ঢাকা: ঈদুল আজহার আগে শেষ কর্মদিবস আজ। এরইমধ্যে ফাঁকা হতে শুরু করেছে ঢাকা।
বৃহস্পতিবার (৭ জুলাই) রাজধানী বাড্ডা, রামপুরা, বসুন্ধরা, খিলক্ষেত, পল্টন, গুলশান ও কমলাপুর এলাকা ঘুরে দেখা গেছে বাসের অপেক্ষায় শতশত যাত্রী দাঁড়িয়ে আছেন।
কথা হয় নর্থ-সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী জহির আহমেদের সঙ্গে। তিনি বলেন, সদরঘাট যাব। সেখান থেকে ভোলার লঞ্চে বাড়ি যাব।
খিলক্ষেত বাসস্ট্যান্ডে ময়মনসিংহের বাসের অপেক্ষা করছিলেন মোহাম্মদ সাগর হোসেন। তিনি বলেন, ঈদে ছুটি পেয়েছি। এখন বাসের জন্য অপেক্ষা করছি।
এদিকে গণপরিবহন সংকটে পিকআপ ভ্যানে করেও যেতে দেখা গেছে ঘরমুখো যাত্রীদের। পিকআপে করে যাওয়া মাহফুজ নামে একজন বাংলানিউজকে বলেন, সায়েদাবাদ যাব, বাস পাচ্ছি না। পেলেও সেগুলোতে প্রচণ্ড ভিড়। তাই পিকআপে উঠেছি।
অন্যদিকে গণপরিবহনগুলোতেও ধারণ ক্ষমতার দুই থেকে তিনগুণ যাত্রী নিয়ে যেতে দেখা গেছে। চালকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মূলত ঈদে ঘরমুখো মানুষের চাপ বেশি। সেজন্যই বাধ্য হয়ে এভাবে যাত্রী নিচ্ছেন তারা।
এদিকে সকালে কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে বেশির ভাগ ট্রেনই ছেড়ে গেছে নির্ধারিত সময়ে। তবে কয়েকটি ট্রেন ১৫-২০ মিনিট দেরিতে ছেড়েছে।
ঈদযাত্রার তৃতীয় দিনে রাজধানীর কমলাপুর রেলস্টেশনে স্বাভাবিক ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। ট্রেনের অতিরিক্ত যাত্রী না থাকায় রেলযাত্রীরা সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন। স্বস্তির যাত্রায় বাড়ি ফিরতে পেরে উচ্ছ্বাস দেখা গেছে এসব যাত্রীদের মধ্যে।
তবে কমলাপুর রেলস্টেশন কর্তৃপক্ষ বলছে, এটা তেমন কোনো দেরি নয়। যাত্রী ওঠানামা ও ট্রেনের রুটিন চেকের জন্য এ দেরি হচ্ছে।
সকালে কমলাপুর রেলস্টেশন ঘুরে দেখা যায়, স্টেশনের প্ল্যাটফর্মগুলোয় যাত্রীর চাপ আছে একটু বেশি। যেসব টিকিটপ্রত্যাশী ৩ জুলাইয়ে অগ্রিম ঈদযাত্রার টিকিট কেটেছেন, আজ তারা যাত্রা করছেন।
ধুমকেতু এক্সপ্রেসের যাত্রী আজাদুর রহমান বলেন, অগ্রিম টিকিট পাইনি। এদিকে বঙ্গবন্ধু সেতুর আগে মহাসড়কে জ্যাম দেখে বাসে না গিয়ে ট্রেনে দাঁড়িয়ে যাচ্ছি।
এদিকে সদরঘাটে একই চিত্র ছিল। দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ লঞ্চে করে ঢাকা ছাড়তে শুরু করেছেন। ফলে ফাঁকা হচ্ছে ঢাকা। এর প্রভাবে রাজধানীতে কমতে শুরু করেছে যানজট। বিপণিবিতানের মোড়গুলো ছাড়া অন্যত্র পরিবহনের চাপ কম লক্ষ্য করা গেছে।
বাংলাদেশ সময়: ২০০৪ ঘণ্টা, জুলাই ০৭, ২০২২
এনবি/এমকে/আরবি