ঢাকা, মঙ্গলবার, ৩১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ মে ২০২৪, ০৫ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

চামড়া ব্যবসায়ীদের অজুহাত রোধে সাভার শিল্প নগরী পরিদর্শনে যাবে মন্ত্রণালয়

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০২৩ ঘণ্টা, জুলাই ৩, ২০২২
চামড়া ব্যবসায়ীদের অজুহাত রোধে সাভার শিল্প নগরী পরিদর্শনে যাবে মন্ত্রণালয় ফাইল ছবি

ঢাকা: আসন্ন ঈদ-উল-আযহায় চামড়া ব্যবসায়ীরা যাতে কোনো অজুহাত দাঁড় করাতে না পারে, সেটা দেখার এবং সাভারের চামড়া শিল্প নগরীর কারখানাগুলো কার্যকরভাবে চালু করার জন্য শিল্প ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিরা পরিদর্শন করবেন। দুই দিনের মধ্যে তারা পরিদর্শনে যাবেন বলে জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।

 

রোববার (০৩ জুলাই) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আইন শৃঙ্খলা সংক্রান্ত মন্ত্রীসভা কমিটির এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে কমিটির সভাপতি মুক্তিযদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।  

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী বলেন, পশুর চামড়ার বিষয়েও আলোচনা হয়েছে। দুই বছর আমরা লক্ষ্য করেছি মানুষ চামড়ার ন্যায্য মূল্য পাচ্ছে না। আমাদের দেশে প্রসেসিংয়ের ব্যবস্থাটা নেই, কাঁচা চামড়া বিদেশে বিক্রি করা যায় না। মধ্যস্বত্ব ভোগীরাই সব সুবিধা ভোগ করে। যারা চামড়া বিক্রি করে তারা খুব কম দাম পায়।  

তিনি বলেন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং শিল্প মন্ত্রণালয় অচিরেই সভা করে চামড়ার রেট ঘোষণা করবে। আগামী দুই দিনের মধ্যে শিল্প ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিরা সাভারের চামড়া শিল্প নগরী পরিদর্শন করবেন। যাতে ওখানকার কারখানাগুলো কার্যকরভাবে চালু করতে পারে। কোনো অজুহাত যাতে ব্যবসায়ীরা দাঁড় করাতে না পারে, সেটা দেখার জন্য।  

একইসঙ্গে মিলকারখানার মালিকদের জন্য আমাদের পরামর্শ সময়ের মধ্যে যেনো তাদের শ্রমিকরা বেতন-ভাতা, তাদের প্রাপ্য পেয়ে যায়। টাকা পয়সার জন্য তাদের মধ্যে যেনো কোনো অসন্তোষ সৃষ্টি না হয়। স্থানীয় প্রশাসন আগে থেকেই এসব মিল কলকারখানা খবর নিতে থাকবে।  

রাস্তায় পশুর হাট বসানো যাবে না জানিয়ে মন্ত্রী
মোজাম্মেল হক বলেন, রাস্তার ওপর পশুর হাট, হাটে যে খাজনা নেওয়া হয় বা হাসিল, পশুর ট্রাকে বাঁধা দিয়ে চাঁদাবাজি, জোরকরে হাটে পশু নামানো এ বিষয়গুলো বৈঠকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়গুলো নিয়ে প্রশাসন যেন সতর্ক থাকে কোনো ব্যবসায়ী বা ক্রেতাদের যাতে ভোগান্তিতে পড়তে না হয়। যত্রতত্র যাতে পশুর হাট না বসে। অনেক সময় দেখা যায় ঢাকার বাইরেও রাস্তার পাশে হাট বসছে। ফলে গাড়ি চলাচল করতে পারছে না। কাজেই রাস্তার পাশে কোন অবস্থায় সাময়িকভাবেও যেনো কোরবানির পশু বিক্রি না হয়।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী বলেন, এখন থেকেই বড় সাইনবোর্ড থাকবে টোল রেট (হাসিল) কতো। তারা তাদের ইচ্ছা মতো নেয়। শতকরা হার কতো তা হাটে চার্টটা দৃশ্যমান থাকতে হবে। পত্রপত্রিকার মাধ্যমেও ব্যাপক প্রচার প্রচারণা করা হবে। যাতে বেশি নিতে না পারে সে জন্য সেখানে (পশুর হাট) ভ্রাম্যমাণ আদালত থাকবে।  

এ সময় তিনি জানান, বৈঠকে রোহিঙ্গাদের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। রোহিঙ্গাদের তাদের দেশে ফিরে যেতে হবে। তবে যে পর্যন্ত তারা বাংলাদেশে থাকবে, সে সময়ে কোনো অপরাধ করলে কি আইনে ব্যবস্থা নেওয়া যায়। সে বিষয়ে আইনমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ২০২২ ঘণ্টা, জুলাই ০৩,২০২২
জিসিজি/এসএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।