন প্যারোলে মুক্তির বিপক্ষে ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের দৃঢ়চেতা অবস্থান বাংলার মুক্তি সংগ্রামকে ত্বরান্বিত করেছিল, যা বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে।  

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার বলেন, বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য সহধর্মিণী। রাজনীতির সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে যুক্ত না থেকেও তিনি বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক প্রেরণার সবচেয়ে বড় উৎস ছিলেন। জীবনের প্রতিটি মুহূর্তে বঙ্গবন্ধুকে তিনি প্রশ্নহীনভাবে সমর্থন দিয়েছেন, মনোবল-সাহস ও অনুপ্রেরণা জুগিয়েছেন। জীবনের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত তিনি বঙ্গবন্ধুর পাশে থেকে নিজেকে উৎসর্গ করে গেছেন।  

সভাপতির বক্তব্যে শিল্পসচিব জাকিয়া সুলতানা বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আমৃত্যু সঙ্গী, বাংলার মহীয়সী নারী বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের অবদান ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে থাকবে।   

বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের ৯২তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে শিল্প মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আলোচনা সভার শুরুতে দোয়া এবং শিল্প মন্ত্রণালয় জামে মসজিদে বাদ যোহর দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়।  

বাংলাদেশ সময়: ১৫৫২ ঘণ্টা, আগস্ট ০৮, ২০২২
জিসিজি/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।