ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

‘ঈদের দিন রাত ১০টার মধ্যে বর্জ্য অপসারণ করা হবে’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩১৭ ঘণ্টা, জুলাই ৭, ২০২২
‘ঈদের দিন রাত ১০টার মধ্যে বর্জ্য অপসারণ করা হবে’

ঢাকা: ঈদের দিন রাত ১০টার মধ্যে ঢাকায় কোরবানির সব বর্জ্য অপসারণ করা হবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (০৭ জুলাই) দুপুরে সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে জাইকার কান্ট্রি রিপ্রেজেনটেটিভ ইউহো হায়াকাওয়ার সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, প্রত্যেক ওয়ার্ডে কাউন্সিলরের নেতৃত্বে ১০ সদস্যের টিম গঠন করা হয়েছে। তারা রাত ১০টার মধ্যে বর্জ্য অপসারণের ব্যবস্থা করবেন। পরের দিনের জন্য কোনো বর্জ্য থাকবে না। ১০ সদস্যের যে কমিটি করা হয়েছে তারা স্বেচ্ছাসেবী, কাউন্সিলর তো নিজেই স্বেচ্ছাসেবী। এটা তার দায়িত্বের অংশ। ইতোমধ্যে দক্ষিণ সিটি করপোরেশন সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নিয়েছে বলে আমাদের জানিয়েছে। তারা ১০ জনের কমিটি গঠন করে নাম্বার দিয়ে দিয়েছেন। অল্প সময়ের মধ্যে যাতে পশু কোরবানি করা হয় এবং বর্জ্য অপসারণ সঠিকভাবে যাতে করতে পারে সেজন্য জেলা প্রশাসক, বিভাগীয় কমিশনার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।  

তিনি বলেন, কোরবানির পশুর হাটের বিষয়ে ইতোমধ্যে সভা করেছি। সেখানে প্রতিটি মন্ত্রণালয়ের যে দায়িত্ব সেটি পালনের জন্য সব মন্ত্রণালয়কে সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়েছে। রাস্তা কোথাও হাট বসবে না সেটি বলা হয়েছে। কোভিডে স্বাস্থ্যবিধি মানতে নির্দেশনা দেওয়া আছে। আমর একটা নির্দেশনা আগে থেকেই ছিল প্রতিটি ওয়ার্ড কাউন্সিলরের নেতৃত্বে ১০ জন করে কমিটি করা যেকোনো দুর্যোগের জন্য। সেটি করা হয়েছিলো করোনার সময়ে।

মন্ত্রী বলেন, কোরবানির পরে বর্জ্য অপসারণের জন্য আলোচনা হয়েছে। সে অনুযায়ী সেদিন সন্ধ্যা ৭টা থেকে ১০টার মধ্যে সব জায়গা থেকেই অপসারণ করতে হবে। কোরবানির পর পরই বর্জ্য অপসারণ শুরু হবে। কোথাও ৭টায় হবে, কোথাও রাত ১০টায় হবে। সেদিন রাত ১০টার পর কোথাও বর্জ্য থাকবে না বলে আশা করি।

পশুর হাট প্রসঙ্গে তাজুল ইসলাম বলেন, যেখানে পশুর হাট বসবে সেটির জন্য একটি এসওপি আছে, সেটা অনুযায়ী তারা পশুর হাট বসবে। সেখানে যারা ক্রয় বিক্রয়ের জন্য যাবে তাদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। প্রধানমন্ত্রীর পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়ের পরামর্শক্রমে দেশে যে ডিজিটাজেশন হচ্ছে, এর সুফল হিসাবে বাংলাদেশ ব্যাংক ও সিটি করপোরেশন জয়েন্টলি একটা প্রোগ্রাম চালু করেছে। সেটি হলো তারা ডিভাইসটি নিয়ে যাবেন, কেউ ক্যাশ টাকা না নিলেও হবে যদি তার কাছে ক্রেডিট কার্ড থাকে এবং তার অ্যাকাউন্টে টাকা থাকলে সেই টাকা বিক্রেতার অ্যাকাউন্টে ট্রান্সফার করে দেওয়া হবে। টাকা নিয়ে যে জটিলতা সৃস্টি হবে সেটি যাতে না হয় সেজন্য এই ব্যবস্থা করা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৩১৬ ঘণ্টা, জুলাই ০৭, ২০২২
জিসিজি/কেএআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad
welcome-ad