নওগাঁ: নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলায় শাপলা বানু নামে অন্তঃসত্ত্বা এক নারীকে শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে। এতে ওই নারীর গর্ভের পাঁচ মাসের সন্তান নষ্ট হয়ে গেছে।
শাপলা বানুর অভিযোগ, ২০২০ সালে উপজেলার কুমরইল গ্রামের বায়েজীদ চৌধুরীকে ভালোবেসে বিয়ে করেন তিনি। কিন্তু বায়েজীদের পরিবার মেনে না নেওয়ায় বাবার বাড়ি সদর উপজেলার কুরমইল গ্রামেই ছিলেন শাপলা। সম্প্রতি গর্ভে একটি সন্তানও এসেছিল তার। কিন্তু এরইমধ্যে বায়েজীদ স্ত্রীকে না জানিয়ে দ্বিতীয় বিয়ে করেন। এর প্রতিবাদ করতে গেলে বায়েজীদসহ পরিবারের লোকজন তাকে মারধর করেন। খবর পেয়ে শাপলার পরিবারের লোকজন উদ্ধার করে নওগাঁ সদর হাসপাতালে ভর্তি করান।
হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. জাহিদ নজরুল চৌধুরী জানান, শাপলার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতে চিহ্ন আছে। এখনও তার রক্তক্ষরণ হচ্ছে। আঘাতের কারণে গর্ভের সন্তান নষ্ট হয়ে গেছে। তবে, শারীরিক অবস্থা আগের চেয়ে ভালো।
শাপলা জানান, চিকিৎসাধীন থাকায় এ বিষয়ে থানায় এখনও অভিযোগ করতে পারেননি তিনি। তবে কিছুদিন আগে উপজেলার নওহাটা পুলিশ ফাঁড়িতে একটি লিখিত অভিযোগ করেছিলেন তিনি। যেখানে স্বামী নির্যাতনের কথা উল্লেখ করা হয়েছিল। অভিযোগটি তদন্ত করেছিলেন ফাঁড়ির দায়িত্বরত সাব ইন্সপেক্টর জিয়াউর রহমান।
তিনি জানান, তদন্ত শেষে দুই পরিবারের সমঝোতার চেষ্টা করেছিলেন তিনি। কিন্তু তা আর হয়নি।
এদিকে এ ঘটনার পর থেকেই ব্যক্তিগত মোবাইলফোন বন্ধ রেখেছেন অভিযুক্ত বায়েজীদ চৌধুরী। এ বিষয়ে কথা হয় তার দুলাভাই হামিদুর রহমানের সঙ্গে।
তিনি বলেন, এসব বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪২ ঘণ্টা, এপ্রিল ১২, ২০২২
এএটি