ঢাকা, শনিবার, ২৮ বৈশাখ ১৪৩১, ১১ মে ২০২৪, ০২ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

১১ ইউপি মেম্বারকে মারধরের অভিযোগ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৩২ ঘণ্টা, এপ্রিল ৯, ২০২২
১১ ইউপি মেম্বারকে মারধরের অভিযোগ

পিরোজপুর: ১১ ইউপি মেম্বারকে মারধরের অভিযোগ করে পিরোজপুরে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগী মেম্বাররা।

শনিবার (০৯ এপ্রিল) দুপুরে পিরোজপুর প্রেসক্লাবে জেলার নাজিরপুর উপজেলার মালিখালী ইউনিয়নের ৩ জন নারী ও ৮ জন পুরুষ সদস্য উপস্থিত হয়ে ওই সংবাদ সম্মেলন করেন।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ওই ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার মনোজ কান্তি মণ্ডল। তিনি অভিযোগ করে বলেন, ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রুহুল আমীন বাবুল দাঁড়িয়ার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ এনে গত ১৬ মার্চ ওই ইউনিয়ন পরিষদের ১১ জন ইউপি সদস্য জেলা প্রশাসক ও নাজিরপুর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে চেয়ারম্যানের নামে অনাস্থাপত্র দাখিল করেন।  

এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ০৭ এপ্রিল নাজিরপুর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ আব্দুল্লাহ সাদিদ ওই ১১ জন ইউপি সদস্যকে তার কার্যালয়ে ডেকে পাঠান। এজন্য ওই দিন সকাল ১০টায় ওই সব ইউপি সদস্য মালিখালী থেকে উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে আসার পথে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নাজিরপুর হাসপাতাল সম্মুখে টেম্পু স্ট্যান্ডে এলে মালিখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রুহুল আমীন বাবুল দাঁড়িয়ার নেতৃত্বে ২৫-৩০ জনের একটি সন্ত্রাসীবাহিনী নিয়ে ওই ইউপি সদস্যের ওপর হামলা করে। হামলায় ইউপি সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা কদম আলী শেখ, ইউপি সদস্য মনোজ কান্তি মণ্ডল, মহিলা ইউপি সদস্য নাসরিন আক্তার গুরুতর আহতসহ অন্য ৮ জন ইউপি সদস্যরা কমবেশী আহত হন। সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়ে এ সময় মহিলা ইউপি সদস্যদের মারধর করে এবং শ্লীলতাহানীর চেষ্টা করে। আহত ইউপি সদস্যরা নাজিরপুর হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে গেলেও সন্ত্রাসীরা সেখানে গিয়েও তাদের ওপর হামলা চালায় এবং হাসপাতাল থেকে বের করে দেন। পরে গুরুতর আহত ইউপি সদস্যদের পিরোজপুর জেলা হাসপাতালে এনে চিকিৎসা করান। বর্তমানে পিরোজপুর জেলা হাসপাতালে হামলায় আহত ইউপি সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা কদম আলী শেখ ও ইউপি সদস্য মনোজ কান্তি মণ্ডল চিকিৎসাধীন আছেন। হামলার ঘটনায় নাজিরপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করলেও থানায় কোনো মামলা নেয়নি।

এ ব্যাপারে চেয়ারম্যান মো. রুহুল আমীন বাবলুর সঙ্গে মোবাইলে কথা হলে তিনি বলেন, হামলার ঘটনার দিন তিনি নাজিরপুরেই ছিলেন না। তার বিরুদ্ধে আনা সকল অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, তার প্রতিপক্ষের সহযোগীতায় ও ইন্দনে মেম্বাররা এমন অভিযোগ দিচ্ছেন।

নাজিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হুমায়ুন কবির বাংলানিউজকে জানান, একটি লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে। ওই সংবাদ সম্মেলনে ১ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বর ছাড়া ওই ইউনিয়নের সকল মেম্বার (পুরুষ) ও নারী সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, মালিখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রুহুল আমীন বাবুল দাঁড়িয়া গত ইউপি নির্বাচনে আওয়মী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হিসাবে আনারস প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।  তিনি গত ২০০৭ সালে চেয়ারম্যান থাকা কালে ত্রাণের মালামাল চুরির অভিযোগের মামলা হয়। ওই মামলায় পলাতক থাকা অবস্থায় ঢাকা থেকে র‌্যাবের হাতে আটক হন।

বাংলাদেশ সময়: ২০২৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৯, ২০২২
এনটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।