ঢাকা, শনিবার, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৮ মে ২০২৪, ০৯ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

ঘোজাডাঙ্গা বন্দরে সিরিয়ালের নামে চাঁদাবাজি: প্রতিবাদে কর্মসূচি 

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৪১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৬, ২০২২
ঘোজাডাঙ্গা বন্দরে সিরিয়ালের নামে চাঁদাবাজি: প্রতিবাদে কর্মসূচি 

সাতক্ষীরা: ভারতের ঘোজাডাঙ্গা স্থলবন্দরে পণ্যবাহী ট্রাকের সিরিয়ালের নামে চাঁদাবাজির প্রতিবাদে ভোমরা স্থলবন্দর সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশন লাগাতার কর্মসূচি ঘোষণা করেছে।

মঙ্গলবার (২৫ জানুয়ারি) বিকেলে ভোমরা স্থলবন্দর সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টস্ অ্যাসোসিয়েশনের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত এক সভায় এ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।

ভোমরা স্থলবন্দর সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের আহ্বায়ক শেখ এজাজ আহমেদ স্বপনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় ঘোষিত কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে, আগামী ২৭ জানুয়ারি বন্দর ব্যবহারকারী স্থানীয় ও জেলার বিভিন্ন সংগঠনের সঙ্গে মতবিনিময়, ২৯ জানুয়ারি সকাল ১০টা থেকে দুই ঘণ্টা কর্মবিরতি ও মানববন্ধন, ৩০ জানুয়ারি তিন ঘণ্টা কর্মবিরতি ও মানববন্ধন, ৩১ জানুয়ারি চার ঘণ্টা কর্মবিরতি ও মানববন্ধন। এতেও চাঁদাবাজি বন্ধ না হলে আগামী ১ ফেব্রুয়ারি থেকে লাগাতার কর্মবিরতির ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।

সভায় ভোমরা স্থলবন্দর সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য সচিব এ এস এম মাকসুদ খানের সঞ্চালনায় বক্তব্য দেন- আহ্বায়ক কমিটির সদস্য রামকৃষ্ণ চক্রবর্তী, মো. মিজানুর রহমান, আমদানি-রপ্তানিকারকদের মধ্যে শাহানুর ইসলাম শাহীন, দীপঙ্কর ঘোষ, জি এম আমির হামজা, ভোমরা স্থলবন্দর কর্মচারী অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি পরিতোষ কুমার ঘোষ, সাধারণ সম্পাদক নাজমুল আলম মিলন, লেবার সংগঠনের মধ্যে রেজিং নং- ১৭২২ এর সভাপতি মো. সামছুজ্জামান, সাধারণ সম্পাদক মো. নিজামউদ্দিন, রেজিং নং-১৯৬৪ এর সভাপতি মো. আশরাফুল ইসলাম বাবলু, সাধারণ সম্পাদক মো. আসাদুল ইসলাম, রেজিং নং-১১৫৯ এর সভাপতি মো. এরশাদ আলী, সাধারণ সম্পাদক মো. তরিকুল ইসলাম, রেজিং নং-১১৫৫ এর সভাপতি মো. আনারুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক মো. মাসুদ আলী প্রমুখ।

সভায় বক্তারা বলেন, ভোমরা স্থলবন্দরের বিপরীতে ভারতের ঘোজাডাঙ্গায় কাস্টমস শুল্ক স্টেশনের পার্শ্ববর্তী বেসরকারি পার্কিংগুলোতে সিরিয়ালের নামে চাঁদাবাজি অব্যাহত রয়েছে। এই চাঁদার পরিমাণ ট্রাক প্রতি ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত। ফলে বাংলাদেশি আমদানিকারকরা আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়ছেন। এজন্য ভারত থেকে আমদানিজাত পণ্যের মূল্য ক্রমান্বয়ে বাড়ছে। দেশের অন্যান্য বন্দরের তুলনায় এই বন্দরে আমদানি ব্যয় বাড়ায় আমদানিকারকরা এ বন্দর ত্যাগ করছেন। ফলে ভোমরা স্থলবন্দর থেকে সরকার রাজস্ব হারাচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে এই বন্দরটি বন্ধ হওয়ার উপক্রম হবে। তাই ঐক্যবদ্ধভাবে চাঁদাবাজির প্রতিবাদ করা ছাড়া বিকল্প নেই।  

বাংলাদেশ সময়: ১০৩৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৬, ২০২২
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।