ঢাকা, মঙ্গলবার, ৩১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ মে ২০২৪, ০৫ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

মেঘনায় অবৈধ ড্রেজিংয়ে বালু উত্তোলন, বাড়ছে ভাঙন

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৪৯ ঘণ্টা, মার্চ ১৫, ২০২২
মেঘনায় অবৈধ ড্রেজিংয়ে বালু উত্তোলন, বাড়ছে ভাঙন

চাঁদপুর: চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনা নদী এবং নদী উপকূলীয় এলাকায় ড্রেজার দিয়ে অপরিকল্পিতভাবে বালু উত্তোলন করার কারণে ভাঙনের শিকার হচ্ছে চরাঞ্চলের হাজারো পরিবার। একইসঙ্গে বর্তমানে হুমকিতে রয়েছে শহর রক্ষা বাঁধসহ আশপাশের এলাকা।

 

হাজার হাজার একর ফসলি জমি ও বসতভিটা বাঁচাতে সরকারের কাছে অবৈধ ড্রেজার বন্ধের দাবি ছিন্নমূল পরিবারগুলোর। পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে খুব দ্রুতই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।  

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জেলার মতলব উত্তর, মতলব দক্ষিণ, সদর ও হাইমচর উপজেলার পদ্মা-মেঘনা নদীর প্রায় ৭০ কিলোমিটার নৌ সীমানা। মেঘনার পশ্চিমে প্রায় ৪০টিরও বেশি চর। এসব চরের লোকজন বহুবার পদ্মা-মেঘনার ভাঙনের শিকার। চাঁদপুর শহর রক্ষায় রয়েছে বাঁধ। এছাড়াও মেঘনার ভাঙনের শিকার চাঁদপুর ও হাইমচরে বাঁধ নির্মাণ করেছে বর্তমান সরকার। কিন্তু মেঘনা নদীর ডুবোচর খননের নামে এক শ্রেণীর অসাধু ড্রেজার ব্যবসায়ী গত কয়েক বছর অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে চরাঞ্চল ও শহর রক্ষা বাঁধকে ভাঙন হুমকিতে রেখেছে। সরকারি কোনো নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে নিজেদের পকেট ভারী করার জন্য তারা ইচ্ছেমত নদীতে অপরিকল্পিতভাবে বালু উত্তোলন করছে।

সম্প্রতি মেঘনার পশ্চিম পাড়ের চরাঞ্চলের ছিন্নমূল পরিবারগুলো ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন বন্ধ করার জন্য মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে।

সদর উপজেলার রাজরাজেশ্বর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হজরত আলী বেপারী বাংলানিউজকে বলেন, অবৈধভাবে ড্রেজিং করার কারণে মারাত্মক ভাঙন হুমকিতে রাজরাজেশ্বর ইউনিয়নসহ আশপাশের চরাঞ্চলের বাসিন্দারা। এসব এলাকায় মেঘনার ভাঙন অব্যাহত। ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন করায় ফসলি জমিগুলো নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। ছিন্নমূল হয়ে পড়ছে চরাঞ্চলের হাজার হাজার পরিবার।

ওই ইউনিয়নের বাসিন্দা সেকান্দর মিয়া ও মিজানুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, আমরা বহুবার পদ্মা-মেঘনার ভাঙনের শিকার হয়েছি। নতুন করে বাড়ি করার টাকাও নেই আর জায়গাও নেই। এখন ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলনের কারণে ভাঙনের তীব্রতা বেড়েছে। ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন বন্ধ করা দরকার। আমাদের বেঁচে থাকার মতো কোনো উপায় দেখছি না।

চাঁদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী নাকিব হাসান বাংলানিউজকে বলেন, মেঘনা নদীতে ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন অব্যাহত রয়েছে। বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে ড্রেজিং না করলে পাড়ে ভাঙনের সৃষ্টি হয়। বর্তমানে চাঁদপুর শহর রক্ষা বাঁধও ভাঙন হুমকিতে। এ বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ড জেলা প্রশাসনেরে কাছে প্রতিবেদন দিয়েছে। নদী রক্ষা কমিটির সভায় আলোচনা করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৮ ঘণ্টা, মার্চ ১৫, ২০২২
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।