ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

পায়রা সেতুতে যান চলাচল, উচ্ছ্বসিত চালক-যাত্রী

বাংলানিউজ টিম | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৩৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৪, ২০২১
পায়রা সেতুতে যান চলাচল, উচ্ছ্বসিত চালক-যাত্রী গাড়ি নিয়ে সেতুতে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মো. আবদুস সবুর। ছবি: বাংলানিউজ

বরিশাল: দক্ষিণ বাংলার মানুষের আকাঙ্ক্ষা ও স্বপ্নের পায়রা সেতুর উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। উদ্বোধনের পর সেতুর ওপর দিয়ে যানবাহন চলাচল শুরু হয়েছে।

রোববার (২৪ অক্টোবর) সব আনুষ্ঠানিকতা শেষে দুপুর সোয়া ১২টার দিকে সেতুতে যাত্রীবাহী বাস চলাচল শুরু হয়। তবে এর আগে পটুয়াখালী প্রান্তের ডিজিটাল টোলপ্লাজা দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রথম গাড়ি নিয়ে সেতুতে ওঠেন সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মো. আবদুস সবুর।

পায়রা সেতুতে প্রথম টোল দেওয়া যাত্রীবাহী বাসের চালক মো. ছাত্তার বলেন, উদ্বোধনের পর সেতুতে উঠতে পেরে বেশ ভালো লেগেছে। সেতুটি পার হওয়ার অনুভুতিটা ছিল অন্যরকম। তবে ফেরির চেয়ে থেকে সেতুতে টোলের পরিমাণ বেশি।

যান চলাচল শুরু হওয়ার পর সেতুটি পার হওয়ার সময় দক্ষিণাঞ্চলের এ রুটের চালক-শ্রমিক ও যাত্রীদের বেশ উচ্ছ্বসিত দেখা গেছে।

এদিকে সেতুতে যান চলাচল শুরু হওয়ার আগে সকালে লেবুখালি ফেরিঘাটে চারটি ফেরি শেষবারের মতো চলাচল করেছে।

প্রসঙ্গত, বরিশাল বিভাগে এটিই প্রথম ফোরলেনের সেতু। আর এ সেতু পারপারের টোল আদায়ে যে ডিজিটাল টোলপ্লাজা নির্মাণ করা হয়েছে সেটিও প্রথমবারের মতো এ বিভাগে কোনো সেতুতে সংযুক্ত হলো। এছাড়া এ সেতুর বরিশাল প্রান্তে ওজন স্কেল বসানো হয়েছে। সেই সঙ্গে দেশের কোনো সেতুতে প্রথমবারের মতো ‘ব্রিজ হেলথ মনিটরিং সিস্টেম’ সংযোজন করা হয়েছে। ফলে বিভিন্ন দুর্যোগ বা ওভারলোডেড গাড়ি চলাচলের ফলে সেতুতে যাতে কোনো ধরনের ক্ষতি না হয়, তার (ক্ষতির) পূর্বাভাস পাওয়া যাবে।

সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব মো. নজরুল ইসলাম জানান, পায়রা সেতু নির্মাণের বিষয়টি আপাতদৃষ্টিতে সহজসাধ্য মনে হলেও এর তলদেশে পানির স্রোত ছিল তীব্র এবং নদীর গতি প্রকৃতি ছিল অভিনব। যেটিকে পদ্মা নদীর সঙ্গে তুলনা করা চলে। এছাড়া চ্যানেলের তলদেশে গভীরতা পাওয়া যায় ৪৩ মিটার।

আধুনিক প্রযুক্তি যন্ত্রপাতির ব্যবহার করা হয়েছে এ সেতু নির্মাণে। ভায়াডাক্টসহ ৩৩৮টি পাইলের মধ্যে ৪০টি পাইলের গভীরতা ১৩০ মিটার। যা এ যাবতকালের সর্বাপেক্ষা গভীর। নদীর মধ্যে এক পিলার থেকে আরেক পিলারের গ্যাপ রাখা হয়েছে ২ শত মিটার। এটিও এ যাবতকালের মধ্যে সর্বোচ্চ।

বাংলাদেশ সরকার (জিওবি), কুয়েত ফান্ড এবং ওপেক ফান্ডের অর্থায়নে বরিশাল পটুয়াখালী মহাসড়কে পায়রা নদীর ওপর এ সেতুটি নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ১৪৪৭ কোটি ২৪ লাখ টাকা। ১৪৭০ মিটার দৈর্ঘ্যের এ সেতুটির প্রস্থ ১৯ দশমিক ৭৬ মিটার। আর সেতুর সংযোগ সড়কের দৈর্ঘ্য ১২৬৮ মিটার এবং প্রস্থ ২২ দশমিক ৮০ মিটার। এ সেতুতে ৩২টি স্প্যান ও ৩৩৮টি পাইল রয়েছে। যারমধ্যে মূল সেতুর পাইল সংখ্যা ৫২টি। এছাড়া পিয়ার সংখ্যা ৩১টি।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৪, ২০২১
এমএস/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

জাতীয় এর সর্বশেষ