ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

পরকীয়া সন্দেহে স্ত্রীকে হত্যা, স্বামী-ননদ গ্রেফতার

উপজেলা করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩৫৮ ঘণ্টা, জুলাই ৬, ২০২২
পরকীয়া সন্দেহে স্ত্রীকে হত্যা, স্বামী-ননদ গ্রেফতার গৃহবধূ হত্যায় গ্রেফতার স্বামী ও ননদ

কেরানীগঞ্জ (ঢাকা): কেরানীগঞ্জে পরকীয়া সন্দেহে স্ত্রীকে হত্যা করে মরদেহ গুম করার ঘটনায় স্বামী সাগর ও ননদ সুমিকে আটক করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (৫ জুলাই) দিবাগত রাতে ঢাকার হাজারীবাগ ও কামরাঙ্গীরচর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।

বুধবার (৬ জুলাই) দুপুরে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (কেরানীগঞ্জ সার্কেল) শাহাবুদ্দিন কবির এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে সাংবাদিকদের জানান,  গত ১৫ মে জাতীয় জরুরি সেবা ‘৯৯৯’ এর মাধ্যমে কেরানীগঞ্জ মডেল থানা পুলিশ সংবাদ পায় যে , শাক্তা ইউনিয়নের আঁটি কুটি গ্রাম মেরিন শিশু পার্কের পশ্চিম পাশে জনৈক আব্দুর রহমানের একতলা বাড়ীর পিছনের দেওয়াল সংলগ্ন ফাঁকা জায়গায় অজ্ঞাতনামা নারীর মরদেহ মাটিচাপা অবস্থায় আছে। এরপর দ্রুত পুলিশ ঘটনাস্থলে যায় এবং মাটি খুঁড়ে ওই নারীর মরদেহ উঠায়। এ সময় মরদেহটি পচন ধরা অবস্থায় পাওয়া যায় এবং মাথার বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন দেখা যায়।

পরে পুলিশ মরদেহের সুরতহাল রিপোর্ট প্রস্তুত করে এবং ময়নাতদন্তের জন্য স্যার সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজ (মিডফোর্ড) পাঠায় ।

 এ ঘটনায় এসআই (নি.) মো. খায়রুজ্জামান শিকদার বাদী হয়ে কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। তদন্তের শুরুতে পুলিশ মরদেহ নাম-পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা করে জানতে পারে যে, সেটি আব্দুর রহমানের ছেলে সাগরের দ্বিতীয় স্ত্রী লাভলীর।

পরবর্তীতে পুলিশ আব্দুর রহমানের বাড়িতে গিয়ে দেখে ঘর তালাবদ্ধ। ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনায় দেখা যায় গত ১১ মে ভোর ৫ টার সময় সাগর ও তার পরিবারের সদস্যরা বাড়ির সব মালামাল নিয়ে একটি পিকআপে করে পালিয়ে যাচ্ছে ।

এরপর এই হত্যাকাণ্ডে সাগর ও তার পরিবারের সদস্যরা জড়িত থাকতে পারে এমন সন্দেহে পুলিশ তাদের খুঁজতে থাকে। এরই ধারাবাহিকতায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহাবুদ্দিন কবীরের  তত্ত্বাবধানে ও মডেল থানার ওসি আবু ছালাম মিয়ার নেতৃত্বে একটি আভিযানিক দল গত মঙ্গলবার (৫ জুলাই) দিবাগত রাতে ঢাকার হাজারীবাগ ও কামরাঙ্গীরচর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে।

তিনি বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত আসামিরা জানিয়েছে, সাগর তার স্ত্রী লাভলীকে বাড়ির ছাদে মোবাইল ফোনে কথা বলতে দেখে। এতে লাভলী পরকীয়ায় লিপ্ত আছে বলে সন্দেহ করে সে। এনিয়ে তারা বিবাদে জড়িয়ে পড়ে। ঝগড়া-বিবাদের এক পর্যায়ে সাগর কাঠের বাঁড়া দিয়ে লাভলীকে আঘাত করে এবং ধাক্কা দিয়ে ছাদ থেকে ফেলে দেয়। পরে সাগর নিচে নেমে দেখে লাভলী মারা গেছে। তখন মরদেহ গুম করার জন্য মাটি খুঁড়ে চাপা দেয়। পরবর্তীতে এ ঘটনা পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের জানালে সবাই মালামাল নিয়ে বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যায়। গ্রেফতার আসামি ইতোমধ্যে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে বলেও জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।

বাংলাদেশ সময়: ২৩৫৭ ঘণ্টা, ৬ জুলাই, ২০২২
এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।