ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

মন্দির-মণ্ডপে হামলার প্রতিবাদে শাহবাগে সড়ক অবরোধ

ইউনিভার্সিটি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৫৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৮, ২০২১
মন্দির-মণ্ডপে হামলার প্রতিবাদে শাহবাগে সড়ক অবরোধ মন্দির-মণ্ডপে হামলার প্রতিবাদে শাহবাগ মোড় অবরোধ করেছেন শিক্ষার্থীরা | ছবি: ডিএইচ বাদল

ঢাকা: দেশের বিভিন্ন স্থানে মন্দির-মণ্ডপে হামলার প্রতিবাদে রাজধানীর শাহবাগ মোড় অবরোধ করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

সোমবার (১৮ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে প্রতিবাদী শিক্ষার্থীরা শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নেন।

প্রথমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এলাকায় সমবেত হন জগন্নাথ হলসহ বিভিন্ন হলের আবাসিক শিক্ষার্থীরা। সেখান থেকে তারা মিছিল নিয়ে শাহবাগ মোড়ে আসেন। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে রাস্তার ওপর বসে পড়েন শিক্ষার্থীরা।

শিক্ষার্থীদের অবরোধের কারণে শাহবাগ থেকে পল্টন, সায়েন্স ল্যাব, বাংলামোটর ও টিএসসি অভিমুখী সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।

অবরোধ কর্মসূচিতে ইসকনের পক্ষ থেকে চৌদ্দ দফা দাবি জানানো হয়েছে। সেগুলো হলো—বিশেষ দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল গঠনের মাধ্যমে সমস্ত সহিংসতার বিচার করতে হবে এবং নির্বিকার স্থানীয় প্রশাসনের গাফিলতির জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা; অনতিবিলম্বে ইসকন মন্দিরসহ বিভিন্ন মন্দির, পূজামণ্ডপ, ঘরবাড়ি, দোকানপাটে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও ভক্তদের হত্যাকারী এবং নারীদের শ্লীলতাহানিকারীদের জনসমক্ষে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান; দেশব্যাপী সংঘটিত সহিংস ও নারকীয় ঘটনায় আহত সমস্ত সনাতন ধর্মাবলম্বীকে সরকারের পক্ষ থেকে সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করা; ইসকন মন্দিরসহ অন্যান্য মন্দির ও পূজামণ্ডপে হামলার ঘটনায় আহত-নিহতদের পরিবার প্রতি এক কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ; প্রতি পরিবার থেকে একজনকে সরকারি চাকরি দেওয়া; ক্ষতিগ্রস্ত গৃহ, প্রতিষ্ঠান ও মন্দিরগুলোকে ক্ষতিপূরণ দিয়ে পুনঃনির্মাণের ব্যবস্থা করা।

অন্য দাবির মধ্যে রয়েছে—নারীদের শ্লীলতাহানির ফলে শারীরিক ও মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্তদের প্রত্যেককে এক কোটি টাকা প্রদান; ধর্ম অবমাননার বানোয়াট, কল্পিত, বায়বীয়, মিথ্যা অভিযোগে কোনো হিন্দুকে হয়রানি করা, ক্ষতিগ্রস্ত করা, শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করা বন্ধ করতে হবে; এসব অভিযোগে আটক সব হিন্দুকে নিঃশর্ত মুক্তি দিতে হবে; তাদের শারীরিক ও মানসিক সুস্থতার ও বৈষয়িক ক্ষতির জন্য ক্ষতিপূরণ প্রদান করা; ধর্মের অপব্যবহার করে হিংস্র উসকানিমূলক ঘটনা রোধে আন্তঃধর্মীয় বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সমন্বয়ে মনিটরিং সেল বা কমিটি গঠন করে তদারকি ব্যবস্থা জোরদার করা;  সোশ্যাল মিডিয়ায় বা অন্য কোথাও উসকানিমূলক বক্তব্য প্রদান ও তার ভিডিও ভাইরাল করা বন্ধ করা।

বিচারহীনতার সংস্কৃতি রোধ করে দুষ্কৃতিকারীদের মৃত্যুদণ্ড প্রদানসহ দৃষ্টান্তমূলক সাজা প্রদান করা, এ দেশ থেকে হিন্দুদের বিলুপ্তি, হিন্দু নিধন, হিন্দু নিশ্চিহ্ন করার অপচেষ্টা রোধে হিন্দু সুরক্ষা আইন প্রণয়নসহ কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করা; প্রিয় মাতৃভূমিতে হিন্দুদের শান্তিপূর্ণভাবে জীবনধারণের ও সম-অধিকার রক্ষাসহ নিজ ধর্মপালনের সাংবিধানিক অধিকার বাস্তবায়ন করা; রন্ধ্রে রন্ধ্রে সাম্প্রদায়িকতার বিষবাষ্প ছড়িয়ে পড়া রোধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা; ধর্মান্ধ মৌলবাদী, মানবতা ও স্বাধীনতাবিরোধী অপকর্মের দ্বারা বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি করার অপচেষ্টা রোধ করা এবং দাবিগুলো অর্জনে একটি মহাপরিকল্পনা তৈরি করে তা বাস্তবায়ন করা।

বাংলাদেশ সময়: ১২৫২ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৮, ২০২১
এসকেবি/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।