ঢাকা, শনিবার, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

নতুন বছরে ক্ষতি কাটিয়ে ওঠার প্রত্যাশা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১০২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩১, ২০২১
নতুন বছরে ক্ষতি কাটিয়ে ওঠার প্রত্যাশা ছবি: শোয়েব মিথুন

ঢাকা: ‘ফোটে যে ফুল আঁধার রাতে/ ঝরে ধুলায় ভোর বেলাতে/ আমায় তারা ডাকে সাথে- আয় রে আয়। সজল করুণ নয়ন তোলো, দাও বিদায়...।

’ গানে গানে কথাগুলো বলেছিলেন জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম। শুক্রবারের (৩১ ডিসেম্বর) সূর্যাস্ত যেন এই গানের সঙ্গেই একাকার।

এদিনের সূর্যাস্ত আরেকটি খ্রিস্টীয় বছরের সমাপ্তির ডাক দিল। আর আগামীকালের ভোরের সূর্য পৃথিবীর বুকে নিয়ে আসবে আরেকটি নতুন বছর। বলতে হবে― স্বাগত ২০২২!

সব মিলিয়ে দূরে থাকার, বিচ্ছিন্নতার, আতঙ্কের, মহামারির একটি বছর ছিল ২০২১। জড়তা, ভয়কে পাশে ঠেলে আবার জাগছে মানুষ নতুন স্বাভাবিকতায়। নতুন সূর্য উঁকি দিচ্ছে পুরাতনের গ্লানি ভুলে। করোনার ক্ষতি কাটিয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে ঘরে ঘরে সব বয়সী মানুষের এখন একই প্রত্যাশা, ২০২২ সাল হোক ক্ষতি কাটিয়ে ওঠার।

বছরের শেষ দিনটিতে এসে ভালো-মন্দ আর আনন্দ-বেদনার স্মৃতিগুলো আরও একবার রোমন্থন করবেন অনেকেই। একইভাবে জীবনের সব ধরনের নেতিবাচক বিষয়গুলো দূরে ঠেলে সুন্দর আগামীর প্রত্যাশায় নতুন করে পথচলার প্রত্যয় ব্যক্ত করবেন প্রায় সবাই।

এছাড়া দৈনন্দিন কর্মকাণ্ড মূলত ইংরেজি সালের গণনায় হওয়ায় খ্রিস্টীয় বছর বেশ গুরুত্বপূর্ণ আমাদের জীবনে। সেদিক বিবেচনায় বিদায়ী বছরটা কেমন গেল তার হিসাবও কষবেন কেউ কেউ। ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা আর ভাবনায় নানাভাবে মূল্যায়িত হবে বিদায়ী এই বছরটি।

২০২১ সাল বরণ করার সময় কেউ ভাবেনি বছরটি মানব জাতির জন্য এতটা বিষময় হবে। আতঙ্ক, উদ্বেগ এবং অনিশ্চয়তা নিয়েই প্রায় সারা বছর কাটলো করোনা ভাইরাসের ভীতিতে। তবে বছর বিদায়ের আগেই অবশ্য আশার আলো দেখিয়েছে চিকিৎসা-বিজ্ঞান। স্বল্পতম সময়েই আবিষ্কার হয়েছে করোনার ভ্যাকসিন।

২০২১ সাল বাংলাদেশও পার করেছে ভালো-মন্দ মিলিয়ে। বাংলাদেশও করোনার ধকল মুক্ত থাকতে পারেনি। তবে যতটা বিপর্যয়ের আশঙ্কা করা হয়েছিল ততটা হয়তো হয়নি বা অর্থনীতি সেভাবে ভেঙে পড়েনি। অনেকে কর্মহীন হয়েছেন, তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে নয়। রাজনীতিও অনেকটাই করোনাকবলিত। রাজনৈতিক দলগুলোর তৎপরতাও সীমিত।

এদিকে বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে মুজিববর্ষ পালন করার পরিকল্পনা থাকলেও তা সম্ভব হয়নি করোনার কারণে। ২০২১ সাল ছিল স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী। ২০২২ বছরটাও পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী উদযাপন করা যাবে কি-না, সেটি এখন দেখার অপেক্ষা।

সব মিলিয়ে করোনার কারণে ২০২১ সালকে বিদায় জানাতে হয়তো মন ভারাক্রান্ত হবে কম। তবে করোনা যে আমাদের পরিবারের সঙ্গে থাকতে শিখিয়েছে, জীবনের নতুন পথ দেখিয়েছে, নতুন বছর ২০২২ সালকে স্বাগত জানাতে হবে সেই চেতনা আর ভালো কিছুর প্রত্যাশা নিয়েই।

বাংলাদেশ সময়: ২১০২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩১, ২০২১
এইচএমএস/এনএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।