ঢাকা, শনিবার, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

ব্যবসায়ীকে পিটিয়ে-খুঁচিয়ে হত্যা করেন সাবেক কর্মচারী

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০০৩ ঘণ্টা, মার্চ ৬, ২০২২
ব্যবসায়ীকে পিটিয়ে-খুঁচিয়ে হত্যা করেন সাবেক কর্মচারী

টাঙ্গাইল: টাঙ্গাইলে সামছুল হক নামে এক কাঠ ব্যবসায়ীকে পিটিয়ে ও খুঁচিয়ে হত্যা করে মরদেহ পুকুরে ফেলে দেন তার সাবেক কর্মচারী ইয়াসিন মিয়া।  

রোববার (মার্চ ৬) বিকেলে ইয়াসিন মিয়া (১৯) টাঙ্গাইল জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে জবানবন্দি দেন।

সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শামছুল আলম তার জবানবন্দি লিপিবদ্ধ করেন। পরে তাকে জেলহাজতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। এর আগে শনিবার সন্ধ্যায় ইয়াসিন মিয়াকে পুলিশ পৌরসভার সন্তোষ বাগবাড়ী এলাকা থেকে গ্রেফতার করে।  

টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার দুপুরে তার সভা কক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে জানান, গত ২৪ জানুয়ারি পৌরসভার সন্তোষ বাগবাড়ী এলাকার যক্ষা হাসপাতালের সামনের পুকুর থেকে কাঠ ব্যবসায়ী সামছুল হকের (৫৫) মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় নিহত সামছুলের ভাই শামীম আল মামুন বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় কাউকে আসামি করা না হলেও কয়েকজনকে সন্দেহের কথা জানানো হয়।

তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কাগমারী পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) মো. মাসুদুর রহমান এবং জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (দক্ষিন) উপপরিদর্শক (এসআই) প্রকাশ চন্দ্র সরকার আসামি মো. ইয়াসিন মিয়াকে শনাক্ত করেন। ইয়াসিন সদর উপজেলার গদুরগাতি গ্রামের বুদ্দু মিয়ার ছেলে। পুলিশ সুপার জানান, গ্রেফতারের পর ইয়াসিন মিয়ার কাছ থেকে নিহত সামছুল হকের মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। তিনি হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন এবং আদালতে জবানবন্দি দিতে সম্মত হন।

গোয়েন্দা পুলিশের উপপরিদর্শক প্রকাশ চন্দ্র সরকার জানান, আদালতে দেওয়া জবানবন্দিতে ইয়াসিন মিয়া জানিয়েছেন, প্রায় ছয় মাস আগে তিনি সামছুল হকের দোকানে কাজ করতেন। সে সময় তাকে সামছুল হক অকারণে গালিগালাজ করতেন এবং বিভিন্ন অপবাদ দিতেন। একবার তার একটি কুড়াল হারিয়ে যায়। কুড়ালটি ইয়াসিন মিয়া চুরি করেছেন বলে তার বাবার কাছে সামছুল হক নালিশ দেন। বাবা ইয়াসিনকে এ জন্য মারধর করেন। এতে সামছুল হকের প্রতি ইয়াসিনের ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।

ঘটনার দিন (২৪ জানুয়ারি) রাতে সামছুল হক মোবাইল ফোনে কথা বলতে বলতে বাড়িতে ফিরছিলেন। তাকে রাস্তায় একা পেয়ে ইয়াসিন একটি লাঠি দিয়ে মাথায় আঘাত করেন। এতে সামছুল হক মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। পরে তাকে লাঠি দিয়ে বেধড়ক পিটিয়ে ও খুঁচিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করেন এবং মরদেহ পুকুরে ফেলে দেন। এসময় তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি ইয়াসিন নিয়ে যান।

উপপরিদর্শক প্রকাশ চন্দ্র সরকার আরও জানান, সামছুল হকের মোবাইল ফোন সেটটি মাঝে একদিন ইয়াসিন তার নিজের সিমকার্ড ঢুকিয়ে একটি নম্বরে কথা বলেন। আর সেই সূত্র ধরেই তাকে চিহ্নিত করা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৫ ঘণ্টা, মার্চ ০৬, ২০২২
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।