ঢাকা, রবিবার, ২১ বৈশাখ ১৪৩১, ০৫ মে ২০২৪, ২৫ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

যাচাইকৃত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নাম গেজেটভুক্ত করার দাবি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০২৮ ঘণ্টা, মার্চ ১, ২০২২
যাচাইকৃত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নাম গেজেটভুক্ত করার দাবি

ঢাকা: ২০১৭ সালে যাচাইকৃত তালিকা অনুযায়ী বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নাম গেজেটভুক্ত করাসহ ভাতাদি দেওয়া ও বাছাই থেকে বাদ পড়া ব্যক্তিদের আপিল দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট বীর মুক্তিযোদ্ধারা।

এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রী বরাবর একটি স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে বলেও জানান তারা।

 

বুধবার (১ মার্চ) সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের পক্ষে এ দাবির বিষয়টি জানান কুষ্টিয়ার মিরপুর এবং দৌলতপুর উপজেলার নতুন যাচাইকৃত বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং বাদপড়া ব্যক্তিদের পক্ষে ইয়াকুব মাস্টার ও আবুল হোসেন।

তারা জানান, ‘মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রী আ ক ম মােজাম্মেল হক ২০১৫ সালের ১৫ জানুয়ারি প্রকৃত বীর মুক্তিযোদ্ধা তালিকা প্রণয়নের লক্ষ্যে উপজেলা/মহানগর যাছাই-বাছাই কমিটির জন্য নির্দেশিকা ও কর্মপরিকল্পনাসহ বীর মুক্তিযােদ্ধার সংজ্ঞা দেন। সেই মােতাবেক ২০১৭ সালে বীর মুক্তিযােদ্ধা যাচাই-বাছাই করে বাছাই কমিটির সদস্যদের সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত মোতাবেক প্রতি উপজেলা থেকে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা প্রকাশ করা হয়। কিন্তু অতি দুঃখ ও পরিতাপের বিষয়, ঘােষিত ওই তালিকা অনুযায়ী বাছাইকৃত বীর মুক্তিযােদ্ধাদের নাম গেজেট আকারে প্রকাশ করে ও তাদের ভাতাদি দেওয়ার বিষয়ে কার্যকর কোনো ব্যবস্থা এখনও গ্রহণ করা হয়নি। ’

স্মারকলিপিতে তারা বলেন, ‘বেশিরভাগ বীর মুক্তিযোদ্ধা এখন বয়ােবৃদ্ধ ও অসুস্থ। তাদের মধ্যে অনেকেই মৃত্যুবরণ করেছেন। বাছাইকৃত বীর মুক্তিযোদ্ধারা চাতকপাখির মতো ভাতাদি প্রাপ্তির জন্য অপেক্ষায় থেকে অসহায় অবস্থায় মৃত্যুবরণ করছেন। এখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মমতাময়ী মায়ের মতো ২০১৭ সালে বাছাইকৃত তালিকা অনুযায়ী বীর মুক্তিযােদ্ধাদের নাম ‘গেজেটকরণ’ এবং তাদের জন্য ভাতাদি দেওয়ার ব্যবস্থা জরুরি ভিত্তিতে করবেন, এটাই আমাদের প্রত্যাশা। ’

এছাড়া ২০১৭ সালে প্রকৃত বীর মুক্তিযােদ্ধা বাছাই পর্ব থেকে যেসব ব্যক্তি বাদ পড়েছিলেন, তাদের আপিল করার সুযােগ দেওয়া হয়েছিল এবং তারা যথাযথভাবে আপিল আবেদন করেছিলেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত তাদের আপিল নিষ্পত্তি হয়নি বলেও জানান ইয়াকুব মাস্টার এবং আবুল হোসেন। এক্ষেত্রে এ আপিলের দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য জরুরি ভিত্তিতে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিও জানান তারা। এসব বিষয়ে গত জানুয়ারিতে প্রধানমন্ত্রী বরাবর একটি স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে বলেও জানান ইয়াকুব মাস্টার ও আবুল হোসেন।

বাংলাদেশ সময়: ২০২৭ ঘণ্টা, মার্চ ০১, ২০২২
এইচএমএস/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।