ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

‘১২ কমান্ডার অংশ নেন একুশ আগস্ট হামলায়’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৫২১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২০, ২০১০
‘১২ কমান্ডার অংশ নেন একুশ আগস্ট হামলায়’

ঢাকা: নিষিদ্ধ ঘোষিত হরকাতুল জিহাদ (হুজি) জঙ্গিরাই ২০০৪ সালের একুশে আগস্ট বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলা চালিয়েছিল। ১২ হুজি কমান্ডার ওই হামলায় অংশ নেয়।

আর হামলার জন্য গ্রেনেড সরবরাহ করা হয় বিগত জোট সরকারের উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টুর অনুজ মাওলানা তাজউদ্দিনের মোহাম্মদপুরের বাসা থেকে।

এ তথ্য হুজি নেতা মুফতি মইনউদ্দিন ওরফে আবু জান্দালের। সিআইডি দপ্তরে টাস্কফোর্স ইন্টারোগেশন (টিএফআই) সেলের জিজ্ঞাসাবাদে রোববার তিনি এ তথ্য প্রকাশ করেন।

রাতে একুশ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার অধিকতর তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার আব্দুল কাহহার আকন্দ সাংবাদিকদের কাছে জান্দালের স্বীকারোক্তি দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

সিআইডি সূত্র জানায়, ৫ দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের প্রথম দিনেই গ্রেনেড হামলার ব্যাপারে স্বীকারোক্তি দেন আবু জান্দাল।

গোয়েন্দাদের জিজ্ঞাসাবদে জান্দাল জানান, তিনিই ছিলেন গ্রেনেড হামলার সমন্বয়ক। তার ছোড়া গ্রেনেডে নিহত হন মহিলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আইভি রহমান।

এ মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামি হুজির জঙ্গি কমান্ডার জান্দাল টিএফআই সেলের জিজ্ঞাসায় আরও জানান, সমাবেশস্থলের কোন্ পাশে কোন্  কমান্ডার অবস্থান নেবেন তা আগেই ঠিক করে দিয়েছিলেন তিনি। নিজে অবস্থান নিয়েছিলেন ট্রাক মঞ্চ ঘেঁষা দক্ষিণ পাশে। ট্রাক মঞ্চে দাঁড়ানো শেখ হাসিনা ও আইভি রহমানকে লক্ষ্য করে তার হাতের গ্রেনেড ছুঁড়ে মারার পর পরই সহযোগিরা একের পর এক বিস্ফোরণ ঘটাতে শুরু করে।

জান্দালের স্বীকারোক্তির সংবাদ নিশ্চিত করে আব্দুল কাহহার আকন্দ বাংলানিউজকে জানান, গত ৬ সেপ্টেম্বর জান্দালের ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করা হলে আদালত ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। রিমান্ডের পরিপ্রেক্ষিতে জান্দালকে সিআইডি কার্যালয়ে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
 
গ্রেনেড হামলার প্রায় চার বছর পর ২০০৮ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি গাজীপুরের বানিয়ারচালা এলাকা থেকে জান্দালকে র‌্যাব গ্রেপ্তার করে বলেও জানান আব্দুল কাহহার আকন্দ।

সিআইডি সূত্র জানায়, গ্রেপ্তারের পর পরই বিভিন্ন মামলায় জিন্দালকে তিন দফা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তার দেওয়া তথ্যের সূত্র ধরে ১০ জঙ্গি কমান্ডারকে গ্রেপ্তার করা হয়। সাতক্ষীরা থেকে উদ্ধার করা হয় ৪১টি আর্জেস গ্রেনেড।

বাংলাদেশের সময়: ০৩৪৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২০, ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad