ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

জলবায়ু ক্ষতিপূরণে দাতাদের প্রতিশ্রুত অর্থ পাইনি: মোমেন

ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯২০ ঘণ্টা, জুলাই ৪, ২০২২
জলবায়ু ক্ষতিপূরণে দাতাদের প্রতিশ্রুত অর্থ পাইনি: মোমেন

ঢাকা: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন জানিয়েছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ হিসেবে বাংলাদেশ দাতাদের কাছ থেকে প্রতিশ্রুতির ১০০ বিলিয়ন ডলারের এক পয়সাও এখন পর্যন্ত পায়নি।

সোমবার (৪ জুলাই) ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে ‘বাংলাদেশের ৫০: সাফল্য ও সম্ভাবনা’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে তিনি এ তথ্য জানান।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্যারিসে জলবায়ু সম্মেলনে আমরা এ নিয়ে কথা বলেছি। জি-২০ দেশগুলো তারাই সবচেয়ে বেশি পরিবেশ দূষিত করে থাকে। এসব দেশ তাদের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করছে না। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবের ফলে বিশ্বজুড়ে মিলিয়ন লোক বাস্তুচ্যুত হচ্ছে।

‘বাংলাদেশের ৫০: সাফল্য ও সম্ভাবনা’ বইয়ের লেখক হিসেবে অভিব্যক্তি প্রকাশ করতে গিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমাদের অনেক বড় বড় অর্জন রয়েছে। ২০২০ ও ২০২১ সালে আমাদের বড় ইভেন্ট হয়েছে। বাংলাদেশের ৫০ বছর ও মুজিব শতবর্ষ আমরা পালন করেছি। এগুলো নিবন্ধন আকারে যখন পত্রিকায় লিখেছি, তখন সেগুলো সংরক্ষণে বই আকারে সন্নিবেশিত করেছি।

ড. মোমেন বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশের সাফল্য ও তার ধারাবাহিকতা নিয়ে পোপ ফ্রান্সিসসহ বিশ্ব নেতারা অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। অর্থনৈতিক সাফল্য ও জলবায়ু পরিবর্তনে যে শক্তিশালী ভূমিকা সেটি নিয়েও তারা বিস্মিত হয়েছেন। আমি এগুলোকে স্থান দেওয়ার চেষ্টা করেছি।

আলোচনা পর্বে অংশ নিয়ে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশের অর্থনীতিকে যেভাবে রেখে গিয়েছিলেন আজ তার অবর্তমানে সেই ধারাবাহিকতার সাফল্য উল্লেখ করার মতো। করোনা ম্যানেজমেন্টে আমরা সারাবিশ্বে পাঁচ নম্বর এবং দক্ষিণ এশিয়াতে এক নম্বর। প্রধানমন্ত্রীর দৃঢ় নেতৃত্বের কারণেই কেবলমাত্র সেটি সম্ভব হয়েছে।

তাজুল ইসলাম আরও বলেন, পদ্মা সেতুতে ঋণ দেওয়া নিয়ে বিশ্বব্যাংক সরে গেল। কিন্তু সেতু করতে এর থেকেও বড়ো চ্যালেঞ্জ ছিল টেকনিক্যাল ও টেকনোলজির বিষয়গুলো। বিশ্বব্যাংক একটা শিক্ষা পেয়েছে।

পাবলিক সার্ভিস কমিশনের সদস্য ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ড. দেলোয়ার হোসেন বলেন, ৫০ বছরে এসে বাংলাদেশের অর্জনগুলো বইটিতে স্থান পেয়েছে। আগামী প্রজন্মের জন্য বইটি অনুপ্রেরণা।

ভিশন ২০৪১ লক্ষ্য বাস্তবায়নে দেশের এগিয়ে যাওয়ার পরিবর্তন আমাদের অনুধাবন করা প্রয়োজন উল্লেখ করে তিনি বলেন,  নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু বড় অর্জন। আমরা আমাদের সাফল্যকে স্বীকার করাসহ আত্মবিশ্বাসের জায়গায় আরও বেশি নজর দিতে হবে।

এবি ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক তারিক আফজাল বলেন, বইয়ে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বাংলাদেশের প্রকৃত রূপ ফুটে উঠেছে। যেখানে বঙ্গবন্ধুর কূটনৈতিক দূরদর্শিতা নিয়ে লেখক আলোচনা করেছেন। ড. মোমেনের সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর রসিকতাগুলোও স্থান পেয়েছে।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার প্রধান সম্পাদক ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবুল কালাম আজাদ।

বাংলাদেশ সময়: ১৯১৪ ঘণ্টা, জুলাই ০৪, ২০২২
টিআর/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad