ঢাকা, শনিবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

দুর্যোগে কাজ করে যাচ্ছেন প্রকৌশলীরা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৪৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ২১, ২০২১
দুর্যোগে কাজ করে যাচ্ছেন প্রকৌশলীরা

ঢাকা: দেশের বন্যা, নদী ভাঙন, ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছ্বাসসহ যেকোন দুর্যোগে পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রকৌশলীরা সম্মুখ যোদ্ধার মতো কাজ করে যাচ্ছেন বলে মন্তব্য করেছেন পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক।
  
বৃহস্পতিবার (২১ অক্টোবর) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের অফিস কক্ষে উত্তরাঞ্চলের বন্যার সর্বশেষ পরিস্থিতি জানার প্রতিক্রিয়ায় তিনি এসব কথা বলেন।

প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক বলেন, যেকোনো দুর্যোগে পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রকৌশলীরা সম্মুখ যোদ্ধার মতো দিনরাত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। উজানের ভারী বৃষ্টিপাতে তিস্তার পানি বেড়েছে। বৃষ্টির মধ্যেই সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীরা নদীর তীরের জনগণের কাছে ছুঁটে গিয়েছেন। গতকাল পানির প্রবল চাপে কুড়িগ্রামে বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। সারারাত নির্ঘুম ও নিরলসভাবে কাজ করে ভোরে সেটি ঠিক করা হয়েছে। আরও যেখানে এমন ক্ষয়ক্ষতি রয়েছে সেখানে বাঁধ রক্ষায় কাজ অব্যাহত আছে।

তিনি বলেন, রংপুরের প্রধান প্রকৌশলীসহ মাঠ পর্যায়ের সবাইকে সতর্ক থাকার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। অনলাইন গ্রুপে পানির উচ্চতার আপডেটসহ নিজ এলাকার পরিস্থিতি ছবিসহ জানাচ্ছে। মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী ,সিনিয়র সচিব ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালকসহ আমরা সবাই সার্বক্ষণিক যোগাযোগ, মনিটরিং ও নির্দেশনা দিয়ে যাচ্ছি।

সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে সিনিয়র সচিব কবির বিন আনোয়ার বলেন, তিস্তার পানি গত ১৯ অক্টোবর মধ্যরাত থেকে বাংলাদেশ অংশে বাড়ে। ফ্লাড বাইপাস থাকায় তিস্তা ব্যারেজের কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। জেলা প্রশাসন, পানি উন্নয়ন বোর্ড এবং ফায়ার সার্ভিসের সাহায্যে প্লাবিত এলাকার লোকজনকে আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে আসা হয়েছে। প্রশাসনের উদ্যোগের পাশাপাশি পানি উন্নয়ন বোর্ড থেকে এক হাজার লোকের জন্য ত্রাণ সামগ্রী দেওয়া হয়েছে।  

কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার তিস্তা বামতীরে ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধ মেরামত প্রসঙ্গে কুড়িগ্রামের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল-মামুন জানান, বাঁধ থেকে পানির উচ্চতা নদীর দিকে প্রায় আড়াই মিটার বেশি ছিল। বাঁধের প্রায় ২৫ মিটার অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। মন্ত্রণালয়ের তাৎক্ষণিক নির্দেশনায় স্থানীয় জনসাধারণ ও শ্রমিকসহ সবার অক্লান্ত পরিশ্রমে ভোর ৪টার দিকে মেরামত সম্পন্ন করতে সক্ষম হই।

এদিকে সরকারের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফুজ্জামান বলেন, তিস্তা অববাহিকায় বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। লালমনিরহাট ও নীলফামারী এলাকার পানি কমলেও কুড়িগ্রাম ও রংপুরে পানি কিছুটা আছে। সেটাও কমে যাবে। সামনে বৃষ্টিপাতের আশঙ্কা কম।

বাংলাদেশ সময়: ২০৪৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ২১, ২০২১
জিসিজি/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।