ঢাকা, সোমবার, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

ইউরিয়া সারের ব্যবহার যৌক্তিক পর্যায়ে রাখতে দাম বাড়ানো হয়েছে: কৃষিমন্ত্রী

স্টাফ করসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৪৩ ঘণ্টা, আগস্ট ৪, ২০২২
ইউরিয়া সারের ব্যবহার যৌক্তিক পর্যায়ে রাখতে দাম বাড়ানো হয়েছে: কৃষিমন্ত্রী

ঢাকা: চলমান বৈশ্বিক পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক বাজারে সারের দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যাওয়া এবং ইউরিয়া সারের ব্যবহার যৌক্তিক পর্যায়ে রাখতে দাম বাড়ানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক।

বৃহস্পতিবার (০৪ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সচিবালয়ে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সারের দাম বাড়ানো প্রসঙ্গে এক সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

 

ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, আপনারা ইতোমধ্যে জেনেছেন যে, সরকার ইউরিয়া সারের দাম ০১ আগস্ট থেকে কেজিতে ৬ টাকা বাড়িয়েছে। ইউরিয়া সারের ব্যবহার যৌক্তিক পর্যায়ে রাখতে এবং চলমান বৈশ্বিক পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক বাজারে সারের দাম অস্বাভাবিক বেড়ে যাওয়ায় দেশে দাম পুননির্ধারণ করেছে সরকার। ডিলার পর্যায়ে ইউরিয়া সারের সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য প্রতিকেজি ১৪ টাকা থেকে বাড়িয়ে প্রতিকেজি ২০ টাকা এবং কৃষক পর্যায়ে প্রতিকেজি ১৬ টাকা থেকে বাড়িয়ে প্রতিকেজি ২২ টাকা পুননির্ধারণ করা হয়েছে।  

তিনি আরও বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতিকেজি ইউরিয়ার বর্তমান দাম ৮১ টাকা। এর ফলে ৬ টাকা দাম বাড়ার পরও সরকারকে প্রতিকেজিতে ৫৯ টাকা ভর্তুকি দিতে হবে। ২০০৫/০৬ অর্থবছরে
প্রতিকেজি ইউরিয়া সারের ভর্তুকি ছিল মাত্র ১৫ টাকা।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, আমরা ইউরিয়া সারের ব্যবহার হ্রাস ও ডিএপি সারের ব্যবহার বাড়ানোতে গুরুত্বারোপ করে যাচ্ছি। ডিএপি সার মাটির স্বাস্থ্য রক্ষায় ও মানসম্পন্ন ফসল উৎপাদনে কার্যকর এবং পরিবেশবান্ধব। ডিএপি সারে শতকরা ১৮ ভাগ নাইট্রোজেন বা ইউরিয়া সারের উপাদান রয়েছে। সেজন্য ডিএপির ব্যবহার বাড়িয়ে ইউরিয়া সারের অপ্রয়োজনীয় ও মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহার কমিয়ে আনার জন্য সরকার ডিএপি সারের মূল্য প্রতিকেজি ৯০ টাকা থেকে কমিয়ে প্রথমে ২৫ টাকা (২০০৯ সালে), এবং পরে ২০১৯ সালে ২৫ টাকা থেকে কমিয়ে ১৬ টাকা করে কৃষকদের দিয়ে যাচ্ছে। এ উদ্যোগের ফলে বিগত কয়েক বছরে ডিএপি সারের ব্যবহার দ্বিগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০১৯ সালে ডিএপি ব্যবহার হতো ৮ লাখ টন, বর্তমানে ব্যবহার হচ্ছে ১৬ লাখ টন।

তিনি বলেন, ডিএপি সারের ব্যবহার বাড়ার ফলে ইউরিয়া সারের ব্যবহার কমার কথা। কিন্তু বাস্তবে ইউরিয়া সারের ব্যবহার কমেনি বরং বেড়েছে। ২০১৯ সালে ইউরিয়া ব্যবহার হতো ২৫ লাখ টন, বর্তমানে ব্যবহার হচ্ছে ২৬ লাখ ৫০ হাজার টন।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৪০ ঘণ্টা, আগস্ট ০৪, ২০২২
আরকেআর/এসএ
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।