ঢাকা, রবিবার, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৯ মে ২০২৪, ১০ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

বাংলাদেশিদের সঙ্গে সম্পর্ক গভীর হচ্ছে:  মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী

ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৩৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ৪, ২০২২
বাংলাদেশিদের সঙ্গে সম্পর্ক গভীর হচ্ছে:  মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি জে ব্লিঙ্কেন

ঢাকা: মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি জে ব্লিঙ্কেন এক ভিডিও বার্তায় বলেছেন, বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫ দশক উদযাপনে আপনাদের সঙ্গে যোগ দিতে পেরে আমি আনন্দিত। ১৯৭২ সালের ফেব্রুয়ারিতে সিনেটর টেড কেনেডি বাংলাদেশ সফর করেন।

তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন এবং আমাদের দু’দেশের জনগণের বন্ধন, স্বাধীনতার প্রতি আমাদের অনুরূপ সংগ্রাম এবং স্বাধীনতার প্রতি আমাদের ভালোবাসা ও 'স্বাধীনতার পথ অনুসরণ' করে আমাদের যাত্রার কথা তুলে ধরেন। এর কিছুদিন পরেই ৪ এপ্রিল প্রেসিডেন্ট রিচার্ড নিক্সন প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে চিঠি পাঠান এবং আশা করেন দুদেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের ফলে আগামী বছরগুলোতে আমাদের জনগণের বন্ধন ও সৌহার্দ্য বৃদ্ধি পাবে।

সোমবার ( ৪ এপ্রিল) বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর উপলক্ষে দেওয়া এক বার্তায় তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, ৫০ বছর পর আমাদের দুটি দেশ আমাদের জনগণের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। প্রায় প্রতিটি বিষয়ে সহযোগিতা করে বাংলাদেশি ও আমেরিকানদের মধ্যে সম্পর্ক প্রতিটি প্রজন্মের মধ্যে দিয়ে আরো বেশি গভীর হচ্ছে।

আমাদের দুটি দেশ জনস্বাস্থ্যের উন্নয়ন, স্থানীয় স্বাস্থ্য ব্যবস্থা শক্তিশালী করা, গত দুই দশকে বাংলাদেশের মাতৃমৃত্যু হার দুই তৃতীয়াংশে কমিয়ে আনা, কোভিড -১৯ প্রতিরোধে ৬ কোটি ১০ লাখ টিকা সহযোগিতা ইত্যাদি ক্ষেত্রে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।

২০২১ সালে যেকোনো দেশের তুলনায় যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশি পণ্য বেশি ক্রয় করেছে, যার মূল্যমান প্রায় ৮.৩ বিলিয়ন ডলার। আমাদের শক্তিশালী অংশীদারিত্বকে আরো গভীর করতে আমরা বাংলাদেশকে শ্রমিকদের অধিকার বিষয়ে অগ্রগতি সাধনে উৎসাহিত করি।

তিনি বলেন, আমরা একসঙ্গে জলবায়ু সঙ্কট মোকাবিলা করছি। সমুদ্র পৃষ্ঠের উচ্চতা এবং আরো মারাত্মক ঝড়ের কারণে ইতোমধ্যেই ক্ষতিগ্রস্ত জনপদের সহিষ্ণুতা জোরদার করছি। এছাড়া রোহিঙ্গা সঙ্কট শুরুর পর এই সঙ্কট সমাধানে আমরা কাজ করে আসছি।

বাংলাদেশি প্রকৌশলী ফজলুর রহমান খান, যিনি সিয়ার্স টাওয়ারের জন্য নকশা করেছিলেন। এটা বাংলাদেশি ও আমেরিকানদের যৌথ সৃষ্টির একটি অনন্য দৃষ্টান্ত।

তিনি বলেন, আগামী দশকগুলোতে আমাদের জনগণ একসঙ্গে আরো কী করতে পারে, সেটা দেখার প্রতীক্ষায় রইলাম।

বাংলাদেশ সময়: ১২৩৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৪, ২০২২ 
টিআর/এসআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।