ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ২০ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

খুলনায় অবৈধ দখলে সরকারি রাস্তা, ভোগান্তিতে ২৯২ পরিবার

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫০৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২২, ২০২২
খুলনায় অবৈধ দখলে সরকারি রাস্তা, ভোগান্তিতে ২৯২ পরিবার

খুলনা: খুলনার ডুমুরিয়ায় সরকারি মৌজা ম্যাপের রাস্তা অবৈধভাবে দখল করে রাখায় ভোগান্তিতে পড়েছে ২৯২টি পরিবার। মঙ্গলবার (২২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে খুলনা প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন এসব পরিবার ও আসানখালী উন্নয়ন কমিটির পক্ষে উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা মোস্তাফিজুর রহমান।

এ সময় লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, রাস্তা অবৈধভাবে দখল রাখায় ডুমুরিয়ার চক-আসানখালী মৌজার ২৯২টি পরিবার চরম ভোগান্তিতে রয়েছি। আমাদের চলাচলের রাস্তা সরকারি মৌজা ম্যাপে রাস্তা হিসেবে আর এস ১৩২৮ দাগে রেকর্ড ও আলাদা দাগ কেটে রাখা আছে। যা আমরা রাস্তা হিসেবে ব্যবহার করতে চাইলে ইলিয়াস লস্কর ও তার স্ত্রী পারভেজ আক্তার, মেহেরুন্নেছা ও মিজানুর রহমান বাধা ও নানা হুমকি-ধামকি দেন। এ মৌজা ম্যাপ অনুযায়ী রাস্তা হলে আপত্তিকারীদের জমির পরিমাণ দলিল অনুযায়ী ঠিক থাকে। যেহেতু রাস্তা করা হলে জমির দলিল অনুযায়ী পরিমাণ ঠিক থাকে, তাই রাস্তা বাদে গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সামনে সীমানা নির্ধারণ পূর্বক পিলার বসানো হয়েছে। যার মধ্যে দলিলে পাওনা জমিটুকু বর্তমানে আছে। তবুও মিজানুর রহমান চলাচলে বাধা ও নানা ধরনের হুমকি দিচ্ছেন৷

তিনি আরও বলেন, সরেজমিনে সরকারি সার্ভেয়ার কর্তৃক মৌজা ম্যাপ মেপে স্কেস করে দিয়েছে। গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সামনে মেপে স্বাক্ষর করা হয়। কিন্তু জমির মালিকদের  মাপার সময় বার বার ডাকা সত্ত্বেও তারা হাজির হয়নি। পরবর্তীতিতে বিষয়টি নিয়ে তাদের সঙ্গে দেখা করলে তারা বলেন রাস্তার জায়গা ছাড়বেন না।

মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ক্ষমতার দাপটে প্রভাবশালীরা রাস্তাটি দখল করে রাখায় ২৯২টি পরিবারের এক হাজারেরও বেশি সদস্য সম্পূর্ণ রাস্তা ঠিক হওয়া সত্ত্বেও সংযোগ রাস্তার সমস্যার কারণে মেইন রোডে উঠতে পারছি না। এই ২৯২টি পরিবারের মধ্যে ৫ জন বীর মুক্তিযোদ্ধাসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ রয়েছেন। যাতায়াতের একমাত্র ভরসা এই রাস্তাটি দখল করে রাখায় অনেকে জমিতে বাড়ি ঘর করতে পারছেন না।

তিনি বলেন, বিষয়টি নিয়ে আমরা বিভিন্ন দপ্তরে আবেদন করেছি যাতে দখলদারদের অযৌক্তিক ও বে-আইনি ক্ষমতা প্রয়োগ থেকে আমরা বাঁচতে পারি ও বন্দী অবস্থা থেকে মুক্ত হয়ে প্রধান সড়কে উঠতে পারি।

অচিরেই রাস্তার দাবিতে বিক্ষোভ, মানববন্ধনসহ আন্দোলনে নামব বলে এ সময় হুঁশিয়ারি দেন তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সত্তার, বীর মুক্তিযোদ্ধা আনোয়ার হোসেন খাঁ, ইয়াসিন খন্দকার, মঞ্জুরুল ইসলাম, অবসরপ্রাপ্ত সার্জেন্ট ইমনসহ আসানখালী উন্নয়ন কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত ইলিয়াস লস্করের মোবাইল  ফোণে কল দিলে তিনি বিষয়টি নিয়ে পরে কথা বলবেন বলে কেটে দেন।

আর অপর অভিযুক্ত মিজানুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, সরকারি ম্যাপে এরকম জায়গা নেই। এটা হলো লস্কর ও আমাদের জমি। আমরা দুই জন রাস্তায় বের হওয়ার জন্য ম্যাপের একটি জায়গা চিহ্নিত করে রেখেছি। ম্যাপে যে রাস্তাটি তারা দেখাচ্ছে তা আমাদের ব্যক্তিগত রাস্তা। এটা সরকারি রাস্তা নয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৫০৩ ঘণ্টা, ২২ ফেব্রুয়ারি, ২০২২
এমআরএম/এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।