ঢাকা, বুধবার, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন নির্যাতনের শিকার গৃহকর্মী ফারজানা

মিরাজ মাহবুব ইফতি, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০১৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৫, ২০২২
মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন নির্যাতনের শিকার গৃহকর্মী ফারজানা

ঢাকা: রাজধানীর এলিফ্যান্ট রোডের একটি বাসায় গৃহকর্ত্রীর নির্যাতনের শিকার হয়ে হাসপাতালে জীবন-মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন গৃহকর্মী ফারজানা (১৬)।

জানা যায়, ১৭ জানুয়ারি নির্যাতনের শিকার গৃহকর্মী ফারজানাকে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

এ ঘটনায় কলাবাগান থানায় তার বাবা একটি মামলা দায়ের করেন।

বৃহস্পতিবার (২০ জানুয়ারি) এলিফ্যান্ট রোডের ইস্টার্ন মফিজবাগ অ্যাপার্টমেন্টের ওই বাসা থেকে গৃহকর্ত্রী সামিয়া ইউসুফ সুমিকে (৩২) গ্রেফতার করে র‌্যাব-২।

কাজ করার সময় সামান্যতম ভুলের কারণে গৃহকর্ত্রী সুমি তাকে প্রায়ই মারধর করে জখম করতেন। গত ১৭ জানুয়ারি মারপিটে গৃহকর্মী ফারজানা গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়।

সোমবার (২৪ জানুয়ারি) রাতে নির্যাতিতা ফারজানা কেমন আছে জানতে চাইলে বাবা মো. বেলাল বাংলানিউজকে জানান, ডাক্তার বলছেন, আমার ফারজানাকে আরো দুই মাস হাসপাতালে থাকতে হবে। তার কিডনি ও লিভারের সমস্যা আছে। লাঞ্চে পানি জমেছে। হাত পা ফুলে গিয়েছিল, আস্তে আস্তে হাত-পায়ের পানি কমতে শুরু করেছে।

আসামির পরিবার থেকে কোনো চাপ বা হুমকি দেওয়া হচ্ছে কিনা জানতে চাইলে বেলাল বলেন, আসামিকে (সামিয়া ইউসুফ সুমি) ২৪ জনুয়ারি জামিনের জন্য কোর্টে তোলা হয়েছিল। জামিন হয়নি। আসামির পরিবার মেয়ের মা এবং আমার সঙ্গে যোগাযোগ করার বহু চেষ্টা করেছে। আমাকে বিভিন্নভাবে চাপ সৃষ্টি করার চেষ্টা করছে তারা। আসামি পক্ষের উকিল দিয়েও ফোন করিয়ে বলছে, আসামির জামিন করিয়ে দিতে। কিন্তু আমি তাদের এড়িয়ে চলছি। আসামিপক্ষ থেকে এড়িয়ে চলতে গিয়ে আমার মেয়ের খবর হাসপাতালে সঠিকভাবে নিতে পারছি না।  

বেলাল বলেন, আমার মেয়ের পেটে টিউমার আছে। অপারেশন করতে হবে। মেয়েটার শরীরের রক্ত নাই। দুই ব্যাগ রক্ত দিয়েছি আরও এক ব্যাগ রক্ত দেওয়া লাগবে।  

গৃহকর্মীর নির্যাতনের ঘটনার মামলার বিষয়ে কলাবাগান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পরিতোষ চন্দ্র বাংলানিউজকে বলেন, আসামিকে গ্রেফতার করে রিমান্ড আবেদনসহ জেলহাজতে পাঠানো হয়। আদালত আসামির রিমান্ড নামঞ্জুর করেছেন। মামলার তদন্ত চলমান রয়েছে।

এর আগে, র‌্যাব-২ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল আবু নাঈম মো. তালাত জানান, ফারজানা ২০১৫ সাল থেকে ওই বাসায় গৃহকর্মী হিসেবে নিয়োজিত ছিল। তাকে প্রায়ই সামিয়া ইউসুফ মারধর করতেন।

তিনি জানান, ফারজানা র‌্যাবের তত্ত্বাবধানে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। তার চিকিৎসার সু-ব্যবস্থা নিশ্চিতসহ আইনি সহায়তা দেওয়া হচ্ছে।

বাংলাদেশ সময়: ১০১৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৫, ২০২২
এমএমআই/এসআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।