ঢাকা, সোমবার, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ২০ মে ২০২৪, ১১ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

পুলিশ ক্লিয়ারেন্স জালিয়াতির অভিযোগে গ্রেফতার ৩

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৩৬ ঘণ্টা, জুন ১, ২০২২
পুলিশ ক্লিয়ারেন্স জালিয়াতির অভিযোগে গ্রেফতার ৩ ডিএমপি মতিঝিল বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মো. আব্দুল আহাদ।

ঢাকা: পাসপোর্টের ঠিকানা পরিবর্তন এবং ওয়ার্ড কাউন্সিলরের ভুয়া প্রত্যয়নপত্র সংযুক্ত করে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স জালিয়াতির অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছেন তিনজন।

আসামিরা হলেন- মো. মাসুদ মিয়া, মো. কামাল হোসেন ও গোলাম কিবরিয়া।

৩০ হাজার টাকায় পুলিশ ক্লিয়ারেন্স দেওয়ার চুক্তির অভিযোগ রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে।

বুধবার (০১ জুন) দুপুরে রাজধানীর পল্টন মডেল থানায় সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মতিঝিল বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মো. আব্দুল আহাদ।

ডিসি বলেন, কিছু অপরাধী ভুয়া ঠিকানা ও জাল কাগজ দিয়ে জনবান্ধব নাগরিক সেবা হাসিলে কাজ করছে। ৩০ হাজার টাকায় পুলিশ ক্লিয়ারেন্স দেওয়ার চুক্তির ঘটনায় মঙ্গলবার (৩১ মে) বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত রাজধানীর ফার্মগেট, খিলক্ষেত ও কেরানীগঞ্জ এলাকায় অভিযান চালিয়ে এ তিন আসামিকে গ্রেফতার করা হয়।

যেভাবে গ্রেফতার হলেন আসামিরা

আব্দুল আহাদ জানান, গত ২০ এপ্রিল মো. মাসুদ মিয়া নামে এক ব্যক্তি পুলিশ কমিশনার বরাবর অনলাইনে একটি পুলিশ ক্লিয়ারেন্সের জন্য আবেদন করেন। যাচাই বাছাই করার সময় আবেদনে দেওয়া ঠিকানা ভুয়া বলে প্রতীয়মান হয়। পরে আবেদনে সংযুক্ত ওয়ার্ড কাউন্সিলের প্রত্যয়নপত্রটি যাচাই করা হয়। এতে থাকা স্বাক্ষর ও প্রত্যয়নপত্রটি সঠিক নয় বলে সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড কাউন্সিলর জানান।

এরপর মঙ্গলবার বিকেলে ফার্মগেট থেকে আবেদনকারী মো. মাসুদ মিয়া ও তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে খিলক্ষেত থেকে কামাল হোসেন ও কেরানীগঞ্জ থেকে মো. গোলাম কিবরিয়াকে গ্রেফতার করা হয়।

মতিঝিল বিভাগের উপ-কমিশনার আরও বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, গ্রেফতার মাসুদ মিয়ার বিদেশ যাওয়ার প্রয়োজনে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেটের জন্য ৩০ হাজার টাকায় কামাল হোসেনের সঙ্গে চুক্তি করেন। এদিকে, তার নামে নরসিংদীর মাধবদী থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। কামাল হোসেন আবার ২৮ হাজার টাকায় গোলাম কিবরিয়ার সঙ্গে চুক্তি করেন।

অপরাধের প্রক্রিয়া সম্পর্কে এ পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, গ্রেফতার আসামিরা মূল পাসপোর্টের তথ্য পাতা স্ক্যান করে কম্পিউটারের মাধ্যমে জরুরি যোগাযোগের ঠিকানা পরিবর্তন করে। এরপর পল্টন মডেল থানা এলাকার ঠিকানা ব্যবহার করে এবং ওয়ার্ড কাউন্সিলরের ভুয়া প্রত্যয়নপত্র সংযুক্ত করে। এডিট করা পাসপোর্টের ফটোকপিতে ডাক্তারের জাল সিল-স্বাক্ষর সত্যায়ন করে পুলিশ ক্লিয়ারেন্সের জন্য অনলাইনে আবেদন করা হয়। এ ঘটনায় সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে পল্টন মডেল থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।

গ্রেফতার আসামিরা একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক ও জালিয়াত চক্র। কিছুদিন আগেও পুলিশ ক্লিয়ারেন্সের জন্য ছয়টি ভুয়া আবেদন পল্টন থানা থেকে প্রত্যাখ্যাত (রিজেক্ট) হয় বলেও জানান আব্দুল আহাদ।

বাংলাদেশ সময়: ২১৩৫ ঘণ্টা, জুন ০১, ২০২২
এসজেএ/এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।