ঢাকা, শনিবার, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

শ্বশুরকে পিটিয়ে মাথা ফাটালেন পুলিশ কনস্টেবল!

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৫৭ ঘণ্টা, জুলাই ১২, ২০২২
শ্বশুরকে পিটিয়ে মাথা ফাটালেন পুলিশ কনস্টেবল! হাসপাতালে জহিরুল ইসলাম।

বরিশাল: শ্বশুরকে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে বরিশালের বানারীপাড়া থানায় কর্মরত এক পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ঝালকাঠি সদর থানায় লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন আহত শেখ মো. জহিরুল ইসলামের মেয়ে মোসা. মাহামুদা বেগম।



তবে বিষয়টি মৌখিকভাবে শুনেছেন বলে জানিয়ে মঙ্গলবার (১২ জুলাই) ঝালকাঠি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. খলিলুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, লিখিত অভিযোগ পেলে অবশ্যই আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে যেটুকু জেনেছি বিষয়টি পারিবারিকভাবে সমাধানের চেষ্টা করছে উভয়পক্ষ।

এদিকে মাহামুদা বেগম ঝালকাঠি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বরাবর লেখা অভিযোগে তার স্বামী ও বরিশালের বানারীপাড়া থানায় কর্মরত পুলিশ সদস্য সোলায়মানকে প্রধান বিবাদী করেছেন। এছাড়া অপর দুই অভিযুক্ত হলেন- অভিযোগকারীর শ্বশুর ও ঝালকাঠি সদরের রামচন্দ্রপুর এলাকার বাসিন্দা সিদ্দিকুর রহমান ও শাশুড়ি নিলুফা ইয়াসমিন।

লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, ২০২১ সালে অভিযোগকারী মাহামুদার সঙ্গে পুলিশ কনস্টেবল সোলায়মানের বিয়ে হয়। এরপর থেকে যৌতুক হিসেবে মাহামুদার বাবার বাড়ি থেকে নগদ টাকা, মোটরসাইকেল ও জমি আনার জন্য প্রায়ই শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতেন সোলায়মান। সর্বশেষ সোলায়মান তার বাবা-মায়ের যোগসাজেশে অভিযোগকারী মাহামুদাকে মোটরসাইকেলের দাবিতে বাবার বাড়িতে পাঠিয়ে দেন। সবশেষ ৮ জুলাই রাতে পুলিশ সদস্য সোলায়মান শ্বশুর শেখ মো. জহিরুল ইসলামের বাড়িতে আসেন এবং পারিবারিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বাগ-বিতণ্ডায় জড়িয়ে যান। একপর্যায়ে সোলায়মান ক্ষিপ্ত হয়ে ঘরের দরজার লাঠ (স্থানীয়ভাবে ডাকা হয়) দিয়ে এলোপাতাড়ি পেটাতে থাকলে জহিরুলের মাথা ফেটে যায়।  এসময় বাবাকে রক্ষা করতে গিয়ে মাহামুদাও মারধরের শিকার হন। পরে তাদের চিৎকারে আশ-পাশের লোকজন এগিয়ে এলে খুন জখমের ভয় দেখিয়ে সোলায়মান চলে যান।

বিষয়টি নিশ্চিত করে পুলিশ সদস্য সোলায়মানের স্ত্রী ও অভিযোগকারী মাহামুদা বলেন, এ ঘটনার পর বাবাকে  সোমবার (১১ জুলাই) রাতেই উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করি। তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় সেখান থেকে বরিশাল শের ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করি। এখন যেখানে তিনি চিকিৎসাধীন।

এদিকে থানায় লিখিত অভিযোগ দেওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, সোমবার থানায় গিয়ে ওসির কাছে লিখিত অভিযোগটি দিয়েছি। তিনি বিষয়টি দেখবেন বলে জানিয়েছেন। তবে এখনও এ বিষয়ে কিছু জানায়নি থানার ওই কর্মকর্তা।  

বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৪ ঘণ্টা, জুলাই ১২, ২০২২
এমএস/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।