ঢাকা, সোমবার, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ২০ মে ২০২৪, ১১ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

দাম বেড়েছে পেঁয়াজ-সবজির  

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৪০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১১, ২০২২
দাম বেড়েছে পেঁয়াজ-সবজির  

ঢাকা: সপ্তাহের ব্যবধানে বাজারে দাম বেড়েছে পেঁয়াজে ও সবজির। অপরিবর্তিত রয়েছে অন্যান্য পণ্যের দাম।

 

শুক্রবার (১১ ফেব্রুয়ারি) সকালে রাজধানীর মিরপুরের ১১ নম্বর বাজার, মিরপুর কালশী বাজার ও পল্লবী এলাকা ঘুরে এসব চিত্র উঠে এসেছে।

বাজারে সপ্তাহের ব্যবধানে বেড়েছে সবজির দাম। প্রতি কেজি সবজিতে ১০-১৫ টাকা দাম বেড়েছে। এসব বাজারে প্রতিকেজি টমেটো বিক্রি হচ্ছে ৪০-৫০ টাকা, শিম বিক্রি হচ্ছে ৪০-৬০ টাকা, (গোল) বেগুন ৮০ টাকা, (লম্বা) বেগুন ৪০ টাকা, ফুল কপি প্রতি পিস ৪০ টাকা, পাতা কপি ৪০ টাকা, করলা ৮০ টাকা, গাজর প্রতি কেজি ৪০ টাকা, চাল কুমড়া পিস ৪০ টাকা, প্রতি পিস লাউ আকারভেদে বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকায়, মিষ্টি কুমড়ার কেজি ৪০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০ টাকা, পটল ৫০ টাকা, ঢেঁড়স ৬০ টাকা, মুলা ৪০ টাকা, শালগম ৪০ টাকা, কচুর লতি ৬০ টাকা, পেঁপের কেজি ৪০ টাকা, বটবটির কেজি ১২০ টাকা ও মটরশুটির কেজি ১২০ টাকা।

১১ নম্বর বাজারের সবজি বিক্রেতা আলামিন বাংলানিউজকে বলেন, গত কয়েক দিনের বৃষ্টির কারণে দাম বেড়েছে সবজির। বাজারে সবজির সরবরাহ একটু কম আছে। এ সব বাজারে আগের দামে বিক্রি হচ্ছে আলু। নতুন আলুর কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৪-১৫ টাকা। পুরান আলুর কেজি ১০-১৫ টাকা। ৫ কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকায়। দাম বেড়েছে পেঁয়াজের। দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪০-৪৫ টাকা কেজি। গত সপ্তাহে পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হয়ে ছিল ৩০-৩৫ টাকা কেজি। ইন্ডিয়ান পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪৫-৫০ টাকা কেজি। গত সপ্তাহে ইন্ডিয়ান পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হয়ে ছিল ৪০ টাকা।

১১ নম্বর বাজারের পেঁয়াজ বিক্রেতা মো. কবির বাংলানিউজকে বলেন, বাজারে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে। গত কয়দিনের বৃষ্টিতে দাম বেড়েছে। বাজারে পেঁয়াজের আমদানি ও সরবরাহ ভালো আছে।

বাজারে চায়না রসুন প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা। দেশি রসুন বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা কেজি। দেশি আদার কেজি ৬০ টাকা। চায়না আদার দাম কমে বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা। এসব বাজারে কাঁচামরিচ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা। কাঁচা কলার হালি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়। পেঁপে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা। শসা বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়। লেবুর হালি বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকা।

আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে ডাল। ইন্ডিয়ান ডালের কেজি ১০০ টাকা। গত সপ্তাহে ইন্ডিয়ান ডাল প্রতি কেজি বিক্রি হয় ৯০-৯৫ টাকা। দেশি ডালের কেজি ১২০ টাকা।  এসব বাজারে ভোজ্য তেলের লিটার বিক্রি হচ্ছে বিক্রি হচ্ছে ১৬৮ টাকা। বাজারে প্রতি কেজি চিনি বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়। এছাড়া প্যাকেট চিনি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮৫ টাকায়। আটা প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৫ টাকায়।  

বাজারে বেড়েছে ডিমের দাম। লাল ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১১০ টাকায়। হাঁসের ডিমের ডজন বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১৯৫ টাকা। দেশি মুরগির ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ২১০ টাকা। সোনালী (কক) মুরগির ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকায়।  

বাজারে আগের দামে বিক্রি হচ্ছে মুরগি। ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৫০-১৬০ টাকা। সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৫০ টাকায়। লেয়ার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৫০ টাকা। গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছিল ২৩০ টাকা কেজি।  

বাংলাদেশ সময়: ১০২৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১১, ২০২২
এমএমআই/এনটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।