ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

সিংগাইরে বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় গ্রেফতার ২

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৫০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৮, ২০২২
সিংগাইরে বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় গ্রেফতার ২ গ্রেফতাররা।

মানিকগঞ্জ: মানিকগঞ্জে বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধারের রহস্য উন্মোচন ও হত্যাকাণ্ডে জড়িত প্রধান আসামিসহ দুইজনকে গ্রেফতার এবং নিহত নারীর পরিচয় নিশ্চিত করেছে পুলিশ।  

শুক্রবার (২৮ জানুয়ারি) দুপুরে মানিকগঞ্জ পুলিশ সুপার মোহাম্মদ গোলাম আজাদ খান এক প্রেস ব্রিফিংয়ে মার্জিনা আক্তার হত্যার রহস্য উন্মোচন ও ১১ দিনের মাথায় হত্যায় জড়িত প্রধান আসামি মাসুদকে গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

সিংগাইর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সফিকুল ইসলাম মোল্যা বলেন, সিংগাইর উপজেলার চারিগ্রাম গ্রামের মোশারফ হোসেনের মেয়ে মার্জিনা আক্তার (৩০) স্বামীর সঙ্গে ছাড়াছাড়ি হওয়ার পর একাই ঢাকায় থাকতেন। মীরপুরে মাসুদের ভাড়া করা বাসায় সাবলেট হিসেবে ভাড়া থেকে মার্জিনা আক্তার ডেন্টাল হাসপাতালে কাজ শিখছিলেন। মার্জিনা তার স্বর্ণালঙ্কার মাসুদকে দেন বন্ধক রেখে টাকা এনে দেওয়ার জন্য। মাসুদ ওই স্বর্ণালঙ্কার বন্ধক না রেখে তা বিক্রি করে দেন। মার্জিনাকে জানানো হয় ২০ হাজার টাকা স্বর্ণালঙ্কার বন্ধকি রাখা হয়েছে। ডিসেম্বর মাসে মার্জিনা ২০ হাজার টাকা মাসুদকে ফেরত দিয়ে স্বর্ণালঙ্কার দাবি করেন। এ নিয়ে মার্জিনার সঙ্গে মাসুদের কথা কাটাকাটি হয়। গত ২৪ ডিসেম্বর সকালে মাসুদ মার্জিনাকে গলায় গামছা পেচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। এর পর স্ত্রী রেখার সহায়তায় মরদেহের গলা কেটে কাগজের কার্টনে প্যাকেট করে। ওই দিন সন্ধ্যার পর একটি অটোরিকশা ভাড়া করে ভরা বস্তাটি নিয়ে মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলার ওয়াইজনগর গ্রামে একটি খালের পানিতে ফেলে দেন। হত্যাকাণ্ডের ২১ দিন পর ১৪ জানুয়ারি পুলিশ ওয়াইজনগর থেকে বস্তাভর্তি প্যাকেটটি উদ্ধার করে অজ্ঞাত নারীর মরদেহ হিসেবে তা দাফনের ব্যবস্থা করে। সিংগাইর থানায় ক্লু-লেস একটি হত্যা মামলা দায়ের হয়।

ক্লু-লেস এই হত্যা মামলা নিয়ে ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাদের নির্দেশে মাঠে নামে পুলিশ। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সিংগাইর থানার উপপুলিশ পরিদর্শক আব্দুল হালিম কৌশলে ১১ দিন তদন্ত করে নারায়ণগঞ্জ থেকে গ্রেফতার করে শেখ মাসুদ (৩৮) ও তার স্ত্রী রেখাকে (৩৩)।  

পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে মাসুদ স্বীকার করেন মার্জিনা আক্তারকে হত্যার কথা। মাসুদের দেখানো মতো নারায়ণগঞ্জের কাঁচপুর এলাকা থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত চাকু ও নিহতের মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। নিহতের মোবাইল ফোনের সূত্রে ধরে তার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। এর পর মার্জিনার ভাই মহিদুর রহমান ও বোন লিপি আক্তার ছবি দেখে শনাক্ত করেন খুন হওয়া অজ্ঞাত ওই নারী তাদের বোন মার্জিনা আক্তার।

পুলিশ সুপার মোহাম্মদ গোলাম আজাদ খান বলেন, ১১ দিন পুলিশ পরিশ্রম করে ক্লু-লেস এই হত্যার প্রধান আসামি গ্রেফতারসহ নিহতের পরিচয় নিশ্চিত করেছেন।  

বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৮, ২০২২
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।