ঢাকা, রবিবার, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৯ মে ২০২৪, ১০ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে সকল উন্নয়ন কাজ বাস্তবায়ন হচ্ছে

ডিস্ট্রিক্ট করসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮১৯ ঘণ্টা, মে ১১, ২০২২
প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে সকল উন্নয়ন কাজ বাস্তবায়ন হচ্ছে

চাঁদপুর: চাঁদপুর জেলা পরিষদের নবনিযুক্ত প্রশাসক ওসমান গণি পাটওয়ারীর সঙ্গে সাংবাদিকদের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (১১ মে) দুপুরে পরিষদের হলরুমে মতবিনিময় সভার আয়োজন করে জেলা পরিষদ।

সভায় জেলা পরিষদ প্রশাসক চেয়ারম্যান থাকাকালীন সময়ে জেলা পরিষদের উন্নয়নের বিস্তারিত চিত্র তুলে ধরে লিখিত বক্তব্য দেন।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকে মনোনীত করার পর চেয়ারম্যান নির্বাচিত হই। এরপর থেকে তার নির্দেশনা মোতাবেক প্রতিটি কাজ বাস্তবায়নের চেষ্টা করেছি। এসব উন্নয়ন কাজ জেলা পরিষদের সকল কর্মকর্তা ও সদস্যদের সার্বিক সহযোগিতায় প্রান্তিক পর্যায়ে বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়েছে। এখন কিছু উন্নয়ন কাজ চলমান আছে।

তিনি আরো বলেন, জেলার প্রবেশ মুখে একটি বঙ্গবন্ধু গেট নির্মাণ কাজ বাস্তবায়ন করেছে জেলা পরিষদ। এভাবে বাকি প্রবেশ মুখে বঙ্গবন্ধু গেট নির্মাণ করার পরিকল্পনা আছে। সরকারের অন্য দপ্তরগুলো যেসব উন্নয়ন কাজ করে এর বাইরে গিয়ে প্রয়োজনীয় উন্নয়ন কাজগুলো করার জন্য আমরা চেষ্টা করি। আমরা জেলার যেসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নেই সেখানে শহীদ মিনার নির্মাণ করেছি। বঙ্গবন্ধুর আত্মজীবনীসহ অন্যান্য বই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে উপহার দিয়েছি।

সাংবাদিকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনারা জাগ্রত থাকলে সমাজের উন্নয়ন হয়। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টা থাকলে আমরা সমাজ থেকে ভয়াবহ মাদকসহ অপরাধমূলক কাজ নির্মূল করতে পারব। এ ক্ষেত্রে সাংস্কৃতিক অঙ্গনের লোকদের এগিয়ে আসতে হবে এবং ভূমিকা রাখতে হবে। এছাড়াও মহান মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি ও ভাস্কর্যগুলো সংরক্ষণে আমরা কাজ করার চেষ্টা করেছি। অনেক সময় বাধার সৃষ্টি হয়েছে। এসব স্মৃতি সংরক্ষণে আপনাদের লিখনির মাধ্যমে তুলে ধরতে হবে। তাহলে বিষয়গুলো সকলের সামনে স্পষ্ট হবে এবং নতুন প্রজন্ম জানতে পারবে। এসব কাজে সব সময় জেলা পরিষদ সঙ্গে থাকবে।

পরবর্তী জেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ সম্পর্কে তিনি বলেন, আমি জাতির পিতার আদর্শকে লালন করি। জননেত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বের ওপর আস্থা ও বিশ্বাস রেখে কাজ করে আসছি। তিনি যাকে মনোনয়ন দিবেন তার পক্ষেই থাকব। তিনি যদি আমাকে যোগ্য মনে করেন তাহলে আমি নির্বাচনে অংশ নিব। আপনারা যদি আমাকে আবারও কাজ করার সুযোগ করে দেন তাহলে অবশ্যই আমার সর্বোচ্চটা দিয়ে কাজ করার চেষ্টা করব।

ওসমান গণি পাটওয়ারী বলেন, বঙ্গবন্ধু তাঁর বক্তব্যে মাঝে মাঝে বলতেন দেশে দু’টি সরকার। একটি হচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার এবং অপরটি হচ্ছে স্থানীয় সরকার। স্থানীয় সরকারের মাধ্যমেই সরকারের ব্যাপক উন্নয়ন কাজ বাস্তবায়ন হয়। আমি মনে করি, যতদিন ধানমণ্ডি ৩২ নম্বর এ বঙ্গবন্ধুর সমাধি ধাকবে, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকবে এবং দেশের নেতৃত্ব বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনার হাতে থাকবে, ততদিন বাংলাদেশ পথ হারাবে না।

প্রেসক্লাবের সভাপতি গিয়াস উদ্দিন মিলনের সঞ্চালনায় আরো বক্তব্য দেন জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মো. মিজানুর রহমান, চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি গোলাম কিবরিয়া জীবন, কাজী শাহাদাত, বর্তমান সাধারণ সম্পাদক রিয়াদ ফেরদৌস, সাবেক সভাপতি শহীদ পাটওয়ারী, শরীফ চৌধুরী।

উন্মুক্ত প্রশ্নোত্তর পর্বে বক্তব্য দেন সাংবাদিক সোহেল রুশদী, রহিম বাদশা, এএইচএম আহসান উল্যাহ, শাহাদাত হোসেন শান্ত, পার্থনাথ চক্রবর্তী, কেএম মাসুদ, তালহা জুবায়ের, রহুল আমিন ও ইব্রাহীম রনি প্রমুখ।

সর্বশেষে জেলা পরিষদের প্রশাসকের পক্ষ থেকে প্রেসক্লাবের লাইব্রেরির জন্য বেশকিছু বই উপহার হিসেবে তুলে দেয়া হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৮১৫ ঘণ্টা, মে ১১, ২০২২
এনটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।