নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ কার্যালয়ের সামনেই সজীব (১৭) নামের কিশোর খুন হয়েছে। নিহত পরিবারের অভিযোগ, চারজন মিলে সজীবকে বাড়ি থেকে ডেকে নেওয়ার পরেই হত্যাকাণ্ডের ঘটনাটি ঘটে।
রোববার (৩১ জুলাই) রাত সাড়ে ৭টায় পুলিশ সুপার কার্যালয়ের মূল ফটকের সামনে লিংক রোডের মোড় থেকে সজীবকে আহত অবস্থায় উদ্ধারের পর হাসপাতালে নেওয়া হলে মৃত্যু হয়।
সজীব শহরের চাষাঢ়া রামবাবুর পুকুরপাড় এলাকার কামাল হোসেনের ছেলে। কামাল হোসেন একটি ভাঙারির দোকান চালাতো। সজীব সপ্তম শ্রেণিতে পড়াশোনার পর আর পড়াশোনা করেনি। সে বেকার ছিল।
সজীবের বড় বোন শাহীনূর আক্তার জানান, সজীবকে একটি কাজে লাগানোর চেষ্টা ছিল। সে সন্ধ্যায় বাসা থেকে বের হয়। পরে রাতে শুনি তাকে ছুরি মেরে হত্যা করেছে।
সজীবের বাবা কামাল হোসেন জানান, সন্ধ্যায় চারজন মিলে সজীবকে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে যায়। পরে তাদের মধ্যে তিনজন এসে জানায় সজীবকে মেরে ফেলা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, সন্ধ্যায় চাঁদমারী মাউরাপট্টি এলাকাতে কিশোর গ্যাংদের একটি মারামারির ঘটনা ঘটে। সেখানে একজন আহত হলে তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। এর কিছু সময় পরেই পুলিশ সুপারের মূল ফটকের সামনে লিংক রোডের মোড়ে সজীবকে আহত অবস্থায় পাওয়া যায়। তার শরীরে ছুরিকাঘাতের দাগ ছিল।
পুলিশ সুপার কার্যালয়ের দক্ষিণের সড়কটি গিয়ে মাউরাপট্টিতে সংযোগ হয়েছে। এ সড়কে প্রায়শই সন্ধ্যার পর মাদক বিক্রেতা ও সেবকদের আনাগোনা থাকে।
প্রত্যক্ষদর্শী আইনজীবী সহকারী সিদ্দিকুর রহমান সাংবাদিকদের জানান, কোর্ট থেকে কাজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে পুলিশ সুপার কার্যালয়ের বরাবর লিংক রোডে কে বা কারা একটি যুবক বয়সের ছেলেকে ছুরিকাঘাত করেছে তা দেখিনি। কিন্তু ছেলেটার নিথর দেহ পড়ে থাকতে দেখে তাকে ভিক্টোরিয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাই। সেখানে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেছেন।
১০০ শয্যা হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক সাবিনা ইয়াসমিন জানান, হাসপাতালে নিয়ে আসার আগেই ছেলেটির মৃত্যু হয়েছে। তার বুকে একটি ছুরিকাঘাতের জখম রয়েছে।
ফতুল্লা মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সাইফুল ইসলাম জানান, কি কারণে ঘটনা সেটা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এ ঘটনায় তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ০০৩৮ ঘণ্টা, আগস্ট ০১, ২০২২
এমআরপি/এসএ