ঢাকা, রবিবার, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

‘বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে আরও আগেই মাথা তুলে দাঁড়াতাম’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০০১ ঘণ্টা, মার্চ ১৭, ২০২২
‘বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে আরও আগেই মাথা তুলে দাঁড়াতাম’

রাজশাহী: রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার জি এস এম জাফরউল্লাহ বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বেঁচে থাকলে আমরা আরও আগেই উন্নত দেশ হিসেবে বিশ্বের দরবারে মাথা তুলে দাঁড়াতে পারতাম। বঙ্গবন্ধু একজন বিশ্ববরেণ্য রাজনীতিবিদ ছিলেন।

মানুষকে কীভাবে জাগ্রত করা যায়, দেশকে কীভাবে স্বাধীন করা যায়, একটি দেশকে কীভাবে সুখী ও সমৃদ্ধ দেশে পরিণত করা যায় সে পরিকল্পনা তার ছিল।

বৃহস্পতিবার (১৭ মার্চ) দুপুরে জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০২তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে অনুষ্ঠিত ‘বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনের অঙ্গীকার, সব শিশুর সমান অধিকার’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

বিভাগীয় কমিশনার বলেন, বাঙালি জাতির দুর্ভাগ্য যে আমরা বঙ্গবন্ধুকে দেশ গড়ার মতো সময় দেইনি। যিনি স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন তাকেই আমরা বাঁচতে দেয়নি। একটি যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশের সমৃদ্ধ হওয়ার জন্য কমপক্ষে ১৫ থেকে ২০ বছর সময় লাগে কিন্তু বঙ্গবন্ধু পেয়েছিলেন মাত্র চার বছর। অথচ আন্তর্জাতিকমানের একজন রাজনীতিবিদ হিসেবে নেতৃত্বের সব গুণাবলিই তার ছিল।

জাফরউল্লাহ বলেন, বঙ্গবন্ধুর ইতিহাস সারাবিশ্ব জানে। দেশের জন্য বঙ্গবন্ধু তার জীবনের ৩৩ বছর কাটিয়েছেন। তিনি ৭ মার্চের ভাষণের মাধ্যমে একটি জাতিকে জাগিয়ে তুলেছিলেন। তার ছিল জাতিকে জাগিয়ে তোলার অসাধারণ ক্ষমতা। তিনি সেদিন সাড়ে সাত কোটি মানুষকে অধিকার আদায়ের সংগ্রামে উজ্জ্বীবিত করতে পেরেছিলেন। আমরা যখন ঝিমিয়ে পড়ি তখন তার বক্তব্য শুনে অনুপ্রাণিত হই।

বিভাগীয় কমিশনার বলেন, জাতির পিতা বলেছিলেন সাড়ে সাত কোটি বাঙালিকে দাবায়ে রাখতে পারবা না। আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এগিয়ে যাচ্ছে দেশ। আমরা সবাই বঙ্গবন্ধুর আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে তারই সুযোগ্য কন্যার নেতৃত্বে দেশ গড়ার কাজে লেগে পড়েছি। একটু দেরিতে হলেও বঙ্গবন্ধু যে সোনার বাংলার স্বপ্ন দেখেছিলেন আমরা তা বিনির্মাণ করবো। ২০৪১ সালের মধ্যে আমরা উন্নত দেশে পরিণত হবো।

সভায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু চেয়ার অধ্যাপক সনৎ কুমার সাহা প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্যে রাখেন।

তিনি বলেন, কোনো শিশু যেকোনো জায়গায় জন্মগ্রহণের পর প্রকৃতিগতভাবে কিছু অধিকার পেয়ে থাকে কিন্তু এতেই তার সঠিক বিকাশ হয় না। প্রত্যেক শিশুর বিকাশের জন্য প্রয়োজন উন্মূক্ত পরিবেশ। সামাজিক ও রাষ্ট্রীয়ভাবে শিশুদের প্রতি আমাদের অপরিসীম দায়িত্ব রয়েছে। একটি জাতির ভবিষ্যৎ যেহেতু শিশুদের ওপর নির্ভর করে তাই তাদের সঠিকভাবে গড়ে তোলার বিকল্প কিছু নেই। সে কারণে প্রতিবছর বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনটি জাতীয় শিশু দিবস হিসেবে পালন করে কোমলমতি শিশুদের বঙ্গবন্ধুর আদর্শে গড়ে ওঠার উৎসাহ দেওয়া হয়।

তিনি বলেন, একটি শিশুর সঠিকভাবে বেড়ে ওঠার জন্য পরিমিত খাবার ও প্রয়োজনীয় শিক্ষা পাচ্ছে কিনা, তার সঠিক মানসিক বিকাশের জন্য আমরা পরিবেশ সৃষ্টি করতে পারছি কিনা তা আমাদের নিশ্চিত করতে হবে। তাহলেই শিশুদের অধিকার আদায় হবে, জাতির ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল হবে।

রাজশাহী জেলা প্রশাসক আব্দুল জলিলের সভাপতিত্বে সভায় রাজশাহী রেঞ্জ পুলিশের ডিআইজি মো. আব্দুল বাতেন, আরএমপির কমিশনার আবু কালাম সিদ্দিক, পুলিশ সুপার এ বি এম মাসুদ হোসেন, মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি শাহিন আক্তার রেনী, বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. আব্দুল মান্নান বক্তব্য রাখেন।

সভার শুরুতে শিশুদের সঙ্গে অতিথিদের নিয়ে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনের কেক কাটেন বিভাগীয় কমিশনার। সভা শেষে বঙ্গবন্ধুর জীবনীভিত্তিক রচনা প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণী ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়। এর আগে সকালে মহানগরের বঙ্গবন্ধু চত্বরে জাতির পিতার ম্যুরালে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানানো হয়।

বাংলাদেশ সময়: ২০০০ ঘণ্টা, মার্চ ১৭, ২০২২
এসএস/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।