ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

মেজর সিনহাকে ‘ডাকাত বলে’ হত্যার পরিকল্পনা হয় মইন্যা পাহাড়ে!

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১০৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২২, ২০২১
মেজর সিনহাকে ‘ডাকাত বলে’ হত্যার পরিকল্পনা হয় মইন্যা পাহাড়ে!

কক্সবাজার: সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান টেকনাফের যে পাহাড়ে ভিডিও ধারণ করেছিলেন, এর পাশের শামলাপুর উত্তর মারিশবুনিয়া উম্মুল কোরআন মসজিদের মাইক থেকে ‘মইন্যা পাহাড়ে ডাকাত এসেছে’ বলে বারবার ঘোষণা দিয়েছিলেন পুলিশের সোর্স হিসেবে পরিচিত এ মামলায় অভিযুক্ত নুরুল আমিন মোহাম্মদ আয়াজ ও নিজাম উদ্দিন।

সেই মসজিদের ইমাম হাফেজ জহিরুল ইসলাম ‘এরা ডাকাত নয়, সেনাবাহিনীর লোক’ বলে বাধা দিলেও আসামিরা তা শোনেননি।

মঙ্গলবার (২১ সেপ্টেম্বর) কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতে আলোচিত এ হত্যা মামলার দশম স্বাক্ষী হাফেজ জহিরুল ইসলাম জবানবন্দিতে এসব কথা উল্লেখ করেছেন। সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ফরিদুল আলম।

তিনি জানান, একই দিন সিনহার মরদেহের ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক রনধীর দেবনাথও আদালতে স্বাক্ষ্য দেন। হত্যার পর মেজর সিনহার শারীরিক অবস্থা কেমন ছিল, আদালতে তার বর্ণনা দিয়েছেন ডা. রনধীর দেবনাথ।  

কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পিপি ফরিদুল আলম আরও জানান, মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তৃতীয় দফায় ১০ নম্বর সাক্ষী হাফেজ জহিরুল ইসলামের স্বাক্ষ্য গ্রহণের মধ্য দিয়ে কার্যক্রম শুরু হয়। একই দিন মামলার সাক্ষী কক্সবাজার সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডা. শাহীন আবদুর রহমান ও সেনা সদস্য সার্জেন্ট আয়ুব আলীর সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য আদালতে উপস্থাপন করা হলেও সময়ের অভাবে তাদের স্বাক্ষ্য গ্রহণ করা যায়নি।

এর আগে ২৩ থেকে ২৫ আগস্ট টানা তিন দিন মামলার প্রথম দফায় এক নম্বর সাক্ষী এবং মামলার বাদী শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস ও দুই নম্বর সাক্ষী সাহেদুল ইসলাম সিফাতের সাক্ষ্য গ্রহণ সম্পন্ন হয়। একইভাবে ৫ থেকে ৮ সেপ্টেম্বর টানা ৪ দিনে দ্বিতীয় দফায় চারজনের সাক্ষ্য গ্রহণ ও জেরা কার্যক্রম শেষ করেন আদালত। এ পর্যন্ত মোট ১১ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয়েছে।

বুধবার (২২ সেপ্টেম্বর) পরবর্তী স্বাক্ষীদের স্বাক্ষ্য গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ফরিদুল আলম।  

এদিন সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থায় ওসি প্রদীপসহ সিনহা হত্যা মামলার ১৫ জন আসামিকে আদালতে নিয়ে আসার কথা রয়েছে।  
 
উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ৩১ জুলাই রাত সাড়ে ৯টার দিকে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান।  

ওই ঘটনায় ওই বছরের ৫ আগস্ট সিনহার বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস বাদী হয়ে টেকনাফ থানার সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও বাহারছড়া তদন্ত সাবেক ইনচার্জ পরিদর্শক লিয়াকত আলীসহ ৯ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।  

২০২০ সালের ১৩ ডিসেম্বর র‍্যাব-১৫ কক্সবাজারের তৎকালীন দায়িত্বরত সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার খাইরুল ইসলাম ১৫ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন।

বাংলাদেশ সময়: ০১০৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২২, ২০২১
এসবি/আরইউ/জেএইচটি 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।