ঢাকা, শুক্রবার, ১৭ কার্তিক ১৪৩১, ০১ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

খাগড়াছড়িতে গভীর রাতে পাহাড় কাটার অভিযোগ, আদালতের নিষেধাজ্ঞা  

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭০৪ ঘণ্টা, মে ৩১, ২০২২
খাগড়াছড়িতে গভীর রাতে পাহাড় কাটার অভিযোগ, আদালতের নিষেধাজ্ঞা   ছবি: বাংলানিউজ

খাগড়াছড়ি: খাগড়াছড়ির গুইমারায় রাতের আঁধারে স্কেভেটর দিয়ে পাহাড় কাটার অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি স্থানীয় গনমাধ্যমকর্মীদের থেকে জানার পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেছে প্রশাসন।



এ বিষয়ে আবেদনের প্রেক্ষিতে সোমবার (৩০ মে) যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ মাহমুদুল ইসলামের আদালত ওই জায়গায় কাজ বন্ধে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন। একই সঙ্গে ৭দিনের মধ্যে বিবাদীদের কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছেন আদালত।

রোববার (২৯ মে) দিনগত গভীর রাতে গুইমারার বড় পিলাক গ্রামের কেন্দ্রীয় মসজিদ সংলগ্ন প্রধান সড়কের পাশে স্কেভেটর দিয়ে কেটে অনেকটা সমান করা হয়। এতে ক্ষুদ্ধ মসজিদ কমিটিসহ স্থানীয়রা।

জানা গেছে, জায়গাটি গুইমারা থানার ওসি মো. মিজানুর রহমানের স্ত্রীর। বিষয়টি তিনি স্বীকার করলেও এখনো স্ত্রীর নামে কাগজ হয়নি বলে জানান ওসি।  

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, রোববার দিনগত গভীর রাতে ১০/১৫জন লোক এসে স্কেভেটর দিয়ে পাহাড় কেটে সমান করে। তারপর চারপাশে টিন দিয়ে ঘেরাও দেয়। সোমবার সকালে সাংবাদিকরা বিষয়টি খোঁজ খবর নিতে গেলে স্থানীয় শুক্কুর মাঝি, মকবুল, আবুল কালাম সহ অনেকে অসৌজন্যমুলক আচরণ করেন। তারা ওসির অনুমতি নিয়ে পাহাড় কাটা হয়েছে বলে দাবি করে।

গুইমারার হাফছড়ি ইউনিয়নের ওয়ার্ড সদস্য ও বড়পিলাক জামে মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. ছানা উল্লাহ বলেন, মসজিদ ও কবরস্থান মিলিয়ে ৫ একর জায়গা। ইতোমধ্যে জেলা পরিষদ থেকে প্রাপ্ত বরাদ্ধের ৭১ লাখ টাকার কাজ হয়েছে। কিন্তু রাতে ওসির নির্দেশে পাহাড় কেটে মাদ্রাসার টয়লেটসহ চারপাশে ঘেরাও দেওয়া হয়।

তিনি বলেন, স্থানীয় ব্যক্তির দাবি করা জায়গা দক্ষিণ পাশে হলেও তারা মসজিদ সংলগ্ন উত্তর পাশে ১৯ শতক জায়গা ওসির স্ত্রী নাহিদা আক্তারের নামে কেনে। যা রেজিস্ট্রেশন পর্যায়ে আছে। এটি নিয়ে কথা বলায় আমাকে মামলাসহ নানাভাবে হেনস্থা করা হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে গুইমারা থানার ওসি মো. মিজানুর রহমান স্ত্রীর নামে ১৯শতক জায়গা থাকার কথা স্বীকার করেন। জায়গাটি রেজিস্ট্রি হয়নি দাবি করে এ বিষয়ে আর কথা বলতে রাজি হননি ওসি।  

সোমবার (৩০ মে) যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ মাহমুদুল ইসলামের আদালত বড়পিলাক জামে মসজিদের সাধারণ সম্পাদক ছানা উল্লাহর আবেদনের প্রেক্ষিতে সৈয়দ হোসেন ও নাহিদা আক্তারকে বিবাদীতে শোকজ করেন। তাদের আগামী ৭দিনের মধ্যে কারণ দর্শানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ সময় উক্ত জায়গার যাবতীয় কাজ বন্ধ রাখার কথা বলা হয়। আগামী ১৪ আগষ্ট মামলার পরবর্তী শুনানি হবে।

গুইমারা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) তুষার আহম্মেদ বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন তিনি।  

বাংলাদেশ সময়: ১৭৩০ ঘণ্টা, মে ৩০, ২০২২
এডি/এসএ
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।