ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ মে ২০২৪, ০০ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

দুর্নীতি রোধে কমানো হচ্ছে ভূমি কর্মকর্তাদের ‘ক্ষমতা’ 

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৩২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৫, ২০২২
দুর্নীতি রোধে কমানো হচ্ছে ভূমি কর্মকর্তাদের ‘ক্ষমতা’  ‘ভূমি ব্যবস্থাপনায় জনঅংশগ্রহণ ও সুশাসন’ শীর্ষক বিতর্ক প্রতিযোগিতা

ঢাকা: দুর্নীতির সুযোগ কমাতে মাঠ পর্যায়ে ভূমি কর্মকর্তাদের ‘বিবেচনামূলক ক্ষমতা’ কমিয়ে পুরো ভূমি ব্যবস্থাপনাকে একটি স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং পদ্ধতির (এসওপি) আওতায় আনা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ভূমি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোস্তাফিজুর রহমান। এতে ভূমি সেবাদানকারী কর্মকর্তাদের দুর্নীতির সুযোগ বহুলাংশে কমে যাবে বলে জানান তিনি।

 

শনিবার (১৫ জানুয়ারি) তেজগাঁওস্থ এফডিসির মিলনায়তনে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির আয়োজনে ‘ভূমি ব্যবস্থাপনায় জনঅংশগ্রহণ ও সুশাসন’ শীর্ষক এক ছায়া সংসদ বিতর্ক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন তিনি।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ।

ভূমি সচিব বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভূমি মন্ত্রণালয় পরিদর্শনের সময় ৩১টি দিকনির্দেশনা দিয়েছিলেন। ভূমিমন্ত্রী সাইফুজামান চৌধুরীর নেতৃত্বে ভূমি মন্ত্রণালয় তা বাস্তবায়ন করছে।
 
তিনি বলেন, ভূমি অপরাধ আইনের খসড়া তৈরি প্রায় শেষ এবং মতামতের জন্য শিগগিরিই তা উন্মুক্ত করা হবে। এছাড়া ভূমি জরিপ ট্রাইব্যুনালের সংশোধনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

এক প্রশ্নের জবাবে ভূমি সচিব জানান, সরকারি নীতির কারণে ভূমিসেবা হটলাইন ১৬১২২ এখনই টোল-ফ্রি করা সম্ভব হচ্ছেনা। কেননা ভূমি বিষয়টি জরুরি সংকটময় সেবার অন্তর্ভুক্ত নয়।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের একেবারে প্রান্তিক পর্যায়ের মানুষের সুবিধার্থে ১৬১২২ নম্বরে ফোনযোগে খতিয়ান (পর্চা) ও জমির ম্যাপের আবেদন এবং ভূমি উন্নয়ন কর প্রদানের সুবিধার মতই ফোনযোগে নামজারির আবেদনের সুযোগও তৈরি করা হচ্ছে। এতে ডিজিটাল ভূমিসেবা গ্রহণে স্মার্টফোন কিংবা ইন্টারনেট ব্যবহার করার প্রয়োজনও নেই। এছাড়া জমির যেসব দলিলাদি ইতোমধ্যে সরকারি অফিসে আছে এ পদ্ধতিতে তাও আলাদা করে আর জমা দিতে হবেনা। এতে নামজারি করা আরও সহজ হবে।

যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে অনুষ্ঠিত বিতর্ক প্রতিযোগিতায় সরকারি দল হিসেবে বাংলাদেশ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ও বিরোধীদল হিসেবে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের বিতার্কিকরা অংশ নেন। প্রতিযোগিতা শেষে অংশগ্রহণকারী দলের মধ্যে ট্রফিসহ অন্যান্য সনদপত্র বিতরণ করেন ভূমি সচিব।

ছায়া সংসদ বিতর্ক প্রতিযোগিতায় বিচারক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- অধ্যাপক আবু মোহাম্মদ রইস, পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের উপসচিব ধরিত্রী কুমার সরকার, জ্যৈষ্ঠ সাংবাদিক বিএম জাহাঙ্গীর এবং আলমগীর স্বপন। অনুষ্ঠানের সভাপতি এ সময় মডারেটর হিসেবে দায়িত্বপালন করেন। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবক এবং গণমাধ্যমকর্মীরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৩০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৫, ২০২২
জিসিজি/এমআরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।