ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

নারী সদস্যদের দিয়ে রেকি করিয়ে চুরি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৪৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২১, ২০২১
নারী সদস্যদের দিয়ে রেকি করিয়ে চুরি ডিবির কবজায় সাত চোর ও ইনসাটে জব্দ হওয়া চুরির কাজে ব্যবহৃত সরঞ্জাম।

ঢাকা: ‘রাজধানীর বহুতল ভবনের বাসা, অফিস কিংবা মার্কেটেই চুরির টার্গেট ছিলো তাদের। প্রথমে দলের নারী সদস্যদের পাঠিয়ে টার্গেট করা ভবনে সবকিছু রেকি করা হতো।

এরপর রাতে বা সুবিধামতন সময়ে সেসব ভবনে চুরি করা হতো। তবে, কোনো মালপত্র নয়, নিরাপত্তা ও দ্রুত সটকে পড়ার স্বার্থে শুধু নগদ টাকাই চুরি করতো চক্রটি’।

সম্প্রতি রাজধানীর উত্তরা প্যারাডাইস টাওয়ারে চুরির ঘটনায় সংঘবদ্ধ চোরচক্রের সাত সদস্যকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা (ডিবি) উত্তরা বিভাগ।

গ্রেফতার সাতজন হলেন- জামাল উদ্দিন, শফিক ভূঁইয়া ওরফে বাছা, জসিম উদ্দীন, কাদের ওরফে কিবরিয়া ওরফে বাবু, মো. শাকিল, আলামিন ও শফিকের স্ত্রী চক্রের রেকির কাজে নিয়োজিত মুক্তা আক্তার।

সোমবার (২০ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর ডেমরা ও কুমিল্লার কান্দিরপাড় এলাকায় ধারাবাহিক অভিযানে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে চুরির কাজে ব্যবহৃত হাতুড়ি, লোহার রেঞ্জ, হ্যাক্সো ব্লেড, প্লায়ার্স, স্ক্রু ড্রাইভার, ক্রু ড্রাইভার ও ২০টি সিম কার্ড জব্দ করা হয়।

মঙ্গলবার (২১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ডিবির যুগ্ম কমিশনার মো. মাহবুব আলম।

তিনি বলেন, গত ১১ জুন ঢাকার উত্তরা পশ্চিম থানার প্যারাডাইস টাওয়ারের আটতলায় গোল্ডেন টাচ ইমপোর্ট আইএনসি অফিসে চুরির ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় গত ১৩ সেপ্টেম্বর উত্তরা পশ্চিম থানায় একটি মামলা হয়। ওই মামলার ছায়া তদন্তকালে ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা ও প্রযুক্তির সহায়তায় চুরির ঘটনায় অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতারদের মধ্যে জামালের বিরুদ্ধে ১৪টি চুরির মামলা রয়েছে। গ্রেফতারদের সবাই চট্টগ্রাম বন্দর থানা এলাকা কেন্দ্রিক চুরির ঘটনার সঙ্গে জড়িত। গত কয়েক বছরে তারা ঢাকায় এসে সুউচ্চ ভবন, অফিস ও টাওয়ারে চুরি শুরু করে তারা।

তিনি আরও বলেন, গ্রেফতাররা রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় সুউচ্চ টাওয়ারে অবস্থিত বিভিন্ন নামিদামি অফিসে প্রথমে চুরির টার্গেট করেন। এ চোরচক্রের সদস্যরা প্রথমে খোলা থাকা অবস্থায় অফিস ও ভবন ২-৩ দিন ধরে রেকি করে চুরির কৌশল রপ্ত করে। এরপর সুযোগ বুঝে টার্গেট করা বন্ধ হয়ে যাওয়া অফিসের তালা, সিকিউরিটি লক, ডিজিটাল লক ও অফিসকক্ষের ড্রয়ার ভেঙে চুরি করে সুকৌশলে বের হয়ে যায়। শুধু ঢাকাতেই তাদের বিরুদ্ধে সাতটি চুরির ঘটনায় সংশ্লিষ্টতার তথ্য পাওয়া গেছে। কয়েকটি অফিসে চুরির ঘটনা ঘটে।

ডিবির ওই কর্মকর্তা বলেন, গ্রেফতাররা চট্টগ্রাম বন্দরে চুরির সঙ্গে জড়িত ও হাতেখড়ি সেখানে। সেখানে তারা তিন-চার বছর ধরে চুরির সঙ্গে জড়িত ছিল। তারা চট্টগ্রাম থেকে করোনা পরিস্থিতিতে ঢাকায় আসে ও সুউচ্চ ভবন, মার্কেট, অফিস ও টাওয়ারে চুরি শুরু করেন। যেসব অফিসে বা মার্কেটে সিসিটিভি ক্যামেরা নেই কিংবা থাকলেও মনিটরিং নেই সেসবই তারা টার্গেট করে।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২১, ২০২১
পিএম/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।