ঢাকা, শুক্রবার, ১০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ২৪ মে ২০২৪, ১৫ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

গ্রামীণ প্রকল্পে বিনিয়োগে আগ্রহী বিশ্বব্যাংক: তাজুল

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৪৯ ঘণ্টা, মার্চ ১৫, ২০২২
গ্রামীণ প্রকল্পে বিনিয়োগে আগ্রহী বিশ্বব্যাংক: তাজুল

ঢাকা: বিশ্বব্যাংক গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়নে সরকারের নেওয়া বেশ কয়েকটি প্রকল্পে ৫ থেকে ৮ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।

মঙ্গলবার (১৫ মার্চ) দুপুরে সচিবালয়ে বিশ্বব্যাংকের দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক গুয়ান জি চেনের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলের সঙ্গে এক বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।

তিনি বলেন, ‘আমার গ্রাম আমার শহর’ প্রকল্পে যেসব যোগাযোগ ব্যবস্থার প্রয়োজন আছে, ব্রিজ-কালভার্ট করার প্রয়োজন আছে সেগুলোতে তারা সহযোগিতা করতে রাজি আছে। আমাদের বেশ কিছু চলমান প্রকল্প আছে। আমাদের নতুন আরও কিছু প্রকল্প নিতে হবে। তারা আমাদের এখানে ৫ থেকে ৮ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করতে রাজি আছে। এটা বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগ করা হবে।

তাজুল ইসলাম বলেন, কোস্টাল এলাকায় সাইক্লোন হয়, সেসব এলাকার দুর্গত মানুষদের পুনর্বাসনের জন্য বিভিন্ন ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন, সেগুলোতে তারা অর্থায়নে রাজি। আমাদের গ্রামীণ অবকাঠামোর উন্নতি, ব্রিজ, রাস্তাগুলোকে আরও টেকসইভাবে নির্মাণ করার জন্য নতুন বেশ কয়েকটি প্রকল্প নেওয়া হচ্ছে। এসব প্রকল্পে বিশ্বব্যাংক অর্থায়ন করতে আগ্রহী হয়েছে। গ্রামের সব জায়গায় স্যানিটেশন ও পানি পৌঁছে দেওয়ার বিষয়ে আমি বলেছি। আমার গ্রাম আমার শহর, এটা একটি সমন্বিত দর্শন। যেহতু বিদ্যুৎ, স্বাস্থ্য, শিক্ষাসহ অন্যান্য মার্কেট তৈরি করার মতো অনেক প্রকল্প আমাদের দরকার। এর মাধ্যমে শহরের সুযোগ সুবিধাগুলো গ্রামে পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হবে।

তবে সরকার কোন সংস্থার কাছ থেকে ঋণ নেবে, তা এখনো ঠিক হয়নি জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, আমাদের এখানে বেশ কিছু প্রকল্পে তাদের আগের কমিটমেন্ট আছে, তারা টাকা দিচ্ছে। এছাড়াও আমরা আরও কয়েকটি প্রকল্প নিতে চাই। এসব প্রকল্পে তারা চার হাজার-পাঁচ হাজার কোটি টাকা করে অর্থায়ন করতে চায়। আমরা যত টাকা চাই এবং সে অনুযায়ী যদি প্রকল্প বের করি তাহলে তারা অর্থায়ন করতে রাজি আছে। আমরা যাচাই-বাছাই করছি, এডিবি-বিশ্বব্যাংক নাকি জাইকার কাছ থেকে নেবো।

তাজুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে আন্তর্জাতিক অন্যান্য ব্যাংকের সাথে বিশ্বব্যাংকও আমাদের অর্থায়ন করে থাকে। আমরা যেসব প্রকল্পের জন্য অর্থ বিশ্বব্যাংকসহ অন্যান্য ব্যাংক থেকে টাকা নিই, সেটা কাজে লাগিয়ে আমাদের দেশে যে আয় হয়, সে অনুযায়ী জাতীয় অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নয়নের পেক্ষিতে আমরা আবার তাদের সেই ঋণ পরিশোধ করি। আমরা এ পর্যন্ত কখনো ঋণ খেলাপি হইনি। এতে করে বিশ্বব্যাংকসহ অন্যান্য অর্থলগ্নিকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর বাংলাদেশের ব্যাপারে আগ্রহ বেশি রয়েছে। বিশ্বব্যাংকও আমাদের টাকা দিতে চায়।

স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, এক সময় পদ্মা সেতুতে টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করার প্রেক্ষিতে আমরা যেহতু নিজস্ব সামর্থ্যে করতে পেরেছি। তাদের ১.২ বিলিয়ন ডলার ছিল, আমরা সেটায় ৪ বিলিয়ন ডলারের বেশি বিনিয়োগ করে ব্রিজসহ কানেক্টিং রাস্তাও করেছি। পাশাপাশি আউটার জেলাগুলোকেও কানেক্টিভিটির আওতায় আনা হয়েছে। এ কারণে স্বাভাবিকভাবে বিশ্বব্যাংকসহ সবার কাছে আমাদের গ্রহণযোগ্যতা বেড়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৬ ঘণ্টা, মার্চ ১৫, ২০২২
জিসিজি/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।