ঢাকা, শনিবার, ৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

অতিরিক্ত মাদক সেবন ও বন্ধুর লাথিতে মারা যান হুমায়ুন

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩৪৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২২, ২০২১
অতিরিক্ত মাদক সেবন ও বন্ধুর লাথিতে মারা যান হুমায়ুন আটক হারুন

বগুড়া: বগুড়ার দুপচাঁচিয়া উপজেলায় হুমায়ুন কবির (৩০) নামে এক যুবকের বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় নিহতের বন্ধু হারুন অর রশিদকে (৩৪) আটক করেছে পুলিশ। আটকের পর হত্যার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন হারুন।

বুধবার (২২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বগুড়ার পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য নিশ্চিত করেন পুলিশ সুপার (এসপি) সুদীপ কুমার চক্রবর্তী।

আটক হারুন অর রশিদ বগুড়া দুপচাঁচিয়া উপজেলার ইসলামপুর খাঁ পাড়া গ্রামের মোশারফ হোসেনের ছেলে। তিনি পেশায় অটোভ্যান চালক।

এর আগে মঙ্গলবার (২১ সেপ্টেম্বর) সকালে দুপচাঁচিয়া উপজেলার ইসলামপুর এলাকা থেকে হুমায়ুন কবিরের বস্তাবন্দি মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী জানান, দুপচাঁচিয়া উপজেলার ইসলামপুর খাঁ পাড়া গ্রামের আব্দুল ওহাবের ছেলে হুমায়ুন কবির (৩৫) পেশায় কৃষক। শনিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) রাতে বাজারে আড্ডা দেওয়ার কথা বলে বের হয়ে তিনি আর বাড়ি ফেরেননি। পরে নিহতের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন থেকে তার বাবার কাছে ফোন করে কয়েক দফায় মুক্তিপণ দাবি করা হয়। নিখোঁজের তিনদিন পর মঙ্গলবার (২১ সেপ্টেম্বর) সকালে হুমায়ুনের নিজ এলাকার একটি ডোবা থেকে তার বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে তথ্যপ্রযুক্তির সাহায্যে তার বন্ধু হারুনকে মঙ্গলবার দিবাগত রাতে তার নিজ বাড়ি থেকে আটক করা হয়।

আটকের পর পুলিশের কাছে দেওয়া স্বীকারোক্তিতে হারুন জানান, ১৮ সেপ্টেম্বর রাতে তারা অটোরিকশায় করে মাদকদ্রব্য কিনতে দুপচাঁচিয়া উপজেলা শহরে আসেন। সেখান থেকে মাদকদ্রব্য কিনে তাদের নিজ এলাকা হারুনের বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে সেখানে বসে পানীয় মাদকদ্রব্য ও ড্রাইডিল ট্যাবলেট একসঙ্গে সেবন করতে থাকেন। একপর্যায়ে হুমায়ুন অতিরিক্ত মাদকদ্রব্য সেবন করায় মাতলামি করতে থাকেন ও বাথরুমে গিয়ে টিউবওয়েল পাড়ে পড়ে গেলে হারুন তাকে উঠানোর চেষ্টা করতে থাকেন। তবে অতিরিক্ত মাদ্রকদ্রব্য সেবন করার কারণে হুমায়ুন বেসামাল হয়ে যান। তখন হুমায়ুনের পিঠে জোরে কয়েকটি লাথি মারেন হারুন। এতে কিছুক্ষণ পর হুমায়ুনের শরীর ঠাণ্ডা ও নিস্তেজ হয়ে যায়। তখন হারুন বুঝতে পারে হুমায়ুন মারা গেছেন। পরে হারুনের নিজ বাড়িতে থাকা একটি সাদা প্লাস্টিকের বস্তায় মরদেহ ভরে রাখেন এবং সুযোগ বুঝে এলাকার একটি ডোবায় বস্তায় ইট বেঁধে ফেলে দেন।
পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী বলেন, দুপচাঁচিয়াতে মাদকদ্রব্য ব্যবসায়ীদের আটক করে আইনের আওতায় আনা হবে।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আলী হায়দার চৌধুরী (প্রশাসন), আব্দুর রশিদ (অপরাধ), ফয়সাল মাহমুদ (সদর সার্কেল ও মিডিয়া মুখপাত্র), হেলেনা আক্তার (সদর হেডকোয়ার্টার), নাজরান রউফ (সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আদমদীঘি সার্কেল) ও দুপচাঁচিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসান আলী।

বাংলাদেশ সময়: ২৩৪৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২২, ২০২১
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।