ঢাকা, সোমবার, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

দুর্যোগ সম্পর্কিত সমস্ত নীতি জেন্ডার সংবেদনশীল করতে হবে: ইন্দিরা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২২২ ঘণ্টা, মার্চ ১৬, ২০২২
দুর্যোগ সম্পর্কিত সমস্ত নীতি জেন্ডার সংবেদনশীল করতে হবে: ইন্দিরা

ঢাকা: জলবায়ু পরিবর্তন, পরিবেশ এবং দুর্যোগ সম্পর্কিত সমস্ত নীতি জেন্ডার সংবেদনশীল হওয়া প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা। তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন এবং দুর্যোগের কারণে নারী ও মেয়েরা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

তবে নারীরা অভিযোজন এবং জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতি প্রশমনেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

এজন্য আমাদের অবশ্যই নারী ও মেয়েদের বিশেষ সুরক্ষা চাহিদার প্রতি মনোযোগ দিতে হবে এবং জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় সিদ্ধান্ত গ্রহণে তাদের সমান অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে।

মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা (১৫ মার্চ) রাতে নিউইয়র্কে ৬৬তম কমিশন অন দ্য স্টাটাস অব উইমেনের মিনিস্ট্রিয়াল রাউন্ডের সভায় ভিডিও বার্তায় তিনি এসব কথা বলেন। নিউইয়র্কের জাতিসংঘ ভবনে ‘জলবায়ু পরিবর্তন, পরিবেশগত এবং দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস নীতি এবং কর্মসূচি: স্থানীয় থেকে বিশ্ব পর্যন্ত সামগ্রিক এবং সমন্বিত কাজের মাধ্যমে লিঙ্গ সমতাকে অগ্রসর করা’ শীর্ষক তৃতীয় মিনিস্ট্রিয়াল রাউন্ড টেবিলে সভাপতিত্ব করেন দক্ষিণ কোরিয়ার জেন্ডার ইক্যুয়ালিটি ও পরিবার বিষয়ক মন্ত্রী ইয়াং অ্যাই চুং।  
 
প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা বলেন, বৈশ্বিক জলবায়ু ঝুঁকি সূচক ২০২১ অনুসারে, বাংলাদেশ ৭তম সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ দেশ, যদিও বৈশ্বিক কার্বন নির্গমনে বাংলাদেশের অবদান ০.৪৭ শতাংশ এর কম। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সালে সংবিধানে পরিবেশ সুরক্ষা এবং লিঙ্গ সমতাকে অগ্রাধিকার দিয়েছিলেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে জলবায়ু সংক্রান্ত পদক্ষেপসহ বাংলাদেশ নারীর ক্ষমতায়নে উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জন করেছে।

তিনি বলেন, সরকার জলবায়ু পরিবর্তন এবং জেন্ডার অ্যাকশন প্ল্যান গ্রহণ বাস্তবায়ন করছে। জাতীয় নারী উন্নয়ন নীতি ২০১১ এর আলোকে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় কাজ কার্যক্রম বাস্তবায়িত হচ্ছে। ডেল্টা প্ল্যান ২১০০, মুজিব জলবায়ু সমৃদ্ধি পরিকল্পনা এবং দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস পরিকল্পনাসহ অন্যান্য পরিকল্পনা নারীদের সমান অংশগ্রহণ নিশ্চিত করছে। বর্তমানে ৩৮ হাজার নারী সাইক্লোন প্রিপারেডনেস প্রোগ্রামের (সিপিপি) অধীনে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করছেন।

৬৬তম কমিশন অন দ্য স্টাটাস অব উইমেনের তৃতীয় মিনিস্ট্রিয়াল রাঊন্ডের সভায় গায়ানা, কেনিয়া, ফ্রান্স, ইন্দোনেশিয়া, তাঞ্জেনিয়া, তিউনিসিয়া,সুদান, স্পেন ফিলিপাইন্স, সৌদি আরব, মালদ্বীপসহ বিশ্বের তেইশটি দেশের মহিলা বিষয়ক মন্ত্রণালয়, জলবায়ু পরিবর্তন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয় এবং প্রতিনিধি বক্তৃতা ও সুপারিশ তুলে ধরেন।  

বাংলাদেশ সময়: ১২২০ ঘণ্টা, মার্চ ১৬, ২০২২
জিসিজি/এসআইএস
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।