ঢাকা, শুক্রবার, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ মে ২০২৪, ০১ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

মেঘনা সেতু নির্মিত হলে দেশের অর্থনীতি আরও সমৃদ্ধ হবে 

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬১০ ঘণ্টা, এপ্রিল ২২, ২০২২
মেঘনা সেতু নির্মিত হলে দেশের অর্থনীতি আরও সমৃদ্ধ হবে  একেএম এনামুল হক শামীম

শরীয়তপুর: পানিসম্পদ উপমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক একেএম এনামুল হক শামীম বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্ব ব্যাংককে চ্যালেঞ্জ করে নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ করেছেন। তাঁর হাত ধরেই মেঘনা সেতু নির্মিত হবে।

 

শরীয়তপুর-চাঁদপুর নৌরুটে মেঘনা সেতু নির্মিত হলে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের খুলনা ও বরিশাল বিভাগের ২২ জেলা, সিলেটের চার জেলা এবং চট্টগ্রাম বিভাগের ১১ জেলার সঙ্গে সরাসরি সড়ক যোগাযোগ স্থাপিত হবে।  

এছাড়া তিনটি সমুদ্র বন্দরের মধ্যে সড়কপথে পণ্য পরিবহনে সময় কমিয়ে আনাও সম্ভব হবে। ফলে দেশের অর্থনীতিতে বিরাট ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। এই সেতুর একপ্রান্তে চাঁদপুরের হরিণা ফেরিঘাট আর অন্যপ্রান্তে শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলার আলুবাজার ফেরিঘাট। দুই ফেরিঘাটের মধ্যে দূরত্ব নদী ও চর মিলিয়ে ১০ কিলোমিটার। সেতুটি হলে শুধু চাঁদপুর ও শরীয়তপুর জেলার মানুষই লাভবান হবে না, সারাদেশে অর্থনীতি ও যোগাযোগ ব্যবস্থার পরিবর্তনে বিপ্লব সাধিত হবে। বাংলাদেশের জন্য যা কল্যাণকর বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাই করেন। এ দেশ বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সমৃদ্ধ বাংলাদেশে রূপান্তরিত হবে।

শুক্রবার (২২ এপ্রিল) দুপুরে শরীয়তপুরের সখিপুরের আলুর বাজার সংলগ্ন মেঘনা নদী পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।

এনামুল হক শামীম বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুদৃঢ় ও বলিষ্ঠ নেতৃত্বের কারণেই সব ষড়যন্ত্র উপেক্ষা করে নিজস্ব অর্থায়নে স্বপ্নের পদ্মা সেতু নির্মিত হয়েছে। এ সেতুতে যানবাহন চলাচল এখন সময়ের ব্যাপার। মানবতার মা, জননেত্রী শেখ হাসিনার সাহসী নেতৃত্বে এবার মেঘনা সেতুও নির্মিত হবে। তাই সরকার ২৪৩ কোটি টাকা ব্যয়ে স্পেনের বিশেষজ্ঞ প্রতিষ্ঠান দিয়ে মেঘনা সেতুর প্রাথমিক সমীক্ষার কাজ শুরু করেছে। শরীয়তপুরবাসীর পক্ষ থেকে জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।

জানা যায়, একেএম এনামুল হক শামীম এমপি হয়ে উপমন্ত্রী হওয়ার পর ২০১৯ সালের ১০ মার্চ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশনে মেঘনা সেতুর জন্য প্রস্তাব দেন। মেঘনা সেতু নির্মাণেও সম্ভাব্যতা সমীক্ষা পরিচালনা এবং মাস্টার প্ল্যান প্রণয়নে ছয়টি পরামর্শক প্রতিষ্ঠান নিয়োগ দিয়েছে সরকার। মেঘনা নদীর যে ৯টি পয়েন্ট সমীক্ষা হচ্ছে তার ৪টি পয়েন্টের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। আগামী জুন মাসের মধ্যে বাকি ৫টি পয়েন্টের কাজ শেষ হবে।

এসময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন- ভেদরগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান ও সখিপুর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি হুমায়ুন কবির মোল্লা, ইউএনও তানভীর আল নাসীফ, থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আতিকুর রহমান মানিক সরকার, সহ-সভাপতি জিতু মিয়া বেপারী, আনোয়ার হোসেন বালা, জেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক খবিরুজ্জামান বাচ্চু, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক কাওসার আহমেদ তকি প্রমুখ।

এছাড়াও সখিপুর থানার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নতুন ভবন উদ্বোধন করেন উপমন্ত্রী।

বাংলাদেশ সময়: ১৬০০ ঘণ্টা, এপ্রিল ২২, ২০২২
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।