হবিগঞ্জ: শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদপত্র ও বাড়িতে সংরক্ষিত জন্মনিবন্ধনে মেয়েটির নাম মিলি আক্তার। কিন্তু অনলাইন থেকে প্রিন্ট করা জন্ম নিবন্ধনে তার নাম মিমি আক্তার।
শুক্রবার (২০ মে) হবিগঞ্জ সদর উপজেলার বহুলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। শুধু মিলিই নন; ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রমে এমন ঘটনা ঘটে গেছে হবিগঞ্জ সদর ও বাহুবল উপজেলায় ভোটার হতে ইচ্ছুক অন্তত ৭৭ শতাংশ মানুষের সঙ্গে।
নতুন ভোটার হওয়ার ক্ষেত্রে অনলাইন থেকে প্রিন্ট করা জন্ম নিবন্ধন সরবরাহ আবশ্যক। কিন্তু এতেই যত ‘বিপত্তি’। অনেক তরুণ-তরুণীর অনলাইন জন্মনিবন্ধের তথ্য এক রকম এবং হাতে থাকা জন্ম নিবন্ধনের তথ্য আরেক রকম। তথ্য সংগ্রহকারীদের হিসেবে এমন ভুল হয়েছে অন্তত ৭০ শতাংশ মানুষের ক্ষেত্রে, কোথাও কোথাও ভুলের হার ৯০ শতাংশ।
গোপায়া ইউনিয়নের বাসিন্দা সালমা বেগম জানালেন, ভোটার হতে ইচ্ছুক তার ছেলের নাম মাসুদ মিয়া। হাতে থাকা জন্ম নিবন্ধনেও তাই লেখা। কিন্তু ইউনিয়ন পরিষদের তথ্য সেবা কেন্দ্র থেকে প্রিন্ট করে দেয়া অনলাইন জন্ম নিবন্ধনে মাসুদের নাম এসেছে মাসুদা মিয়া। অনলাইনেও সংরক্ষিত মাসুদা। এজন্য তাদের বাড়িতে হালনাগাদের তথ্য সংগ্রহকারীরা আসলেও ভোটার হতে পারেননি মাসুদ।
হবিগঞ্জ পৌরসভার পুরান মুন্সেফী এলাকার বাসিন্দা নাজরিন আক্তারের ক্ষেত্রেও একই রকমের সমস্যা হয়েছে। মিলি, সাদেক ও নাজরিনের অভিভাবকরা জানিয়েছেন, জন্মনিবন্ধন অনলাইনে হালনাগাদের সময় দায়িত্বপ্রাপ্তরা এই ভুলটি করেছেন।
এদিকে, হবিগঞ্জ সদর উপজেলার লোকড়া ইউনিয়নে ভোটারদের তথ্য সংগ্রহে নিয়োজিত প্রবোধ চন্দ্র দাস জানিয়েছেন, তিনি ১০ জন মানুষের তথ্য সংগ্রহ করতে গেলে ৭ জনের কাছেই অনলাইন জন্মনিবন্ধন সংরক্ষিত পাননি।
গোপায়া ইউনিয়নে তথ্য সংগ্রহকারী মোঃ কামাল মিয়ার দেয়া তথ্য অনুযায়ী তিনি শুক্রবার প্রায় ৫০ জন নতুন ভোটারের তথ্য সংগ্রহ করতে তাদের বাড়িতে গিয়েছিলেন। এদের ৪০ জনের হাতে সংরক্ষিত জন্ম নিবন্ধন ও অনলাইন জন্মনিবন্ধনের তথ্য ভিন্ন। এজন্য এই ৪০ জন ভোটার হতে পারেননি।
এ বিষয়ে হবিগঞ্জ জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাদেকুল ইসলাম বলেন, অনলাইন জন্ম নিবন্ধন ছাড়া নতুন করে কেউ ভোটার হতে পারবেন না। জন্ম নিবন্ধনে দুই রকমের তথ্য থাকলেও ভোটার হতে পারবেন না। তবে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে জন্ম নিবন্ধন সংশোধন করতে আনতে পারলে ভোটার হতে পারবেন।
বাংলাদেশ সময়: ০১৪৩ ঘণ্টা, মে ২১, ২০২২
আরইউ