ঢাকা, শনিবার, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৮ মে ২০২৪, ০৯ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

মেহেরপুর সদর থানার ওসির দায়িত্বে জুলফিকার

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৪৪ ঘণ্টা, জুন ১৪, ২০২২
মেহেরপুর সদর থানার ওসির দায়িত্বে জুলফিকার

মেহেরপুর: মেহেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হিসেবে জুলফিকার আলীকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তিনি একই থানার তদন্ত কর্মকর্তা ছিলেন।

মঙ্গলবার (১৪ জুন) বিকেলে মেহেরপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) জামিরুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, কোনো থানার ওসি বা কর্মকর্তা বদলি হলে সঙ্গে সঙ্গে সেই অফিসের দ্বিতীয় প্রধানকেই সাময়িক চার্জ দেওয়া হয়।

মঙ্গলবার বিকেলে মেহেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ দারা খানকে বদলি করতে নির্বাচন কমিশনের নির্বাচন প্রশাসন শাখার উপ সচিব (চলতি দায়িত্ব) মিজানুর রহমানের সই করা এক বদলির আদেশ কার্যকর করতে বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শককে চিঠি দেন।

চিঠিতে তিনি উল্লেখ করেন, ১৫ জুন অনুষ্ঠেয় মেহেরপুর পৌর সভার সাধারণ নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে ইতোমধ্যে বদলিকৃত মেহেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহ দারা খানের বদলির আদেশ কার্যকর করার জন্য প্রধান নির্বাচন কমিশন নির্দেশ দিয়েছে। এ নিদের্শনা অনুযায়ী নির্বাচনের আগে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ করে নির্বাচন কমিশন সচিবলায়কে অবহিত করার জন্য নির্দেশ দিয়েছে কমিশন।

প্রসঙ্গত, নির্বাচনে পক্ষপাতমূলক আচরণের অভিযোগ তুলে মেহেরপুর পৌরসভার আওয়ামী লীগের প্রার্থীসহ ও আট কাউন্সিলর প্রার্থী মেহেরপুর সদর থানার ওসি শাহ দারা খানের বিরুদ্ধে পক্ষপাতের অভিযোগ তুলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিযোগ করেন।

আওয়ামী লীগের মনোনীত মেয়র প্রার্থী মাহফুজুর রহমান রিটন তার অভিযোগে উল্লেখ করেন, শাহ দারা খান মেহেরপুর পৌরসভার নির্বাচনে পক্ষপাতমূলক আচরণ করে নির্বাচন কমিশনের ভাবমূর্তি এবং নির্বাচনের পরিবেশকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে অপতৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছেন।  

গত ৮ জুন ওসির নির্দেশে পুলিশের একজন কর্মকর্তা ও সঙ্গীয় ফোর্সসহ মেহেরপুর পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডে আমার নির্বাচনী কার্যালয়ের ভেতর অতর্কিত উপস্থিত হয়ে আমার একজন কর্মীকে তুলে আনার অপচেষ্টা চালান। এছাড়া গত ১২ জুন একই স্থানে ওসি তার উগ্রতার প্রকাশ ঘটালে স্থানীয় নারী ভোটাররা তাকে ঘিরে রাখেন। তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষ নিয়ে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ও ভোটারদের মধ্যে ভীতি তৈরি করছেন। বদলিকৃত এই ওসিকে এখান থেকে অপসারণ করা না হলে ভোটকেন্দ্রে সুষ্ঠু পরিবেশ আসবে না বলেও তিনি অভিযোগ করেন।

এর আগে গত ১৩ এপ্রিলের মধ্যে সদর থানার ওসি শাহ দারা খানকে বদলির ছাড়পত্র নিতে খুলনা রেঞ্জ ডিআইজি নির্দেশ দিলে তিনি বদলি না হয়ে সদর থানায় বহাল ছিলেন। তারপরেও শাহ দারা খানকে দ্বিতীয়বারের মতো ডিপার্টমেন্ট বদলি করেন। দ্বিতীয়বার বদলি করলেও শাহ দারা খান সদর থানার দায়িত্ব কাউকে হস্তান্তর না করে এখানেই থেকে যান।  

সূত্রে জানা যায়, প্রথম দফায় বদলি হন শাহ দারা খান। তার স্থলাভিষিক্ত হওয়ার কথা ছিল চুয়াডাঙ্গা সদর থানা থেকে বদলি হয়ে মেহেরপুর আসা তৎকালীন ওসি জিহাদের। ওসি জিহাদ চার্জ গ্রহণের জন্য কয়েক মাস অপেক্ষার পর এখান থেকে আবারও অন্যত্রে বদলি নিয়ে ফিরে যান। পরবর্তিতে আবারও শাহ দারা খানের বদলির আদেশ হয়। একই সঙ্গে খুলনার ডুমুরিয়া থেকে সদর থানায় বদলি হন ওসি ওবায়দুর রহমান। প্রায় তিন মাস আগে ওসি ওবায়দুর রহমান মেহেরপুর পুলিশ লাইনে যোগ দেন। কিন্তু ওসি শাহ দারা খান তাকে চার্জ হস্তান্তর না করে বদলি অবস্থায় এখানেই রয়ে যান।

বাংলাদেশ সময়: ২১৪৪ ঘণ্টা, জুন ১৪, ২০২২
আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।