ঢাকা, রবিবার, ২৮ বৈশাখ ১৪৩১, ১২ মে ২০২৪, ০৩ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

নরসিংদীতে সাবেক ইউপি সদস্যকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩৪২ ঘণ্টা, জুন ২২, ২০২২
নরসিংদীতে সাবেক ইউপি সদস্যকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা ফাইল ছবি

নরসিংদী: পূর্ব শত্রুতার জের ধরে নরসিংদীর হাজিপুরে প্রকাশ্যে সাবেক ইউপি সদস্য সুজিত সুত্রধরকে (৫৩) কুপিয়ে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা। এ সময় নিহতের ছেলে সুজনসহ ২ জন আহত হয়েছেন।

 

বুধবার (২২ জুন) রাত সাড়ে ৮টার দিকে নরসিংদীর উপ-শহর হাজিপুরের কাঠবাজারে নিহত সুজিতের দোকানে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত সুজিত সুত্রধর হাজিপুর ৩ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ছিলেন এবং হাজিপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি।

নিহতের পরিবারের অভিযোগ, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের সঙ্গে মামলা-মোকদ্দমার জের ধরে ইউপি চেয়ারম্যানের মদদে তার লোকজন এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে।  

নিহতের ছেলে সুজন সূত্রধর জানান, বুধবার সন্ধ্যার পর সুজিত সুত্রধর তার বাবা বাড়ি থেকে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে আসেন। তারা বাবা-ছেলে ব্যবসায়ীক বিষয় নিয়ে আলোচনা করছিলেন। রাত সাড়ে ৮টার দিকে বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যানের ভাই মনির, চেয়ারম্যানের সেকেন্ড ইন কমান্ড দেলু ও রাকিবের নেতৃত্বে ২৫ থেকে ৩০ জন সন্ত্রাসী দা, ছোড়া ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে সাবেক মেম্বার সুজিত সুত্রধরের উপর হামলা চালায়। সন্ত্রাসীরা সুজিত মেম্বারকে এলোপাথারী কোপাতে থাকে। সুজন ও দোকানের কর্মচারীরা তাদের বাধা দিতে এগিয়ে গেলে তাদেরকেও পিটিয়ে আহত করে। পরে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক সুজিতকে মৃত ঘোষণা করেন।  

ঘটনার প্রতক্ষ্যদর্শী ও নিহতের ছেলে সুজন সুত্রধর আরও জানান, তার বাবা ইউপি সদস্য থাকার সময় পরিষদের চাল ও গম বিতরণের অনিয়মসহ নানা বিষয়ে হাজিপুর ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান ইউসুফ খান পিন্টুর সঙ্গে বিরোধ ছিল। বিরোধের জের ধরে চেয়ারম্যানের নামে একাধিক মামলা করেন নিহত সুজিত সুত্রধর। মামলার জের ধরে তার বাবার ওপর একাধিক বার হামলা করেছে পিন্টু চেয়ারম্যান। মামলা তুলে না নিলে তার বাবাকে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে আসছিল।

বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব ও নরসিংদী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক খায়রুল কবির খোকন বলেন, নিহত সুজিত মেম্বার জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি ছিলেন। বর্তমান আওয়ামী সন্ত্রাসীরা তাকে নৃসংশ ভাবে হত্যা করেছে । আমরা এর সুষ্ঠ বিচার চাই। অন্যথায় আন্দোলনে নামবে বিএনপির নেতাকর্মীরা।

এ বিষয়ে জানতে হাজিপুর ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান ইউসুফ খান পিন্টুর মোবাইল ফোনে একাধিক বার কল করলেও তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

তবে পিন্টু চেয়ারম্যানের ভাই মনির জানান, শত্রু কখনো শত্রুকে মারে না। বাজারে বার্নিস মিস্ত্রীদের টাকা পয়সা নিয়ে নিহত সুজিতের ছেলে সুজনের সঙ্গে ঝগড়া হয়। এরই জের ধরে সুজিত মেম্বারকে হত্যা করা হয়।

নরসিংদীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) সাহেব আলী পাঠান বলেন, ঠিক কি কারণে হত্যাকাণ্ড ঘটেছে তা এখনো পরিষ্কার নয়। তবে দুই পক্ষের মধ্যে মামলা মোকদ্দমা ছিল। হত্যার রহস্য ও আসামি গ্রেফতারে পুলিশ অভিযান শুরু করেছে।


বাংলাদেশ সময়: ২৩৩৭ ঘণ্টা, জুন ২২, ২০২২
এসএ
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।