ঢাকা, শুক্রবার, ১০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ২৪ মে ২০২৪, ১৫ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

পদ্মায় বাড়ছে পানি: ফরিদপুরে ভাঙন ঝুঁকিতে ৩৫০ পরিবার

হারুন-অর-রশীদ, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৫০ ঘণ্টা, জুন ২১, ২০২২
পদ্মায় বাড়ছে পানি: ফরিদপুরে ভাঙন ঝুঁকিতে ৩৫০ পরিবার

ফরিদপুর: পদ্মা নদীতে পানি বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে ফরিদপুরে দেখা দিয়েছে তীব্র স্রোত। ফলে নদী রক্ষা বাঁধসহ বিভিন্ন স্থানে দেখা দিয়েছে ভাঙন।

পদ্মা নদী বেষ্টিত ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলার চর হরিরামপুর ইউনিয়নের সবুল্লা শিকদারের ডাঙ্গী এলাকায় এ ভাঙন দেখা দিয়েছে। লোহারটেক কোলের সংযোগ বাঁধেও দেখা দিয়েছে ভাঙন।

এভাবে ভাঙন অব্যাহত থাকলে অস্তিত্ব সংকটে পরার সম্ভাবনা রয়েছে সবুল্লা শিকদারের ডাঙ্গী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যলয়টি। সেই সঙ্গে ভাঙন ঝুঁকিতে রয়েছে এলাকার প্রায় ৩৫০ পরিবার।

মঙ্গলবার (২১ জুন) দুপুরে চরভদ্রাসন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তানজিলা কবির ত্রপা বাংলানিউজকে ভাঙনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, ভাঙন এলাকায় কিছু বস্তা পানির স্রোতে ভেসে গেছে। তবে, সেখানে পুনরায় বালুর বস্তা ফেলাসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

জানা যায়, সোমবার (২০ জুন) দুপুর থেকে ওই স্থানে ভাঙন দেখা যায়। এতে চরভদ্রাসন উপজেলার চর হরিরামপুর ইউনিয়নের সবুল্লা শিকদারের ডাঙ্গী গ্রামের নদীর বাঁধে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) বালুভর্তি জিও ব্যাগের ডাম্পিংকৃত প্রায় ১০ মিটার জায়গা নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, পদ্মা নদী ও লোহারটেক কোলের সংযোগ স্থলে তীব্র স্রোত দেখা দিয়েছে। এরপরই বালুভর্তি ডাম্পিংকৃত জিওব্যাগ নদীতে তলিয়ে যেতে থাকে। বাঁধের কাজ শুরু হওয়াতে তাদের আশা ছিল আর হয়তো ভাঙবে না। কিন্তু হঠাৎ ভাঙন দেখা দেওয়ার পর চিন্তায় পড়ে গেছেন ওই এলাকার বাসিন্দারা।

এ ব্যাপারে চর হরিরামপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর কবির জানান, পদ্মায় পানি বৃদ্ধির সঙ্গে তীব্র স্রোতের কারণে ভাঙনের সৃষ্টি হয়েছে। এ এলাকায় একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও প্রায় সাড়ে তিনশ’ পরিবার ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। ভাঙনরোধে কাজ চলছে। বালু ভর্তি জিও ব্যাগের ডাম্পিং করা হচ্ছে। প্রতিটি বালু ভর্তি জিও ব্যাগের ওজন প্রায় তিন মণ। তাও ফেলার সঙ্গে সঙ্গে নিচের দিকে দেবে যাচ্ছে। কাজের পরিমাণ ও গতি বাড়াতে হবে।

এ বিষয়ে ফরিদপুর পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী পার্থ প্রতিম সাহা বলেন, ভাঙনরোধে কাজ চলছে। সবুল্লা শিকদারের ডাঙ্গী গ্রামে ২০০ মিটার স্থায়ী বাঁধের কাজটি পুরোপুরি সম্পন্ন করা যায়নি। এবছর পূর্ব সতর্কতামূলক প্রকল্প এলাকা ঢালু করে তার ওপর জিও ব্যাগের ডাম্পিং করা হয়েছে। ওই স্থানে ভাঙনের খবর পেয়েছি। পদ্মা নদীর ভাঙন রোধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৫০ ঘণ্টা, ২১ জুন, ২০২২
এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।