ঢাকা, শনিবার, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৮ মে ২০২৪, ০৯ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

ঝিনাইদহের পথে অমিত হাবিবের মরদেহ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৩০ ঘণ্টা, জুলাই ২৯, ২০২২
ঝিনাইদহের পথে অমিত হাবিবের মরদেহ ছবি: শাকিল আহমেদ

ঢাকা: দৈনিক দেশ রূপান্তর পত্রিকার সম্পাদক, প্রথিতযশা সাংবাদিক অমিত হাবিবের দ্বিতীয় নামাজে জানাজা জাতীয় প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শুক্রবার (২৯ জুলাই) দুপুরের দিকে এ জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।

এ সময় দ্য ডেইলি স্টারের সম্পাদক মাহফুজ আনাম, সিনিয়র সাংবাদিক মনজুরুল আহসান বুলবুল, দৈনিক যুগান্তর পত্রিকার সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খান, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীসহ সিনিয়র সাংবাদিক ও সাংবাদিক নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

জানাজা শেষে তার মরদেহে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান জাতীয় প্রেসক্লাব, সম্পাদক পরিষদ, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি, বাংলাদেশ সাংবাদিক ইউনিয়নসহ বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা। এর আগে, তার প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছিল দেশ রূপান্তর কার্যালয়ে বেলা ১০ টায়। ঢাকায় জানাজা শেষে তার মরদেহ গ্রামের বাড়ি ঝিনাইদহের উদ্দেশ্যে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার (২৮ জুলাই) রাত ১১টা নাগাদ স্ট্রোক হয়ে মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণজনিত কারণে রাজধানীর নিউরোসায়েন্স হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয় (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৫৯ বছর।

এর আগে, গত ২১ জুলাই রাতে স্ট্রোকে আক্রান্ত হলে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় রাজধানীর বিআরবি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় অমিত হাবিবকে। দেশ রূপান্তর কার্যালয়ে কাজ করা অবস্থায় তিনি স্ট্রোক করেন। তিনি আরও একবার স্ট্রোক করেছিলেন বলে জানা গেছে। তখন চিকিৎসকরা জানিয়েছিলেন, তার হেমোরেজিক স্ট্রোক হয়েছে। ওনার রক্তনালী ছিঁড়ে গিয়ে ব্রেইনের অভ্যন্তরে রক্তক্ষরণ হয়েছে।

অমিত হাবিবের মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, পুলিশের আইজিপি বেনজির আহমেদ, বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহানসহ বিশিষ্ট জনেরা। তার মৃত্যুর ঘটনায় দেশের সাংবাদিকসহ বিভিন্ন মহলে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

জন্ম: সাংবাদিক অমিত হাবিব ১৯৬৩ সালের ২৩ অক্টোবর ঝিনাইদহে জন্মগ্রহণ করেন।

কর্মজীবন: ১৯৮৭ সালে খবর গ্রুপ অব পাবলিকেশন্সে একই সঙ্গে রিপোর্টার ও সাব-এডিটর হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন অমিত হাবিব। পরে সাপ্তাহিক পূর্বাভাস পত্রিকায় সাব-এডিটর পদে যোগ দেন তিনি। ১৯৯১ সালে দৈনিক আজকের কাগজ পত্রিকায় সিনিয়র সাব-এডিটর হয়ে যোগ দেন। এর পরের বছর একই পদে যোগ দেন দৈনিক ভোরের কাগজে। অল্প দিনের মধ্যে পদোন্নতি পেয়ে যুগ্ম বার্তা সম্পাদক ও পরে বার্তা সম্পাদক হন অমিত হাবিব।

২০০৩ সালে দৈনিক যায়যায়দিন পত্রিকায় প্রধান বার্তা সম্পাদক হিসেবে যোগ দেন খ্যাতিমান এ সাংবাদিক। তবে পত্রিকাটি বাজারে আসে ২০০৬ সালে। ২০০৭ সালে চীনের আন্তর্জাতিক বেতারে বিদেশি বিশেষজ্ঞ হিসেবে যোগ দিয়ে পেইচিংয়ে কর্মরত থাকা অমিত হাবিব দেশীয় সাংবাদিকতার সঙ্গে দূরত্বের কথা বিবেচনায় তা ছেড়ে দেশে ফিরে আসেন। পরের বছর দৈনিক সমকালে প্রধান বার্তা সম্পাদক হিসেবে যোগ দেন।

দৈনিক সমকালের প্রধান বার্তা সম্পাদকের পদ ছেড়ে ২০০৯ সালে কালের কণ্ঠে নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে যোগ দেন। ২০১৩ সাল থেকে উপদেষ্টা সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন অমিত হাবিব। সর্বশেষ ২০১৮ সাল থেকে তিনি দৈনিক দেশ রূপান্তর পত্রিকার সম্পাদকের দায়িত্ব নেন।

বাংলাদেশ সময়: ১২৩০ ঘণ্টা, ২৯ জুলাই, ২০২২
এমকে/জেডএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।