ঢাকা, মঙ্গলবার, ৩১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ মে ২০২৪, ০৫ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

ঈদের আনন্দ মলিন করেছে ‘বেপরোয়া বাইক’

ইসমাইল হোসেন, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৪৩ ঘণ্টা, মে ৫, ২০২২
ঈদের আনন্দ মলিন করেছে ‘বেপরোয়া বাইক’

ঢাকা: বরাবরের মতো এবারের ঈদযাত্রা এবং ঈদ পরবর্তী সময়ে দুর্ঘটনায় বহু হতাহত হয়েছে। তবে এবার মোটরসাইকেলের বেপরোয়া চলাচলে প্রাণহানির সংখ্যা বেশি বলে মনে করছেন সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ে কাজ করা দুটি সংগঠন।

 তারা মোটরসাইকেলের ওপর কঠোর নিয়ন্ত্রণ আরোপের দাবি জানিয়ে বলছেন, তা করা না গেলে ঈদের মতো আনন্দের সময় প্রাণহানি আরও বাড়বে।

বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি এবং রোড সেফটি ফাউন্ডেশন বলছে, এবারের ঈদে ১৫-২০ লাখ মানুষ ঢাকা থেকে বাইকে করে গ্রামের বাড়িতে চলে গেছেন। বাড়ি ফেরার সময় ছাড়াও বাড়িতে গিয়ে অনেকেই বেপরোয়া চলাচলের কারণে দুর্ঘটনার সংখ্যা ও প্রাণহানি অতীতের তুলনায় অনেক বেড়েছে।

ঈদের দিন ও পরের দিন এবং ঈদের তৃতীয় দিন প্রতিদিনই দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সড়ক দুর্ঘটনার খবর এসেছে। এসব দুর্ঘটনার মধ্যে বেপরোয়া মোটরসাইকেলে বেশি দুর্ঘটনা ঘটেছে। পাশাপাশি অটোরিক্সার মতো বাহনের কারণে দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে বেশি।

রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক সাইদুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, মোটরাইকেলে বাড়ি যাওয়ার সংখ্যা এবার বেড়ে গেছে। বেপরোয়াভাবে বাইক চালাচ্ছে এবং দুর্ঘটনা বাড়ছে। এটা বন্ধ করা দরকার। যে যেভাবে পারছে বাইক চালাচ্ছে। ১৫-২০ লাখ মানুষ মোটরসাইকেলে করে বাড়ি চলে গেছেন। এটা ঠিক না।
বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী জানান, আমরা ঈদে যাত্রাপথে স্বস্তি লক্ষ্য করলাম। কিন্তু দুর্ঘটনা বরাবরের মতোই রয়েছে। কমাতে পারিনি।

 তিনি বলেন, এবারের ঈদে বাইকে যাতায়াতের সংখ্যাও বেশি। ঢাকা থেকে ১৫-২০ লাখ মানুষ বাইকে যাতায়াত করেছেন। আর ৭০-৯০ লাখ মানুষ অন্য জেলাগুলোতে চলাচল করেছেন। সব মিলিয়ে কোটির কাছাকাছি মানুষের যাতায়াত হয়েছে বাইকে। যাতায়াতের সংখ্যা বেড়েছে, বাড়ার হারও স্বাভাবিক। এই আশঙ্কায় আমরা আগেই নিয়ন্ত্রণ করতে বলেছিলাম।

ঈদে গণপরিবহনের সংখ্যা না বাড়ার কারণে মানুষে ব্যক্তিগতভাবে বাইকে করে বাড়ি ফিরেছেন জানিয়ে মোজামম্মেল হক বলেন, এতে দুর্ঘটনার সংখ্যাও বেড়েছে।

যাত্রী কল্যাণ সমিতির তথ্যে দেখা যায়, গত ঈদুল আজহায় যাতায়াতে সড়ক, রেল ও নৌ-পথে ২৬২টি দুর্ঘটনায় ২৯৫ জন নিহত ও ৪৮৮ জন আহত হয়েছেন। ওই ঈদে ৮৭টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ৯৩ জন নিহত, ৫৯ জন আহত হন। যা মোট সড়ক দুর্ঘটনার ৩৬ দশমিক ২৫ শতাংশ, নিহতের ৩৪ দশমিক ০৬ শতাংশ এবং আহতের ১৩ দশমিক ১৯ শতাংশ।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৪১ ঘণ্টা, মে ০৫, ২০২২
এমআইএইচ/এসআইএস
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।