ঢাকা, রবিবার, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

কুয়েটে ৫১ বীর মুক্তিযোদ্ধাকে সংবর্ধনা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৪০ ঘণ্টা, মার্চ ৬, ২০২২
কুয়েটে ৫১ বীর মুক্তিযোদ্ধাকে সংবর্ধনা

খুলনা: বাংলাদেশের সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা দিয়েছে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট)।

খুলনা মহানগর ও জেলার ৫১ জন বীর মুক্তিযোদ্ধাকে কুয়েট অডিটোরিয়ামে রোববার (০৬ মার্চ) দুপুরে এ সংবর্ধনা দেওয়া হয়।

অনুষ্ঠানে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথি ছিলেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।

এ সময় মন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশে উন্নয়নের যে জোয়ার সৃষ্টি হয়েছে, তা ধরে রাখতে হলে নতুন প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বড় করতে হবে। নতুন প্রজন্ম যেন স্বাধীনতার সঠিক ইতিহাস জানতে পারে সেজন্য বীর মুক্তিযোদ্ধাদের কণ্ঠে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিকথা রেকর্ড করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। একসময় মুক্তিযোদ্ধারা থাকবেন না, কিন্তু তাদের কণ্ঠের এই রেকর্ড যুগ যুগ ধরে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে ছড়িয়ে পড়বে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ উন্নয়নের রোলমডেলে পরিণত হয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর হত্যার পর ২৯ বছর দেশটা পেছন দিকে হেঁটেছে। গত এক দশকে যে উন্নয়ন হয়েছে, আগের ৩০ বছরেও তা হয়নি। দেশ এখন মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হয়েছে। ২০৪১ সালে উন্নত দেশে উন্নীত হবে।

মুক্তিযোদ্ধাদের উন্নয়নে সরকার সব ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছে উল্লেখ করে মোজাম্মেল হক বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা-বোনাস বাড়ানো হয়েছে। জেলা-উপজেলা পর্যায়ে মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স করা হয়েছে। জাতীয় পরিচয়পত্রে ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা’ লেখার ব্যবস্থা করা হয়েছে। যুদ্ধের স্থান, বধ্যভূমি ইত্যাদি সংরক্ষণ ও স্মৃতিসৌধ স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ‘জয় বাংলা’কে জাতীয় স্লোগান হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

সম্মাননা অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান ও খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক। খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. কাজী সাজ্জাদ হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত জানান বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা উদযাপন কমিটির সভাপতি প্রফেসর ড. বাসুদেব চন্দ্র ঘোষ।

এ সময় বীর মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্য থেকে বক্তৃতা রাখেন কুয়েটের প্রাক্তন ছাত্র বীর প্রতীক গোলাম আজাদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা এম কামাল উদ্দিন আহমেদ, খানজাহান আলী থানা কমান্ডের কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা স. ম. রেজওয়ান আলী, খুলনা জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের ডেপুটি কমান্ডার যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা খান মোহাম্মদ আলী, খুলনা জেলা ইউনিট কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা সরদার মো. মাহবুবার রহমান, খুলনা মহানগর ইউনিট কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক মো. আলমগীর কবির।

অনুষ্ঠানে কুয়েট পরিবারের মুক্তিযোদ্ধা, খুলনা মহানগরে বসবাসরত যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা, খুলনা জেলা ইউনিট কমান্ড, খুলনা মহানগর ইউনিট কমান্ড, খুলনা মহানগরের বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা, খুলনা সদর থানা কমান্ড, রূপসা উপজেলা কমান্ড, ডুমুরিয়া উপজেলা কমান্ড, খালিশপুর থানা কমান্ড, সোনাডাঙ্গা থানা কমান্ড, দিঘলিয়া থানা কমান্ড, দৌলতপুর থানা কমান্ডের বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা দেওয়া হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৮ ঘণ্টা, মার্চ ০৬, ২০২২
এমআরএম/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।