ঢাকা, মঙ্গলবার, ৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

পিপিপিতে হচ্ছে না ঢাকা-চট্টগ্রাম এক্সপ্রেসওয়ে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৪৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৭, ২০২১
পিপিপিতে হচ্ছে না ঢাকা-চট্টগ্রাম এক্সপ্রেসওয়ে

ঢাকা: সরকারি-বেসরকারি অংশীদারত্বে (পিপিপি) হচ্ছে না ঢাকা-চট্টগ্রাম এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ।

রোববার (১৭ অক্টোবর) দুপুরে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে ভার্চ্যুয়ালি অর্থনৈতিক বিষয়ক সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির অনুষ্ঠিত বৈঠকে এ প্রকল্প বাতিলের প্রস্তাব নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

বৈঠক শেষে অনলাইনে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. সামসুল আরেফিন সাংবাদিকদের বলেন, ঢাকা-চট্টগ্রাম এক্সপ্রেসওয়ে পিপিপি ভিত্তিক নির্মাণ প্রকল্প বাতিলের প্রস্তাব নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এটা পিপিপিতে হবে না।

প্রকল্পে ইতোমধ্যে একশ কোটি টাকা খরচ হয়ে গেছে, তারপর এটি বাতিল হলো কেন—এমন প্রশ্নের জবাবে অতিরিক্ত সচিব বলেন, ওটা একটা ফিজিবিলিটি স্টাডি ছিল। টাকাটা গচ্ছা যায়নি, টাকাটা গচ্ছা থেকে বাঁচিয়েছে। যে কোনো কাজের তো ফিজিবিলিটি স্টাডি করতে হবে। এটি নিয়ে আজকের সভায়ও আলোচনা হয়েছে, সেখানে বলা হয় ফিজিবালিটি স্টাডি হয়েছে। যেহেতু জাতীয় মহাসড়কগুলো চার লেনে উন্নীত করা হবে এবং পাশে সার্ভিস লাইন নির্মাণ করা হবে। সারা দেশব্যাপী এটা হচ্ছে। সেজন্য সরকার এটি করবে, এটাই হচ্ছে মূল সিদ্ধান্ত। মূল কথা হলো আগে এটা পিপিপিতে হওয়ার কথা ছিল। এখন পিপিপিতে হচ্ছে না, তবে সেখানে চার লেনের মহাসড়ক হবে, এটাই মূল সিদ্ধান্ত।

ঢাকা-চট্টগ্রাম এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পটি পিপিপি পদ্ধতিতে বাস্তবায়নের প্রস্তাব ২০১৩ সালের ১৩ মার্চের সিসিইএ সভায় নীতিগত অনুমোদন পরবর্তী সমীক্ষা পরিচালনা এবং বিশদ নকশা প্রণয়ন করা হয়। সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বর্তমানে ঢাকা-চট্টগ্রাম এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ না করে বিদ্যমান চার লেন বিশিষ্ট ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক প্রশস্তকরণ এবং উভয় পাশে পৃথক সার্ভিস লেন নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়।

এ প্রেক্ষাপটে রোববারের বৈঠকে ঢাকা-চট্টগ্রাম এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পটি পিপিপি পদ্ধতিতে নির্মাণের কার্যক্রম বাতিলের প্রস্তাব নীতিগত অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হয় এবং তা নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়।

বৈঠকে অনুমোদিত অপর একটি প্রস্তাব প্রত্যাহার করা হয়েছে জানিয়ে মো. সামসুল আরেফিন জানান, হাতিরঝিল-রামপুরা সেতু-বনশ্রী-শেখের জায়গা-আমুলিয়া-ডেমরা মহাসড়ক (চিটাগাং রোড মোড় এবং তারাবো লিংক মহাসড়কসহ) পিপিপি ভিত্তিতে চার লেনে উন্নীতকরণের প্রস্তাবটি প্রত্যাহার করা হয়েছে।

প্রত্যাহার হওয়া প্রস্তাবটিতে বলা হয়, রামপুরা-আমুলিয়া-ডেমরা মহাসড়ক চার লেনে উন্নীতকরণ প্রকল্পটি পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ (পিপিপি) ভিত্তিতে বাস্তবায়নে ২১৬ সালের ২৭ জানুয়ারি সিসিইএ সভায় নীতিগতভাবে অনুমোদিত হয়। পিপিপি ভিত্তিতে বিনিয়োগকারী চায়না কমিউনিকেশনস কন্সট্রাকশন কোম্পানি লিমিটেড এবং চায়না রোড অ্যান্ড ব্রিজ করপোরেশনকে (সিআরবিসি) নিয়োগের প্রস্তাব অনুমোদনের জন্য ২০২০ সালের ৯ ডিসেম্বর সিসিইএ সভায় উপস্থাপন করা হলে আরও কিছু তথ্য-উপাত্তসহ স্বয়ংসম্পূর্ণ প্রস্তাব পাঠানোর সুপারিশ করা হয়।

সে অনুসারে চলতি বছরের ২৭ জানুয়ারি সিসিইএ সভায় চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হলে পিপিপি চুক্তিটি পিপিপি কর্তৃপক্ষকে অধিকতর পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়। পিপিপি কর্তৃপক্ষের মতামত এবং সার্বিক দিক বিবেচনায় বর্ণিত পিপিপি প্রকল্পে বিনিয়োগকারী হিসেবে সিসিসিসিএল এবং সিআরবিসিকে নিয়োগের চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য প্রস্তাব উপস্থাপন করা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৭, ২০২১
জিসিজি/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।