ঢাকা, মঙ্গলবার, ৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

শাহজালাল মাজার মুখরিত হলো লাকড়ি তোড়া উৎসবে 

  সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৪২ ঘণ্টা, মে ২৮, ২০২২
শাহজালাল মাজার মুখরিত হলো লাকড়ি তোড়া উৎসবে  ছবি: মাহমুদ হোসেন

সিলেট: সিলেটে হযরত শাহজালাল (র.) মাজারের ওরসকে সামনে রেখে অনুষ্ঠিত হলো লাকড়ি তোড়া উৎসব। শনিবার (২৮ মে) এ উৎসবে অংশ নেন হাজারো ভক্ত।

 

প্রচুর সংখক ভক্ত অনুরাগী ভক্তিমূলক গান ও বাদ্যযন্ত্রের সুরে মুখরিত করে তোলেন মাজার প্রাঙ্গন থেকে লাকড়ি সংগ্রহের টিলা পর্যন্ত। ঐতিহ্য অনুযায়ী ওরসের তিন সপ্তাহ আগে লাকড়ি সংগ্রহ করা হয়, যা লাকড়ি তোড়া নামে পরিচিত।  

করোনা পরিস্থিতিতে গেল দুই বছর ওরস উদযাপন হয়নি শাহজালাল (র.) মাজারে। ৭০১ ও ৭০২ তম ওরস মোবারকে কেবল গিলাফ ছড়ানোতেই সীমাবদ্ধ ছিল। পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকায় ৭০৩ তম বছরে শাহজালাল (র.) মাজারে ওরস মোবারক উদযাপন হবে।  

আগামী ১৯ ও ২০ জুন (বাংলা ১৪২৯ সনের ৫ ও ৬ আষাঢ় এবং ১৪৪৩ হিজরী সনের ১৯ ও ২০ জিলক্বদ) ওরস মোবারকের আয়োজন করা হয়েছে।


  
দরগাহ হযরত শাহজালাল মজররদ ইয়ামনী (র.) মাজারের সরেকওম (মোতাওয়াল্লী) কর্তৃক ছাপানো লিফলেটে ওরসের তথ্য প্রচার করা হয়। এতে উল্লেখ করা হয় ১৯ জুন দিবাগত রাত সোয়া ৩ টায় আখেরি মোনাজাত শুরু হবে।
 
চিরায়ত ঐতিহ্য, বিগত সাতশ বছর ধরে ওরসের তিন সপ্তাহ আগে ‘লাকড়ি তোড়া’ সম্পন্ন হয়ে আসছে। সংশ্লিষ্টরা বলেন, ৩৬০ আউলিয়ার অন্যতম হযরত শাহজালাল (র.) জীবদ্দশা থেকে এভাবে লাকড়ি সংগ্রহ করা হতো।


 
শনিবার (২৮ মে) বাদ যোহর দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আগত হাজারো ভক্ত দরগাহ প্রাঙ্গণে জড়ো হন লাকড়ি তোড়ায় অংশ নিতে।
 
নামাজের পর দরগাহে মিলাদ শেষে নাগারা বাজানোর সঙ্গে সঙ্গে ভক্তরা শহরতলির লাক্কাতোড়া ও মালনিছড়া চা বাগানের মাঝামাঝি নির্ধারিত টিলার উদ্দেশে রওয়ানা দেন। সেখানে গিয়ে মিলাদ পড়ে শুরু হয় লাকড়ি সংগ্রহ।
 
শাহজালালকে (র.) উৎসর্গ করে কেউ কেউ বাদ্যযন্ত্রসহকারে, আবার কেউ খালি গলায় তুলছেন ভক্তিমূলক ও দেহতত্ত্ব গানের সুর। তারা গানের তালে মাতিয়ে রাখেন দর্শনার্থীদের। এরপর মাজারের পুকুরে লাকড়ি ধুয়ে নির্ধারিত স্থানে রেখে দেন। ওরসে শিরনীর রান্নার কাজে জ্বালানীতে এসব লাকড়ি প্রতীকে ব্যবহার করা হবে।


 
হযরত শাহজালাল (রহ.) ১৩০৩ খ্রিস্টাব্দে ৩৬০ সফরসঙ্গী নিয়ে ইসলাম প্রচারের জন্য সিলেট আসেন। ১৩৪৬ খ্রিস্টাব্দে ১৯ জিলকদ তাঁর ইন্তেকাল হয়। সিলেটে তিনি যে টিলায় বসবাস করতেন সেখানেই তাকে দাফন করা হয়। এই মাজার সারা বছরই ভক্ত আশেকান ও দর্শনার্থীদের পদচারণায় মুখর থাকে।  
 
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৮ ঘণ্টা, মে ২৮, ২০২২
এনইউ/এসএ

 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad