ঢাকা, সোমবার, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

ঈদের বেচাকেনা জমতে শুরু করেছে ফুটপাতে

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৩৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ৭, ২০২২
ঈদের বেচাকেনা জমতে শুরু করেছে ফুটপাতে ছবি: জি এম মুজিবুর

ঢাকা: করোনা কারণে দুই বছর কোনো ব্যবসা করতে না পারলেও এবারের ঈদের বেচাকেনা নিয়ে ভালো কিছু আশা করছেন রাজধানীর ফুটপাতের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা। ইতোমধ্যেই ফুটপাতগুলোতে ঈদের বেচাকেনা জমতে শুরু করেছে।

বিগত দিনের ক্ষতি কিছুটা হলেও কাটিয়ে উঠবে বলেও জানিয়েছেন তারা।

বৃহস্পতিবার (০৭ এপ্রিল) রাজধানীর মিরপুরের বেশ কয়েকটি ফুটপাতের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলাপকালে তারা বাংলানিউজকে এমনটি জানিয়েছেন।

এসব এলাকার ফুটপাত ঘুরে দেখা গেছে, সকাল থেকে ফুটপাতে ক্রেতাদের আনাগোনা কম থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভিড় বাড়তে থাকে। সন্ধ্যায় জমজমাট হয়ে উঠছে ফুটপাত। ফুটপাতগুলোতে দর্শনার্থীদের সংখ্যা কম যারা আসছেন কম বেশি কিনছেন।  

প্রথম রমজানের চেয়ে ক্রেতা বেড়েছে আর দুই চারদিন পর আরও বাড়বে বলে জানালেন মিরপুর বিআরটিএর উল্টো পাশে হোপ মার্কেটের সামনে ফুটপাতের জুতা ব্যবসায়ী মো. মানিক মিয়া।  

তিনি বলেন, ভিড় বাড়ছে, ১০ তারিখের পর সেটা আরও বেড়ে যাবে। অনেকে এখনও বেতন হয়নি। বেতন, বোনাসের পর ভিড় বাড়বে।

তিনি আরও বলেন, গত দুই বছর একেবারেই বেকার ছিলাম ঋণ করে চলেছি। উপর ওয়ালা চাইলে কিছুটা হলেও ঋণ মুক্ত হবো বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

বেচাকেনা মোটামুটি হচ্ছে, মানুষ আসছে, এই রকম আসতে থাকলে ঈদের দিন পর্যন্ত ভালোই মুনাফা হবে। পরিবার নিয়ে শান্তিতে ঈদের খুশি ভাগাভাগি করে নিতে পারবো বলে জানান মিরপুরের ১০ নম্বর সেকশনের ফুটপাতে তৈরি পোশাক বিক্রেতা পলাশ।  

তবে তিনি বলেন, আমাদের চাহিদা কম, যে টুকু বিক্রি হচ্ছে খারাপ না, এটা আরও বাড়বে। এবারের বেচাকেনা নিয়ে আমি আশাবাদী বলে তিনি উল্লেখ করেন।

এদিকে ফুটপাতের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, গত দুই বছর করোনার কারণে ঋণ করে সংসার চালিয়েছি। ঋণের বোঝা নিয়ে চলছি। আশা করছি এই ঈদে ব্যবসা করে কিছুটা হলেও ঋণ শুধরাতে পারবো। তাদের এই আশাটুকু যেন সফলতা লাভ করে এই কামনা সংশ্লিষ্টদের।

বাংলাদেশ সময়: ২০৩০ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৭, ২০২২
এসএমএকে/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।