ঢাকা: আগামী ২০১৫ সাল নাগাদ বিদ্যুতের উৎপাদন ১১ হাজার মেগাওয়াটে উন্নীত করার পরিকল্পনা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই এলাহি চৌধুরী বীরবিক্রম।
চলতি বছর শেষে নতুন ৫শ’ মেগাওয়াট ও আগামী বছর আরও ১৬শ’ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদিত হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
রোববার জ্বালানি মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত এক বৈঠক শেষে এক প্রেস ব্রিফিং-এ তিনি আরও বলেন, রমজান মাসে গড়ে দৈনিক বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়েছে ৪৫শ’ মেগাওয়াট।
তবে সামনের দিনগুলোতে বিদ্যুতের উৎপাদন কিছুটা হ্রাস পাবে। তাই লোডশেডিং কিছুটা বেড়ে যেতে পারে বলে জানালেন জ্বালানি উপদেষ্টা।
দেশের বিদ্যমান জ্বালানি সংকটের কারণে সবাইকে রেশনিং-এর আওতায় ত্যাগ স্বীকারের আহবান জানিয়েছেন তিনি।
প্রেস ব্রিফিং-এ বিদ্যুৎ সচিব আবুল কালাম আজাদ ও জ্বালানি সচিব মেজবা উদ্দিন আহমেদও বক্তব্য রাখেন।
জ্বালানি উপদেষ্টা বলেন, রমজান মাসে বিদ্যুৎ সরবরাহ নিরবচ্ছিন্ন রাখতে দেশের সার কারখানাগুলোতে গ্যাস সরবাহে যে রেশনিং করা হয়েছিল সেগুলো এখন থেকে পর্যায়ক্রমে অবমুক্ত করে দেওয়া হবে।
বিদ্যুৎ সচিব আবুল কালাম আজাদ বলেন, রমজানে বিদ্যুৎ সরবারহ নিশ্চিত করতে বন্ধ রাখা যমুনা ও ঘোড়াশাল সার কারখানা, চট্টগ্রামের ইউরিয়া ও কাফকো পর্যায়ক্রমে খুলে দেওয়া হবে।
তবে সিএনজি স্টেশনগুলো আগের মতই বিকাল ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত বন্ধ থাকবে বলে জানান তিনি।
তিনি বলেন, ডিসেম্বরের মধ্যে কিছু নতুন বিদ্যুৎ কেন্দ্র উৎপাদনে যাবে। তখন পরিস্থিতির উন্নতি হলে সিএনজি স্টেশনগুলো স্বাভাবিক সময়ে ফিরে যাবে।
প্রসঙ্গক্রমে বিদ্যুৎ সচিব আরও বলেন, গত ছয় মাস ধরে বিদ্যুতের নতুন সংযোগ প্রদান বন্ধ থাকলেও বিদ্যুতের চাহিদা বাড়ছে। গত ৯ মাসে বিদ্যুতের চাহিদা বেড়েছে ১৭ ভাগ।
এসি, ডিপ ফ্রিজ ও আইপিএস-এর ব্যবহার বৃদ্ধি এবং সম্প্রতি ঢাকায় ব্যাটারিচালিত এক ধরনের যানবাহন চালু হওয়ায় এই চাহিদা বেড়েছে।
তিনি বলেন, আগামীতে বিদ্যুতের নতুন সংযোগ পেতে ভবনে সৌরবিদ্যুতের ব্যবস্থা বাধ্যতামূলক করার চিন্তা-ভাবনা করছে সরকার। চাহিদার তিন থেকে পাঁচ শতাংশ বিদ্যুৎ সংগ্রহ করতে হবে সৌরবিদ্যুৎ ব্যবস্থা থেকে।
বৈঠকে ভাড়াভিত্তিক আটটি বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের পরিকল্পনা অনুমোদন করা হয়। এর মধ্যে ৫০ মেগাওয়াটের চারটি ও ১০০ মেগাওয়াটের চারটি বিদ্যুৎকেন্দ্র।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩০ ঘণ্টা, ১৯ সেপ্টেম্বর